ইংল্যান্ডকে সুপার এইটে পৌঁছে দিলো অস্ট্রেলিয়া, স্বপ্নভঙ্গ স্কটিশদের
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৬ জুন ২০২৪, ১১:২৩
অস্ট্রেলিয়াকে ব্যাট হাতে অনেকটা চমকে দিয়েছিল স্কটল্যান্ড। তবে তাতে লাভ হয়নি, টানা চতুর্থ জয় তুলে নিয়েছে মিচেল মার্শের দল। জয় অস্ট্রেলিয়ার হলেও লাভ হয়েছে ইংলিশদের, স্কটিশদের হারে সুপার এইটে থ্রি লায়ন্সরা।
গ্রুপ বি’র শেষ ম্যাচে রোববার ভোরে মুখোমুখি হয় অস্ট্রেলিয়া ও স্কটল্যান্ড। সেন্ট লুসিয়ায় টসে হেরে আগে ব্যাট করে ৫ উইকেটে ১৮০ রান তোলে স্কটিশরা। জবাবে ১৯.৪ ওভারে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় অজিরা। তুলে নেয় ৫ উইকেটের জয়।
এই ম্যাচে স্কটল্যান্ড আর অস্ট্রেলিয়া মুখোমুখি হলেও ভাগ্য নির্ধারণ নির্ভর করছিল ইংল্যান্ডেরও। সমীকরণটা সহজ, অস্ট্রেলিয়া হেরে গেলে সুপার এইট নিশ্চিত করবে স্কটল্যান্ড আর জিতে গেলে কপাল খুলবে ইংল্যান্ডের।
এতো দিনের শত্রু, নিশ্চয়ই খানিকটা মায়া কাজ করছিল অস্ট্রেলিয়ার! তাছাড়া দীর্ঘ প্রায় ৪০ বছর ধরে আইসিসির কোনো সহযোগী দেশের বিপক্ষে না হারার রেকর্ডও ধরে রাখার মিশন ছিল সামনে। সব মিলিয়ে ইংলিশদের হয়েই কথা বলল অজিরা।
তবে স্কটল্যান্ড তাদের সর্বোচ্চ চেষ্টাই করেছে। শেষ ওভার পর্যন্ত খেলাটাকে টেনে নিয়েছে। চোখে চোখ রেখেই কথা বলেছে সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে। যদিও শেষ রক্ষা হয়নি, ২ বল হাতে রেখে জয় পেয়েছে অজিরা। আর সুপার এইট স্বপ্নভঙ্গ হয় স্কটিশদের।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা স্কটিশদের উড়ন্ত সূচনা এনে দেন জর্জ মানজি ও ব্র্যান্ডন ম্যাকমুলেন। প্রথম ওভারেই জোন্সের বিদায়ের পর তারা দুজন মিলে ৪৮ বলে গড়ে তোলেন ৮৯ রানের জুটি। ২৩ বলে ৩৫ রান করেন মানজি।
তবুও ১১ ওভার শেষে স্কটল্যান্ডের স্কোর দাঁড়ায় ২ উইকেটে ১১১ রান। লক্ষ্য তখন বড় সংগ্রহের। কিন্তু পরের ওভারে ৩৪ বলে ৬০ রান করা ম্যাকমুলেনকে অ্যাডাম জ্যাম্পা ফেরালে তাতে বাঁধা পড়ে। এরপর কাঙ্ক্ষিত গতি পায়নি স্কটল্যান্ডের ইনিংস।
যদিও রিচি বেরিংটনের ৩১ বলে ৪২ রানের অপরাজিত ইনিংসে ১৮০ রান পর্যন্ত পৌঁছায় স্কটিশরা। তবে অপরপ্রান্ত থেকে সহযোগিতা আসেনি। বলার মতো ১১ বলে ১৮ রান করেন ম্যাথু হ্যারি। বল হাতে ম্যাক্সওয়েল জোড়া উইকেট নিলেও রান দেন ৪৪।
জবাব দিতে নেমে অজিরা প্রথমদিকে যেভাবে ব্যাট করছিল, তাতে জস হ্যাজেউলউডের ‘ইংল্যান্ডকে বিদায় করে দিতে চাই’ বক্তব্যের যেন প্রমাণই মিলছিল। জোড়া উইকেট হারিয়ে পাওয়ার প্লেতে তোলে মাত্র ৩৬ রান! ডেভিড ওয়ার্নার ১ ও মিচেল মার্শ ৮ রানে ফিরেন।
৮.২ ওভারে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (১১) যখন ফেরেন, রান বেড়ে তখন ৬০। জয়ের থেকে তখনো বহু দূরে অজিরা। তবে ট্রাভিস হেড ও স্টোয়নিসের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় তারা। দৌড়াতে শুরু করে লক্ষ্যের দিকে।
একপ্রান্তে হেড ধরে খেললেও স্টোইনিস ছিলেন মারমুখী। দু'জনের জুটিতে আসে ৪৪ বলে ৮০ রান। ১৫.৪ ওভারে ৪৯ বলে ৬৮ রানে আউট হন হেড। পরের ওভারে ফেরেন স্টয়নিসও, ২৯ বলের ইনিংসে ৫৯ রান আসে তার ব্যাটে। দলের সংগ্রহ তখন ১৭ ওভারে ১৫৫/৫।
বাকি কাজটা শেষ করেন টিম ডেভিড ও ম্যাথু ওয়েড। ১৪ বলে ২৪ রান করে অপরাজিত থাকেন ডেভিড, ম্যাথু ওয়েড অপরাজিত থাকেন ৪ রানে। আর তাতে শেষ পর্যন্ত চির-প্রতিদ্বন্দ্বীদের জয়ে সওয়ার হয়েই সুপার এইটে গেল বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড।
যদিও ‘বি’ গ্রুপে সব কয়টি ম্যাচ শেষে অজিদের পয়েন্ট ৮। ইংল্যান্ডের ৫। সমান পয়েন্ট স্কটল্যান্ডেরও। এই দুই দলের সুপার এইট নির্ধারক হলো নেট রানরেট। ইংল্যান্ডের ক্ষেত্রে সংখ্যাটা +৩.৬১১, স্কটল্যান্ডের নেট রানরেট কিছুটা কম। ফলে কপাল খুলে গেল ইংল্যান্ডের।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা