১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

ইতিহাস গড়া হলো না নেপালের, আরো একবার শেষ মুহূর্তে জয় দ.আফ্রিকার

- ছবি - ইন্টারনেট

নেপালের ইতিহাস গড়া হলো না। তীরে গিয়ে তরী ডুবেছে তাদের। অবিশ্বাস্যভাবে হেরে গেছে হিমালয়ের দেশটা। বিপরীতে আরো একবার হাবুডুবু খেতে খেতে বেঁচে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে ১ রানে জিতেছে তারা।

সুপার এইটের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে শনিবার ভোরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল নেপাল। প্রোটিয়াদের মাত্র ১১৫ রানে আটকে দিয়ে জয়ের স্বপ্নও দেখছিল তারা, ব্যাট হাতে এগিয়ে যাচ্ছিল সেই লক্ষ্যেই। তবে শেষদিকে তালগোল পাকিয়ে থামতে হয়েছে ১১৪ রানে।

এই জয়ে অপরাজিত থেকেই শেষ আট খেলতে যাবে দক্ষিণ আফ্রিকা। বিপরীতে টানা তিন হারে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেল নেপালের। তাতে খানিকটা স্বস্তি পেল বাংলাদেশ। তবে নেপাল এক প্রকার হুমকি দিয়েই রাখলো টাইগারদের।

অথচ ইতিহাস গড়ার দ্বারপ্রান্তেই ছিল নেপাল। একদম শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ম্যাচে ছিল তারা। শেষ বলে রান নিতে গিয়ে গুলশান ঝাঁ লাফ দিলেই ভিন্ন হতে পারতো গল্পটা। তবে অভিজ্ঞতার কাছেই যেন আটকে গেছে লামিচানেরা, ভাগ্যও দেয়নি সায়।

বিপরীতে আসর জুড়ে ভাগ্যের সহায়তা পাওয়া দক্ষিণ আফ্রিকা আজও পাশে পেয়েছে ভাগ্যকে। নেদারল্যান্ডসের পর বাংলাদেশ, এবার নেপালের বিপক্ষেও হারতে হারতে শেষ পর্যন্ত জিতে গেছে তারা। নেপালকে যেভাবে হারালো, তা যেন নাটকের শেষাংশ।

১৩.২ ওভারে ২ উইকেটে ৮৫ রান তোলা নেপাল জয়ের পথেই ছিল। ৪০ বলে প্রয়োজন ছিল মাত্র ৩১ রান, হাতে ৮ উইকেট। উইকেটে থিতু হয়ে ছিলেন আসিফ শেখ ও অনিল শাহ। দু'জনের ব্যাটে তখন ৩৫ বলে ৫০ রানের জুটি। তবে এরপরই ঘুরে যায় ম্যাচের মোড়, ঘুরিয়ে দেন তারবিজ শামসি।

প্রথমে জুটিটা ভাঙেন মার্করাম, ফেরান অনিলকে। ২৪ বলে ২৭ করে আউট হন এই ব্যাটার। এরপরই শামসি জোড়া আঘাতে ফেরান আসিফ ও দীপেন্দ্রকে। আসিফ আউট হন ৪৯ বলে ৪২ করে। ১৮.২ ওভারে ১০০ রানে ৬ উইকেট হারায় নেপাল।

শেষ ওভারে জয়ের জন্যে প্রয়োজন হয় ৮ রানের। তবে বাটসম্যানের প্রথম ৫ বল থেকে ৬ রানের বেশি আসেনি। শেষ বলে ২ রানের প্রয়োজন হলেও সেই সমীকরণ মেলানো যায়নি। ১ রানের জয় পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হন শামসি।

চলতি আসরে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার ১২০ রানের কমের পুঁজি নিয়েও জিতলো দক্ষিণ আফ্রিকা, বিশ্বকাপে যা দ্বিতীয় সর্বনিম্ন সংগ্রহ নিয়ে জয়ের রেকর্ড।

এর আগে সেন্ট ভিনসেন্টে টসে হেরে ব্যাট করতে নামা দক্ষিণ আফ্রিকাকে শুরু থেকেই চেপে ধরেন দীপেন্দ্র সিং, কুশাল ব্র‍ুটালরা। প্রথম ১০ ওভারে মাত্র ১ উইকেট হারালেও রানে গতি ছিল না, আসে মাত্র ৫৭ রান।

১১.২ ওভারে এসে দ্বিতীয় উইকেট হারায় দক্ষিণ আফ্রিকা। কুশালের শিকার হয়ে ফেরেন প্রোটিয়া অধিনায়ক এইডেন মার্করাম। ২২ বলে ১৫ রানে ফেরেন তিনি। এর আগে ৩.৪ ওভারে উদ্বোধনী জুটি ভাঙে ডি কক ফিরলে, দীপেন্দ্রর প্রথম শিকার হয়ে ফেরেন ১০ রানে।

তবে এরপরই প্রোটিয়াদের আরো চেপে ধরেন নেপালের স্পিনাররা। হেনরিখ ক্লাসেন ৩ ও মার্কো জানসেন ফেরেন ১ রানে। একপাশ আগলে রাখা রেজা হেনড্রিকসও ফেরেন এর মাঝেই। ১৫.৩ ওভারে ৪৯ বলে ৪৩ রানে দীপেন্দ্রর বলে আউট হন তিনি।

ডেভিড মিলার বিতর্কিত ভাবে জীবন পেলেও তা কাজে লাগাতে পারেননি, ৭ রানেই শেষ হয় তার ইনিংস। তবে প্রোটিয়ারা তিন অংকের ঘরে পৌঁছে মূলত ট্রিস্টান স্টাবসের ব্যাটে। ১৮ বলে অপরাজিত ২৭* রান তোলে দলকে পৌঁছান ১১৫ রানে।

দীপেন্দ্র সিং ৩ ও কুশাল ব্রুটাল নেন ৪ উইকেট। উইকেট না পেলেও দারুণ বল করেন সন্দিপ লামিচানে।


আরো সংবাদ



premium cement
সিরিয়ায় বাশার আল আসাদের বাবার কবরে অগ্নিসংযোগ মামলা শেষ হলে দেশে ফিরবেন তারেক রহমান : মির্জা ফখরুল কালিয়াকৈরে ছুরিকাঘাতে যুবককে হত্যা ৫ আগস্টের পর চাঁদাবাজি-ছিনতাইয়ে র‍্যাবের ১৬ সদস্য আটক : ডিজি মিয়ানমারে বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী শহর থেকে শত শত সৈন্যসহ জেনারেল আটক শনিবার থেকে শৈত্যপ্রবাহের আশঙ্কা ‘অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা হবে’ পাওনা টাকা চাওয়ায় চা দোকানির হাত ঝলসে দেয়ার অভিযোগ হাসিনার বিবৃতিকে ভারত সমর্থন করে না : বিক্রম মিশ্রি ডুয়েটে কৃষি যন্ত্রপাতি প্রতিভা অন্বেষণে সেমিনার ও প্রদর্শনী মেলা শুক্রবার গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়

সকল