শিশু সাফওয়ান হত্যাকারীদের বিচার দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২০:৪৬
![](https://www.dailynayadiganta.com/resources/img/article/202502/19691682_198.jpg)
বরিশালের গৌরনদী উপজেলার হোসনাবাদ গ্রামের ইমরান সিকদারের ছেলে শিশু সাফওয়ান হত্যার বিচার দাবিতে মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছেন ওই গ্রামের লোকজন।
শিশু সাফওয়ানের পরিবারকে সন্ত্রাসীরা মামলা তুলে নেয়ার জন্য বিভিন্নভাবে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে উল্লেখ করে মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আসামিদের মধ্যে পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার করেছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তাদের কাছ থেকে কোনো স্বীকারোক্তি নিতে পারেনি। অন্যদিকে দুই পলাতক আসামি লোকমান ও শাহাদাতকে এখন পর্যন্ত পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি। এ অবস্থায় সাফওয়ানের পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। তাই রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ মহলকে এ বিষয়ে উদ্যোগ নেয়ার জন্য বক্তারা আহবান জানান।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, জিয়াউর রহমান, তৈমুর হাসান টিপু, শিশু সাফওয়ানের পিতা ইমরান সিকদার, মানবাধিকার কর্মী কামাল পারভেজ, সাফওয়ানের দাদা মনির সিকদার, সাফওয়ানের ফুপু প্রমুখ।
বরিশাল জেলার গৌরনদী উপজেলার মধ্য হোসনাবাদ গ্রামের ইমরান শিকদারের পাঁচ বছরের শিশু পুত্র সাফওয়ান শিকদার গত ১৫ জানুয়ারি রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়। পরের দিন ভোরে স্থানীয় মান্না বেপারীর বিল্ডিংয়ের পিছনের একটি পরিত্যাক্ত ডোবায় সাফওয়ানের রক্তাক্ত লাশ দেখতে পেয়ে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ, র্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিশু সাফওয়ানের লাশ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ ওইদিনই স্থানীয় ইউপি সদস্য মোজাম্মেল হোসেন ও রোমান চৌধুরী নামের দুইজনকে গ্রেফতার করে। পরে শিশু সাফওয়ানের বাবা বাদি হয়ে ছয়জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৯-১০ জনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরে মামলায় উল্লিখিত দুইজনসহ এজাহারভূক্ত আসামি রোমানের স্ত্রী আখি বেগম ও বোন রাবিনা বেগমকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
অপরদিকে গত ১৭ জানুয়ারি বিকেলে নিহত শিশুর লাশ ময়নাতদন্ত শেষে হাসপাতাল মর্গ থেকে এলাকায় নিয়ে আসলে উত্তেজিত জনতা গ্রেফতারকৃত আসামিদের দু’টি দালান ও তিনটি টিনের ঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। গ্রেফতার ইউপি সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা মোজাম্মেলের বিরুদ্ধে মাদক কারবারসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে। গ্রেফতার অপর আসামি রোমান চৌধুরীর ঘরে নিহত সাফওয়ানের জুতাসহ কাপড় পাওয়া যায় বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।
সূত্রমতে, নিহত শিশুর দাদা বারেক শিকদারের সাথে জমাজমি নিয়ে প্রতিবেশী লোকমান চৌধুরীর দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ চলে আসছিল। প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে ওই বিরোধের জের ধরেই এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা