১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

পাকিস্তানকে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য দিল কানাডা

পাকিস্তানকে চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য দিল কানাডা - ছবি : ইউএনবি

বড় ব্যবধানে জয়ের লক্ষ্যে মাঠে নেমে কানাডাকে অল্পে গুটিয়ে ফেলতে ব্যর্থ হয়েছেন পাকিস্তানি বোলাররা। ফলে ব্যাট হাতে দারুণ কিছু করে দেখাতে হবে দলটির ব্যাটারদের।

নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামে টস জিতে কানাডাকে শুরুতে ব্যাট করতে পাঠান বাবর আজম। প্রথম ইনিংসে সাত উইকেটে ১০৬ রান করেছে সাদ বিন জাফরের দল। ফলে জিততে হলে এই লক্ষ্য অতিক্রম করতে হবে পাকিস্তানকে।

টি-টোয়েন্টিতে ১০৬ একেবারেই মামুলি লক্ষ্য হলেও নাসাউ কাউন্টির উইকেটে এ রান অনেক। এখন পর্যন্ত এই উইকেটে ব্যাটারদের ভুগতেই দেখা গেছে। এ মাঠে অনুষ্ঠিত ছয় ম্যাচের মাত্র দুটিতে লক্ষ্য তাড়ায় জিতেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। বাকি সব ম্যাচেই রান তাড়ায় ব্যর্থ বাকি দলগুলো।

তাই কানাডার দেওয়া এই চ্যালেঞ্জিং স্কোর ভালো রান রেটের সঙ্গে অতিক্রম করা পাকিস্তানি ব্যাটারদের জন্য কঠিন হবে বলেই ধারণা করা যায়।

কানাডার পক্ষে সর্বোচ্চ ৫২ রান করেন অ্যারন জনসন। অপরদিকে, পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট নিয়েছেন মোহাম্মদ আমির ও হারিস রউফ।

জোড়া চারে ইনিংস শুরু করা কানাডা প্রথম তিন ওভারই চার মেরে শুরু করেন। এতে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দেন দুই ওপেনার অ্যারন জনসন ও নবনীত ধালিওয়াল। তবে তৃতীয় ওভারে মোহাম্মদ আমিরের শেষ বলে বোল্ড হয়ে যান নবনীত। এর ফলে তিন ওভার শেষে ২০ রানে প্রথম উইকেট হারায় কানাডা। ফেরার আগে ৭ বলে ৪ রান করেন নবনীত।

এরপর ষষ্ঠ ওভারের প্রথম বলে তৃতীয় ব্যাটার পারগাত সিংকে ফেরান শাহীন আফ্রিদি। তার শর্ট অফ লেংথের লাফিয়ে ওঠা বলটি খেলার চেষ্টা করেই বিপদ ডেকে আনেন পারগাত। বলটি তার গ্লাভস ছুঁয়ে স্লিপে দাঁড়িয়ে থাকা ফখরের তালুতে আটকে যায়। ফলে ২৯ রানে দুই উইকেট হারায় কানাডা।

সপ্তম ওভারের শেষ বলে ফের উইকেট পাওয়ার উল্লাসে মাতে পাকিস্তান। নিকোলাস কিরটনকে রানআউট করে দেন ইমাদ ওয়াসিম। এরপর দশম ওভারে জোড়া উইটকেট নেন হারিস রউফ। ওভারের তৃতীয় বলে হারিস রউফের ডেলিভারিতে কট বিহাইন্ড হয়ে ফেরেন শ্রেয়াস মোভা। পঞ্চম বলে স্লিপে ক্যাচ দেন নতুন ব্যাটার রবিন্দরপাল সিং। এর ফলে দশ ওভার শেষে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ৫৫ রান করে কানাডা।

ব্যাটাররা যখন একের পর এক যাওয়া-আসার মিছিলে যোগ দিয়েছেন, তখন এক প্রান্ত আগলে রেখে রানের চাকা সচল রাখেন অ্যারন জনসন। ত্রয়োদশ ওভারে ছক্কা মেরে নিজের ফিফটিও তুলে নেন তিনি। তবে ঠিক ছয় বল পর ১৩.৩ ওভারে নাসিম শাহ তাকে বোল্ড করে ফেরান। সাজঘরে ফেরার আগে ৪৪ বলে চারটি করে ছক্কা ও চারের সাহায্যে ৫২ রান করেন তিনি।

এরপর ১৭.৫ ওভারে মোহাম্মদ আমিরের শিকার হন কানাডা অধিনায়ক সাদ বিন জাফর। ইনিংসের তৃতীয় দুই অঙ্ক ছোঁয়া ১০ রান করেন তিনি।

শেষের দিকে কলিম সানার ১৩ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ১০৬ রান করে কানাডা।

সূত্র : ইউএনবি


আরো সংবাদ



premium cement