১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

সেমিফাইনালে লজ্জার রেকর্ড আফগানিস্তানের

সেমিফাইনালে লজ্জার রেকর্ড আফগানিস্তানের - ছবি : ইএসপিএনক্রিকইনফো

সেমিফাইনালে এসে ভিন্নরূপে দেখা গেল আফগানিস্তানকে। দাঁড়াতেই পারলেন না রাবাদা-জানসেনদের সামনে। আসর জুড়ে দুর্দান্ত খেলা উপহার দেয়া রশিদ খানেরা গড়লেন লজ্জার রেকর্ড। বিশ্বকাপের নক আউট পর্বে গুটিয়ে গেছে সবচেয়ে কম রানে

ত্রিনিদাদ ও টোবাগোয় প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয় দক্ষিণ আফ্রিকা ও আফগানিস্তান। যেখানে টসে জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন রশিদ খান। তবে প্রোটিয়া বোলারদের তোপে ১১.৫ ওভারে মাত্র ৫৬ রানেই থেমেছে আফগানিস্তানের ইনিংস।

ফলে দক্ষিণ আফ্রিকার ফাইনালে যাবার পথ এখন অনেকটাই সুগম। তিন-তিনবার সেমিফাইনালে আটকে যাবার পর এবার প্রথমবারের ফাইনালে উঠার হাতছানি তাদের সামনে।

টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই বিপাকে পড়ে আফগানরা৷ প্রথম ওভারেই হারায় সবচেয়ে মূল্যবান উইকেট, ফেরেন রহমানুল্লাহ গুরবাজ। আসরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক এই ব্যাটার ফেরেন রানের খাতা খোলার আগেই।

এক ওভার পর তিনে নামা গুলবাদিন নাইবকেও তুলে নেয় প্রোটিয়ারা৷ ৮ বলে ৯ রানে ফেরেন তিনি। দুটো উইকেটই নেন মার্কো জানসেন। তবে আসল ধাক্কা আসে চতুর্থ ওভারে, বল হাতে এসেই জোড়া উইকেট তুলে নেন রাবাদা। ফেরান ইবরাহীম জাদরান ও মোহাম্মদ নাবিকে।

পরের আঘাত আসে এনরিখ নর্খিয়ার থেকে৷ পঞ্চম ওভারের শেষ বলে ফেরান খারুতিকে (২)। ২৩ রানে ৫ উইকেট হারায় আফগানিস্তান৷ এর আগে সেমিফাইনালে ৫ উইকেট হারানোর রেকর্ড নেই কখনো কোনো দলের।

আফগানিস্তানের হয়ে শুধু ওমারজাই (১০) দুই অঙ্কের রান করতে পেরেছেন। তাছাড়া রশিদ খান ও করিম জানাত করেন ৮ করে রান। তাতেই পঞ্চাশের ঘর পাড়ি দেয় আফগানিস্তানের ইনিংস।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ইতিহাসে সর্বনিম্ন তো বটেই, এই প্রথম কোন দল হিসেবে সেমিফাইনালে একশ রানের আগে অলআউট হবার রেকর্ড এটি। তার পাশাপাশি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেও এটি আফগানিস্তানের সর্বনিম্ন স্কোর।

প্রোটিয়াদের বোলারদের মাঝে ১.৫ ওভারে ৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট পেয়েছেন তাবরাইজ শামসি। ৩ ওভারে ১৬ রান খরচায় ৩ উইকেট পেয়েছেন মার্কো জেনসেন। দুটি করে উইকেট পেয়েছেন নরকিয়া ও রাবাদা।


আরো সংবাদ



premium cement