১৫ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

রাজধানীতে ঠিকাদারকে কুপিয়ে হত্যা

রাজধানীতে ঠিকাদারকে কুপিয়ে হত্যা - ছবি : নয়া দিগন্ত

রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার একতা হাউজিং এলাকায় মো. শিরু মিয়া (৪৫) নামের এক ঠিকাদার ব্যবসায়ীকে গলা কেটে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। তিনি ইট, বালুসহ বিভিন্ন নির্মাণসামগ্রী সরবরাহ করতেন। শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে একতা হাউজিং এলাকার ৮ নম্বর রোডে এ ঘটনাটি ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত শিরু মিয়া আদাবরের শেখেরটেক ৯ নম্বর রোডের একটি বাসায় স্ত্রী জোছনা বেগম এবং মামুন ও ইমন নামে দুই ছেলেকে নিয়ে থাকতেন। শনিবার সন্ধ্যার দিকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি তাকে বাসা থেকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে যায়। পরে রাতে পরিবারের সদস্যরা জানতে পারেন, অজ্ঞাত ব্যক্তিরা তাকে গলা কেটে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে।

নিহতের ছেলে মো. মামুন জানান, ‘গাজীপুর থেকে সন্ধ্যায় বাবা বাসায় এসেছিলেন। এরপর ঢাকা উদ্যান থেকে ফোন পেয়ে তিনি সেখানে চলে যান। বাসায় ফেরার সময় তার সঙ্গে শেষবারে মতো কথা হয়। পরে একজন লোক ফোন দিয়ে জানান, আমার বাবাকে কারা যেন কুপিয়েছে। পরে তাড়াতাড়ি করে ঘটনাস্থলে এসে দেখি বাবার মৃতদেহ রাস্তার পাশে পড়ে রয়েছে । আমার বাবার সঙ্গে কারো শত্রুতা আছে বলে আমার জানা নেই।’

মৃতের বোন রাশিদা খাতুন বলেন, তার ভাই স্থানীয় কমিশনারের সঙ্গে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন। একইসঙ্গে তার ঠিকাদারি ব্যবসা ছিল। ঠিকাদারি ব্যবসা নিয়ে সম্প্রতি কারো সঙ্গে বিরোধ হয়েছিলো বলে তিনি জানান। এলাকার অন্য ঠিকাদারদের সঙ্গে তার বিরোধ চলে আসছিল এবং তাকে ব্যবসা বন্ধ রাখতে বলেছিল। ব্যবসা বন্ধ না রাখার কারণে হতো তারাই এ হত্যাকাণ্ডটি ঘটিয়েছে।

পুলিশের একটি সূত্র জানায়, শিরু মিয়া একসময় আদাবর এলাকার সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসা ও চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ করতেন। এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে তাকে প্রতিপক্ষ গ্রুপ হত্যা করতে পারে বলে ধারণা। সিআইডি ক্রাইম সিন ঘটনাস্হল থেকে নিহতের আলামত সংগ্রহ করেন।

মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) দুলাল হোসেন জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডের বিস্তারিত জানার চেষ্টা ও হত্যাকারীকে গ্রেফতারে জন্য অভিযান চলছে।


আরো সংবাদ



premium cement