১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

হারের বৃত্ত ভেঙে প্রথম জয়ের দেখা পেল মুম্বাই

হারের বৃত্ত ভেঙে প্রথম জয়ের দেখা পেল মুম্বাই - ছবি : সংগৃহীত

অবশেষে জয়ের দেখা পেল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। হারের বৃত্ত ভেঙে তুলে নিল আসরে নিজেদের প্রথম জয়। তাতে হার্দিক পান্ডিয়ার অধীনে প্রথমবার বিজয় উল্লাসে মাতলো রেকর্ড পাঁচবারের শিরোপা জয়ীরা। দিল্লি ক্যাপিটালসকে ২৯ রানে হারিয়েছে তারা।

রোববার দিনের প্রথ ম্যাচে ঘরের মাঠ ওয়াংখেড়েতে দিল্লির মুখোমুখি হয় মুম্বাই। যেখানে টসে হেরে আগ ব্যাট করে ৫ উইকেটে ২৩৪ রানের বড় পুঁজি পায় মুম্বাই।

জবাব দিত নেমে পেরে উঠেনি দিল্লি, ৮ উইকেট হারিয়ে ২০৫ রানেই থামে তাদের ইনিংস। 

টানা তিন হারে যেন দেয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছিল মুম্বাইয়ের। বেড়ে গিয়েছিল জয়ের ক্ষুধা। ঘরের মাঠে তাই ঘুরে দাঁড়ানোর দীপ্ত শপথ নিয়েই মাঠে নামে তারা। সেই লক্ষ্যে শুরু থেকেই আগ্রাসী ছিল মুম্বাই, সপ্তম ওভারের শেষ বলে উদ্বোধনী জুটি ভাঙার আগেই ৮০ রান যোগ হয় স্কোরবোর্ডে।

বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে রোহিত শর্মা আউট হন ফিফটি ছুঁতে না পারার আক্ষেপ নিয়ে, ২৭ বলে ৪৯ রান করেন তিনি। আরেক ওপেনার ইশান কিষানও ফিফটি পূরণ করতে পারেননি। তিনি ফেরেন ২৩ বলে ৪২ করে। মাঝে আসরে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে সূর্য কুমার যাদব ফেরেন দ্বিতীয় বলেই, ০ রানে।

তিলক ভার্মা (৬) থিতু হতে পারেননি। তবে পথ দেখান অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। গড়ে তুলেন টিম ডেভিডের সাথে ৩২ বলে ৬০ রানের বিধ্বংসী এক জুটি। ৩৩ বলে ৩৯ রানে পান্ডিয়া আউট হলে ভাঙে যুগলবন্দী। তবে থামানো যায়নি মুম্বাইকে, থামানো যায়নি রানের গতি।

ডেভিডকে সাথে নিয়ে এরপর আরো বিধ্বংসী হয়ে উঠেন রোমারিও শেফার্ড। বিশেষ করে ইনিংসের শেষ ওভারে এনরিখ নর্খিয়াকে যেভাবে পিটিয়েছেন শেফার্ড, তা সে অনেকদিন মনে রাখবে। সেই ওভারে ৩২ রান তুলেন ৪ ছক্কা ও ২ বাউন্ডারিতে। 

এই ওভারটাই যেন গড়ে দেয় ম্যাচের ভাগ্য। যা তো দিল্লির ইনিংসের পর স্পষ্ট। যাহোক টিম ডেভিড ২১ বলে ৪৫* ও শেফার্ড করেন ১০ বলে ৩৯* রান। তাদের ১৩ বলে ৫৩ রানের জুটিতেই ২৩০ ছাপিয়ে যায় মুম্বাই।

জবাব দিতে নেমে শুরুতেই ডেভিড ওয়ার্নারকে (৮) হারায় দিল্লি। এরপর পৃথ্বি শ ও অভিষেক পের মিলে ৮৮ রানের জুটি গড়েন। তাদের ব্যাটে চড়ে একাদশ ওভারেই শতরান তুলে নেয় দিল্লি। ১২তম ওভারে তাদের জুটি ভাঙেন জসপ্রিত বুমরাহ। ৬৬ রান করে বোল্ড হন পৃথ্বি।

তবে একপ্রান্ত আগলে রেখেছিলেন অভিষেক। তবে শেষ দলের ঝড় তোলেন স্টাবস। যদিও ৩১ বলে ৪১ করতেই আউট হন অভিষেক। লড়াই চালিয়ে যান স্টাবস। চার-ছক্কার ঝড় তুলে জিইয়ে রাখেন দলের আশা। কিন্তু তাকে সঙ্গ দিতে ব্যর্থ হন অধিনায়ক রিশাভ পন্ত। ৩ বলে খেলে ১ রান করে কোয়েতজির শিকার হন তিনি। 

তখনো দলের জয়ের জন্য প্রয়োজন ২৪ বলে ৮২ রান। এরই মাঝে ১৯ বলে ফিফটি তুলে নেন স্টাবস। শেষ পর্যন্ত ২৫ বলে ৭১ রানে অপরাজিত থাকেন স্টাবস।শেষ ওভারে মাত্র ৩ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নেন কোয়েতজি।


আরো সংবাদ



premium cement