৩ ম্যাচ পরে হার লক্ষ্ণৌর, কুলদীপের ঘূর্ণিতে জয়ের ধারায় দিল্লি
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৩ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৫৯
পাঁচ ম্যাচের মধ্যে চারটিতে হার। আইপিএল লিগ টেবিলে সবার শেষে পড়ে আছে ঋষভ পন্থের দিল্লি ক্যাপিটালস। প্লে অফের লড়াইয়ে টিকে থাকতে হলে শুক্রবার লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসকে হারাতেই হতো। কুলদীপ যাদবদের দুরন্ত বোলিং পারফরম্যান্সে সেই কাজটাই করল তাঁরা। কে এল রাহুলের লক্ষ্ণৌকে ৬ হারিয়ে জয়ের সরণিতে ফিরল দিল্লি।
লক্ষ্ণৌর মাঠে নামার আগে দলের কোচ রিকি পন্টিং জানিয়েছিলেন, তারা যেকোনো দলকে হারাতে তৈরি। দিল্লির খেলায় সেই আত্মবিশ্বাসটাই ধরা পড়ল। টসে জিতে এদিন প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় লক্ষ্ণৌ। কিন্তু ম্যাচের প্রথম থেকেই ধারাবাহিকভাবে উইকেট খোয়াতে থাকে তারা। অধিনায়ক রাহুল (৩৯) একটা দিক ধরে থাকলেও তাঁকে সঙ্গ দেওয়ার কেউ ছিলেন না। পাঁচ ওভারের মধ্যেই দিল্লির ডি কক (১৯) ও দেবদত্তকে (৩) ফেরালেন খলিল আহমেদ। তার পরই দেখা গেল কুলদীপের জাদু (২০/৩)। চোটের জন্য বেশ কিছু দিন বাইরে ছিলেন তিনি। এদিন স্বমহিমায় ফিরলেন কুলদীপ। সাবেক নাইট স্পিনার পর পর দুবলে ফেরালেন স্টয়নিস (৮) আর পুরানকে (০)। হ্যাটট্রিক করতে না পারলেও পরের ওভারেই আউট করলেন কেএল রাহুলকে। ৯৪ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা লক্ষ্ণৌকে লড়াইয়ে ফেরালেন আয়ুষ বাদোনি। তার ৩৫ বলে ৫৫ রানের ঝোড়ো ইনিংসে শেষ পর্যন্ত ১৬৭ রানে থামে লক্ষ্ণৌর ইনিংস।
টি-টোয়েন্টিতে এই রানটা তেমন বড় কিছু নয়। দিল্লির শুধু দরকার ছিল ভালো ওপেনিং পার্টনারশিপের। কিন্তু হতাশ করলেন ডেভিড ওয়ার্নার (৮)। শুরুটা ভালো করেও বড় রান পেলেন না পৃথ্বী শ (৩২)। লক্ষ্ণৌর রবি বিষ্ণোই আর যশ ঠাকুরের বোলিং ধীরে ধীরে চেপে বসছিল দিল্লির উপরে। ওই চাপ থেকে দিল্লিকে বের করলেন ঋষভ পন্থ (৪১) আর নবাগত জেক ফ্রেসার (৫৫)। রানের গতিকে দ্রুত বাড়িয়ে দিলেন তারা। বিশেষ করে ফ্রেসারের বিধ্বংসী ইনিংস দিল্লিকে লক্ষ্যে পৌঁছনোর রাস্তা করে দেয়। ময়ঙ্ক যাদবের গতির অভাব ভালো মতোই টের পেল লখনউ। রবি বিষ্ণোই কিছুটা চেষ্টা করেছিলেন। স্পিন জাদুতে ঋষভকে স্ট্যাম্প আউট হতে বাধ্য করেন লক্ষ্ণৌর স্পিনার। তখন জিততে বাকি আর ২২ রান। দিল্লির বাকি ব্যাটাররা সহজেই ওই রান তুলে নেয়। ৬ উইকেটে জেতে দিল্লি।
ম্যাচের মাঝে বেশ হাসি মুখেই দেখা যাচ্ছিল দিল্লির ডিরেক্টর সৌরভ গাঙ্গুলিকে। আঁধার কেটে যাওয়ার আভাস তার মুখে। কিন্তু কুলদীপকে দেখা গেল চোটের জায়গায় হাত রেখে ফিরে যেতে। ম্যাচ জিতে আনন্দের পাশাপাশি সেটাও কিন্তু চিন্তায় রাখবে দিল্লি শিবিরকে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা