১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

যুক্তরাষ্ট্রকে উড়িয়ে সেমিফাইনালের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ

- ছবি - ইন্টারনেট

প্রতিপক্ষকে ‘উড়িয়ে দেয়া’ বলতে একটা শব্দ আছে ক্রিকেটে। তবে এই কাজটা ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে ভালো আর কে পারে! তার বাস্তব রূপটাই দেখলো যুক্তরাষ্ট্র, বিশ্বকাপের নবাগত এই দলটাকে রীতিমতো উড়িয়েই দিয়েছে ক্যারিবীয়রা।

শনিবার বার্বাডোজে যুক্তরাষ্ট্রকে ৯ উইকেটে হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। যুক্তরাষ্ট্রকে প্রথমে ১৯.৫ ওভারে মাত্র ১২৯ রানে আটকে দেয়ার পর ব্যাটিংয়ে নেমে ১০ ওভার ৫ বলেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ক্যারিবীয়রা। এই জয়ে বেঁচে থাকলো ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেমিফাইনাল স্বপ্ন।

প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হেরে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ফলে সেমিফাইনালে যেতে হলে সুপার এইটের শেষ দুই ম্যাচ জিততেই হতো ক্যারিবীয়দের। যুক্তরাষ্ট্রকে উড়িয়ে দিয়ে সেই কাজের অর্ধেকটা সম্পন্ন করে রাখলো আন্দ্রে রাসেল-শাইহোপরা।

এবারের বিশ্বকাপে বেশ সমীহ জাগানিয়া দল যুক্তরাষ্ট্র। গ্রুপ পর্বে পাকিস্তান, আয়ারল্যান্ডকে আটকে দিয়ে প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলতে এসেই নিশ্চিত করে সুপার এইট। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে লড়াই করে চোখে চোখ রেখেই। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তাদের দেখালো বাস্তবতা। দুই দলের শক্তির পার্থক্য কতটা।

বোলিংয়েই কাজটা অর্ধেক করে দিয়েছিলেন আন্দ্রে রাসেল-রোস্টন চেজরা। যদিও সম্ভাবনাময় শুরু ছিল তাদের, পাওয়ার প্লেতে স্টিভেন টেলরকে (২) হারালেও স্কোরবোর্ডে তুলে ৪৮ রান। তবে এরপরই বাঁধে বিপত্তি, পরের ৪০ রান তুলতেই ৬ উইকেট হারায় যুক্তরাষ্ট্র।

নিতিশ কুমারকে ২০ রানে ফিরিয়ে যার শুরু করেন মতি। এরপর আলজার জোসেফ ১৬ বলে ২৯ রান করা আন্দ্রেস গোসকে ফেরালে মার্কিনিরা আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। তিন উইকেট নিয়ে মিডল অর্ডার ভেঙে দেন চেজ, আর শেষটা ছাটাই করেন আন্দ্রে রাসেল।

বলার মতো স্কোর কেবল মিলিন্দ কুমারের ১৯, ভেন শেলজিকের ১৮ ও আলি খান করেন ৬ বলে ১৪* রান। তিনটা করে উইকেট নেন আন্দ্রে রাসেল ও রোস্টন চেজ। জোরা উইকেট নেন জোসেফ।

ব্যাটিংয়ে নেমেও সেই দাপট ধরে রাখেন শাই হোপ এবং নিকোলাস পুরান। বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ৫৫ বল হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করেন এই দুই ব্যাটার। দু'জনে মিলে ১১ ছক্কা আর পাঁচ বাউন্ডারিতে উড়িয়ে দেন যুক্তরাষ্ট্রকে। ১০০ রান তাড়ায় বিশ্বকাপ ইতিহাসে যা দ্বিতীয় দ্রুততম জয়।

পাঁজরের চোটে ব্র্যান্ডন কিং ছিটকে না গেলে এই ম্যাচে হয়তো খেলাই হতো না শাই হোপের। সেই হোপ সুযোগ পেয়েই খেললেন ম্যাচজয়ী ইনিংস। ২৬ বলে ফিফটি পূরণের পর শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ৩৯ বলে ৮২* রানে।

সমানভাবে পাল্লা দিয়ে ১২ বলে ২৭* করেন পুরান। এই ইনিংসে ৩ ছক্কা হাঁকিয়ে ইতিহাস গড়েছেন তিনি। এখন পর্যন্ত এবারের আসরে ১৭টি ছক্কা তার। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এক আসরে এর চেয়ে বেশি ছক্কা মারেনি আর কেউ। ২০১২ বিশ্বকাপে ১৬ ছক্কা মেরেছিলেন ক্রিস গেইল।


আরো সংবাদ



premium cement