আব্দুল্লাহ আল মামুন ৮, শহীদুল ৭ দিনের রিমান্ডে
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৫২
সাবেক আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুনকে আট দিনের এবং আব্দুল্লাহ আল মামুনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। পৃথক পৃথকভঅবে তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে আব্দুল্লাহ আল মামুনকে আদালতে হাজির করা হয়। এসময় মামলার তদন্তের স্বার্থে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আক্তারুজ্জামান ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) দিবাগত রাতে রাজধানীর উত্তরা থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন ছাত্র-জনতার মিছিলে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় আব্দুল্লাহ আল মামুনকে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বাংলাদেশ পুলিশের ৩১তম মহাপরিদর্শক ছিলেন। তিনি ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শকের দায়িত্ব পান। এর আগে তিনি র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ানের (র্যাব) মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) প্রধান ছিলেন।
সাবেক আইজিপি শহীদুল ৭ দিনের রিমান্ডে
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার মিছিলে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় গ্রেফতার পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) শহীদুল হকের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) তাকে সকালে আদালতে আনা হয়। এসময় মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আক্তারুজ্জামান এ আদেশ দেন।
এ কে এম শহীদুল হক ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার মাধ্যমে ১৯৮৬ সালে সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেন। শহীদুল হক পুলিশ সুপার হিসেবে চাঁদপুর, মৌলভীবাজার, চট্টগ্রাম ও সিরাজগঞ্জ জেলার দায়িত্ব পালন করেছেন। ডিআইজি হিসেবে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স, রাজশাহী রেঞ্জ এবং চট্টগ্রাম রেঞ্জের কার্যভার পালন করেছেন। তিনি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের একজন পুলিশ কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ছাড়াও পুলিশের ভিন্ন ভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। ২০১৪ সালের শেষদিন আইজিপির দায়িত্ব পান এবং ২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারিতে অবসরে যান।
তার বাড়ি শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার নরবালাখানা গ্রামে। তার ছোট ভাই ইসমাইল হক জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও নড়িয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন। আরেক ভাই নুরুল হক ব্যাপারী নড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য।