১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

হ্যাটট্রিক বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন দেখছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ

হ্যাটট্রিক বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন দেখছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ - সংগৃহীত

গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে (২০২২ সালে) যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ওয়ান ডে বিশ্বকাপেও যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি তারা। এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আয়োজক দেশ হিসেবে খেলছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে দলের জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ক্যারিবীয় কোচ ড্যারেন স্যামি।

স্যামি এক সময় ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের অধিনায়ক ছিলেন। তার নেতৃত্বেই দু’বার টি-টোয়েন্টি (২০১২ এবং ২০১৬) বিশ্বকাপ জিতেছিল দল। তিনি বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি দলকে নিয়ে আমরা গত বছর থেকে কাজ করছি। যে সব ক্রিকেটারকে আমরা খুঁজে বের করেছি, তারাই এখন ম্যাচ জেতাচ্ছে। আমার মনে হয়, এবারের প্রতিযোগিতায় আমরা পুরো বিশ্বকে নাড়িয়ে দেবো।’

ওয়েস্ট ইন্ডিজ চলতি বছর নিজেদের ঘরের মাঠে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলছে। সেটা দলের জন্য বাড়তি চাপের হতে পারে। ২০০৭ সালের ওয়ান ডে বিশ্বকাপে ব্র্যায়ান লারা ছিলেন দলে। তারপরেও ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ জিততে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিন্তু এবারের দলকে নিয়ে আশাবাদী কোর্টলি অ্যাম্ব্রস। সাবেক এই পেসার ২০১৬ সালে দলের বোলিং কোচ ছিলেন। ওই বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছিল ক্যারবীয় দল।

তিনি বলেন, ‘বিশ্বকাপ জেতা সহজ নয়। কিন্তু আমরাই দু’বার বিশ্বকাপ জিতেছি। দু’একটা দলই এই সাফল্য পেয়েছে। আমরা তৃতীয় বার বিশ্বকাপ জেতার চেষ্টা করব। আর কোনো দল ঘরের মাঠে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিততে পারেনি। সেটাও আমাদের কাছে বাড়তি অনুপ্রেরণার।’

গত বছর বিশ্বকাপে যোগ্যতা অর্জন করতে না পারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজকে নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। কিন্তু এবারের দল অন্যরকম বলে মনে করছেন অ্যাম্ব্রস। তিনি বলেন, ‘ছেলেরা যদি ধারাবাহিকতা দেখাতে পারে এবং বুদ্ধি দিয়ে ক্রিকেট খেলে, তা হলে আমি বিশ্বাস করি যে এই দল ট্রফি জিততে পারে।’

আইপিএলেও ক্যারিরীয় ক্রিকেটারেরা সাফল্য পেয়েছেন। ফলে দলকে নিয়ে আশা রাখছেন সমর্থকেরা। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে জিতেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এই সাফল্য বাড়তি অনুপ্রেরণা দেবে দলকে।

২ জুন থেকে শুরু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। ওই দিন পাপুয়া নিউগিনির বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচ খেলবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। গ্রুপ সি-তে রয়েছে তারা। সেই গ্রুপে রয়েছে আফগানিস্তান, উগান্ডা এবং নিউজিল্যান্ড।
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা


আরো সংবাদ



premium cement