শূন্য থেকে সেমিফাইনালে আফগানিস্তান
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৫ জুন ২০২৪, ১৬:৫৭
প্রশ্ন করতে ইচ্ছে করে, এত সাহস কোথায় পেল তারা? অবশ্য উত্তর পেতে খুব একটা সমস্যা হবার কথা না। আফগানরা তো লড়াকু জাতি, সাহস নিয়েই তাদের বাঁচতে শেখা। আজ নিশ্চয়ই আফগানিদের তেমনই অনুভব হচ্ছে, যেমনটা হয় তাদের যুদ্ধ জয়ে! হবারই কথা, আজ বিশ্ব ক্রিকেটে যে রূপকথা লিখেছেন রশিদ-নাবিরা, তা যে বড্ড গর্বের৷ ক্রিকেটের নব্য তরুণ একটা দেশ কিনা রাঘববোয়ালদের ছিটকে দিয়ে সেমিফাইনালে! হ্যাঁ, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শেষ চারে পৌঁছে গেছে আফগানরা। আর মাত্র দুটি ধাপ, এরপরেই আরাধ্য সেই শিরোপা।
অথচ কি ছিল আফগানিস্তানের! কিছুদিন আগেও তারা ছিল যুদ্ধবিধ্বস্ত একটা দেশ, যেখানে বাতাসে ভেসে বেড়াতো বারুদের গন্ধ; প্রতিটি মুহূর্ত ছিল চরম উথকণ্ঠার, প্রতিটি নিঃশ্বাসই ছিল যাদের শেষ নিঃশ্বাসের মতো। সেখানে ক্রিকেট ছিল তাদের একটুখানি বিনোদনের মাধ্যম।
যেই ক্রিকেটে চরম দুঃসময়েও হেসে উঠতো গোটা আফগানিস্তান, সেই ক্রিকেটারদের গড়ে উঠা যুদ্ধ থেকে কম ছিল না। দেশে কোনো মাঠ ছিল না, অনুশীলনের ভালো ব্যবস্থা ছিল না। ছিল না ভালো মানের কোচ বা কোনো অনুপ্রেরণা। ফলে ক্রিকেটার হতে লড়াই করতে হয়েছে বাস্তবতার সাথে।
অবশ্য এখনই বা আর কি আছে! নেই আন্তর্জাতিক মানের কোনো ক্রিকেট স্টেডিয়াম, নেই ঘরের মাঠে খেলার কোনো ব্যবস্থাও। এখনো বিভিন্ন দেশের মাঠ ভাড়া নিয়ে স্বাগতিক হতে হয় তাদের।
কিছু না থাকার মাঝেও একটা ভিন্নতা আছে তাদের, যা নেই অন্য কারো। সেটা হলো লড়াইয়ে মানসিকতা, হারের আগে হার না মানার চেষ্টা, ভয়কে জয় করার তেষ্টা। যে আফগানরা প্রতি মুহূর্ত বেঁচে থাকে ভয়কে জয় করে, তারা যে এখানে সবার থেকে একটু এগিয়েই থাকবে, নিঃসন্দেহে বলা যায়!
আফগানরা জাতিগতভাবেই প্রবল জেদি। যেই জেদে দুই দুই বার হাত ফসকানোর পরও অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে দিয়েছে। নিউজিল্যান্ডকে মাত্র ৭৫ রানে গুটিয়ে দিয়েছে। আর আজ বাংলাদেশের বিপক্ষে মাত্র ১১৫ রানের পুঁজি নিয়েও শেষ হাসি হেসেছে।
নাকের ডগায় এখব ফাইনাল। ২৭ জুন দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারাতে পারলেই যা ছুঁয়ে ফেলবে আফগানিস্তান৷ তা মোটেও অসম্ভব নয়। দক্ষিণ আফ্রিকা এখম পর্যন্ত যেভাবে খেলছে, আফগানরা স্বপ্ন দেখতেই পারে।
অথচ এই আফগানদের ক্রিকেটে হাতেখরি এইতো কিছুদিন আগে। বাংলাদেশের থেকে প্রায় দেড়যুগ পর টেস্ট স্ট্যাটাস মেলে আফগানিস্তানের। যেখানে ১৯৮৬ সালে প্রথম ওয়ানডে খেলে টাইগাররা, আফগানদের শুরু সেখানে ২০০৯ সালে। আর ২০১০ সালে টি-টোয়েন্টি অভিষেক নাবিদের।
তাদেরর দেখে এখন আক্ষেপ করা ছাড়া আর কিইবা করার থাকে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা