১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

টানা দ্বিতীয় ফাইনালের হাতছানি ইংল্যান্ডের, ভারত নিতে চায় প্রতিশোধ

- ছবি - ইন্টারনেট

আফগানিস্তানকে উড়িয়ে প্রথম দল হিসেবে ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকা। এবার প্রতিপক্ষের খোঁজে তারা। যেখানে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারে ভারত বা ইংল্যান্ডের কেউ। দ্বিতীয় সেমিফাইনাল শেষে নির্ধারণ হবে শিরোপার শেষ লড়াইয়ে যাচ্ছেন কারা।

দ্বিতীয় সেমিফাইনাল গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে মাঠে গড়াবে আজ বৃহস্পতিবার রাত ৮টায়, ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবে ভারত।

ইংল্যান্ডের সামনে সুযোগ শিরোপা ধরে রাখার। গত অস্ট্রেলিয়া বিশ্বকাপে দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা জেতে দলটি। এর আগে ২০১০ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল থ্রি লায়ন্সরা। এবার সুযোগ সমান দুইবার শিরোপা জেতা ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ছাপিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ শিরোপাজয়ী দল হওয়ার।

গ্রুপ পর্বে যেই ইংল্যান্ড হয়েছিল কোনঠাসা, সুপার এইটে উঠা নিয়েই যাদের ছিল রাজ্যের শঙ্কা; তারাই কি না সবার আগে উঠে আসে শেষ চারে! অথচ গ্রুপ পর্বের ধাক্কা তারা শুরুতে কাটিয়ে উঠতে পারেনি সুপার এইটেও। প্রথম ম্যাচে খুব কাছে গিয়েও হেরে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে।

তবে ঘুরে দাঁড়াতে সময় নেয়নি, ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বড় জয় তুলে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা টিকে আছে শিরোপা ধরে রাখার মিশনে। আজ ভারতকে হারালে টানা দ্বিতীয়বারের মতো উঠে আসবে ফাইনালে। খুলে যাবে শিরোপা ধরে রাখার সুযোগ।

ভারত আছে শিরোপা পুনরুদ্ধারের মিশনে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসরেই শিরোপা জিতেছিল দলটা। এরপর গত দেড় যুগেও তা দ্বিতীয়বার হাতে নেয়ার সৌভাগ্য হয়নি। এবার খুব করেই সুযোগ আছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ইংল্যান্ডের মতো দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপায় চুমু আঁকার।

এবার শিরোপার বড় ভাগীদার বলা যায় ভারতকে। এক দশকের শিরোপা খরা কাটাতে মরিয়া রোহিত শর্মার দল। সেই লক্ষ্যে খুব ভালোভাবেই আছে তারা। অপরাজিত থেকেই উঠে এসেছে শেষ চারে।

গ্রুপ পর্বে পাকিস্তান বা সুপার এইটে অস্ট্রেলিয়াও পারেনি তাদের পথের কাঁটা হতে। এবার সামনে ইংল্যান্ড। নিশ্চয়ই রাহুল-রোহিত মিলে তাদের আটকে দেয়ার পরিকল্পনা ইতোমধ্যেই সেরে ফেলেছে।

অবশ্য গত এক দশক ধরে তারা ফেবারিটের তকমা নিয়ে টুর্নামেন্টে শোরগোল ফেললেও জিততে পারে না কোনো শিরোপা। শেষ দিকে এসে তালগোল পাকিয়ে ঘরে ফেরে এক রাশ হতাশা নিয়ে। এবার অবশ্য গল্পটা বদলাতে চায় তারা।

ভারত বা ইংল্যান্ড কারো কাছেই সেমিফাইনাল নতুন কিছু নয়। এর আগে সমান পাঁচবার করে শেষ চারে উঠেছে তারা। যেখানে ইংলিশরা ফাইনালে খেলেছে তিনবার, বিপরীতে ভারত ফাইনালে পৌঁছেছে দুইবার। এবার দুই দলের সামনেই সুযোগ সংখ্যাটা বাড়িয়ে নেয়ার।

গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। যেখানে ভারতকে রীতিমতো উড়িয়ে দেয় ইংলিশরা। ১৬৯ রানের লক্ষ্য ৪ ওভার আর ১০ উইকেট হাতে রেখে পাড়ি দেয় ইংল্যান্ড। এবারও তারা ধরে রাখতে চাইবে সেই ধারা। তবে ভারতের সামনে সুযোগ প্রতিশোধ নেয়ার।

দুই দল এর আগে মুখোমুখি হয়েছে ২৩ বার। যেখানে লড়াই হয়েছে সমানে সমানে। কেউ ছেড়ে কথা বলেনি কাউকে। ইংল্যান্ডের জয় যেখানে ১১ ম্যাচে, ভারত জিতেছে একটা বেশি ১২ বার। বিশ্বকাপে চারবারের দেখায় জয় সমান দু’টি করে।


আরো সংবাদ



premium cement