৩০ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬ মাঘ ১৪৩১, ২৯ রজব ১৪৪৬
`

সাফ জয়ের নায়ক আমিনুলকে মনে আছে?

আমিনুল হক - ফাইল ছবি।

‘এখন পর্যন্ত আমার দেখা সেরা গোলকিপার।’ উক্তিটা বাংলাদেশকে প্রথম সাফ জেতানো কোচ জর্জ কোটানের। আর যার কথা বলা হচ্ছে, তিনি হলেন বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা গোলকিপার আমিনুল হক। গেম রিড করার ভালো এ্যাবিলিটি ও ভালো পজিশনিং সেন্স তাকে বানিয়ে দিয়েছিলো দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবল ইতিহাসে সেরা গোলকিপার।

আমিনুলকে নিয়ে আরেকজনের একটা উক্তি মনে পড়ে যাচ্ছে, তিনি হলেন মালয়েশিয়ান সাবেক ফুটবলার ও ইএসপিএন স্টার শেব্বি সিং। তিনি বলেছিলেন, ‘সে (আমিনুল) আরো ভালো লিগে খেলার যোগ্য। হয়তো সঠিক প্রশিক্ষণ নিয়ে ইংল্যান্ডেও!’

তখন ২০০৪, শেব্বর এই কথাটা যেন সত্যি হয়েছিলো যখন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব নিউক্যাসেল ইউনাইটেড থেকে অফার পেয়েছিলেন আমিনুল। তবে তার প্রিমিয়ার লিগ খেলার স্বপ্ন ভেঙ্গে গিয়েছিলো বাফুফের গাফিলতির কারণে। সঠিক সময়ে ফিফার কাছে ট্রান্সফার বিষয়ক কাগজপত্র দাখিল করতে পারেনি বাফুফে। সৌদির আল হিলাল থেকেও অফার পেয়েছিলেন। তবে সেবারও স্বপ্ন ভেঙে যায় একই কারণে।

এই ফাঁকে জানা যাক তার শৈশব: ১৯৮০ সালের ৫ অক্টোবর ভোলাতে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তবে বেড়ে উঠেন ঢাকার পল্লবীতে। ১৯৯৩ সালে প্রথম পাইওনিয়ার লিগে খেলেন। ১৯৯৫ সালে প্রথম জাতীয় দলে ডাক পেয়েছিলেন আমিনুল। তবে এর চার বছর পর ১৯৯৮ সালে কাতারের বিপক্ষে ফ্রেন্ডলি ম্যাচে অভিষেক হয় তার। ১৯৯৯ ও ২০১০ এসএ গেমসে জিতেছিলেন স্বর্ণপদক।

তবে তার সেরা ম্যাচ ছিলো ২০০৩ সালের সাফ গেমস ফাইনাল। সেবার পেনাল্টি শ্যূট আউটে গড়িয়েছিলো ম্যাচটি। সেখানে দারুণ সব সেভ দিয়ে মালদ্বীপকে হারিয়ে মাতৃভূমিকে জিতিয়েছিলেন প্রথম সাফ ট্রফি। অথচ ম্যাচটিতে তার খেলার কথাই ছিলোনা ব্যাক পেইনের কারণে। তবুও পেইন কিলার নিয়ে খেলেছিলেন পুরো ম্যাচ।

অতঃপর ২০০৫ থেকে ২০১০ পর্যন্ত ছিলেন জাতীয় দলের অধিনায়ক। ২০০৫ সাফ চ্যাম্পিয়নশীপে অসাধারণ পারফরম্যান্স করে দলকে নিয়ে গিয়েছিলেন ফাইনালে। তবে সেখানে ভারতের কাছে ২-০ তে হারতে হয়েছিলো। ২০১০ সালে অবসর নেন তরুণদের দলে সুযোগ দিতে। এশিয়ান গেমসে হংকংয়ের বিপক্ষে নিজের শেষ ম্যাচটি খেলেছিলেন আমিনুল।

ক্লাব ক্যারিয়ারে ১৯৯৪-৯৫ সালে ছিলেন মোহামেডানে। ১৯৯৬ সালে খেলেছেন ফরাশগঞ্জ এসসির হয়ে। ১৯৯৭-৯৮-এ ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদে। ১৯৯৯ সালে ঢাকা আবাহনীতে। ২০০০-২০০৪ আবার ফিরেছিলেন মুক্তিযোদ্ধায়। ২০০২ সালে এই ক্লাবের হয়ে এশিয়ান ক্লাব চ্যাম্পিয়নশীপে খেলেছিলেন। ২০০৫-২০০৬ এ ছিলেন ব্রাদার্স ইউনিয়নে। ২০০৭-২০১০ সালে ফিরেছিলেন নিজের প্রথম ক্লাব মোহামেডানে। ২০১০ সালে জাতীয় দল থেকে অবসর নেয়ার পর থেকে ২০১২ পর্যন্ত ছিলেন শেখ জামাল ডিসিতে। ২০১৩-২০১৪-তে আবার ফিরে এসেছিলেন মুক্তিযোদ্ধায়। তার পরে ক্লাব ক্যারিয়ারেও ইতি টানেন আমিনুল।

১৯৯২ সালে ইউরোতে আন্ডারডগ হয়েও চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলো ডেনিসরা। সেই দলের কান্ডারি ছিলেন গোলকিপার পিটার স্মাইকেলও। এরপরে পিটার ম্যানইউতে যোগ দিয়ে নানান কীর্তি গড়ছিলেন, আর এই পিটারই হয়ে উঠেছিলো তরুণ আমিনুলের অনুপ্রেরণা। এখন যদি বলি যে, আমিনুল ছিলেন বাংলার পিটার স্মাইকেল। তাহলেও কথাটা ভুল হবে বলে মনে হয় না! কারণ আমিনুল হক তার সময়ের গ্রেটেস্ট গোলকিপারদের একজন ছিলেন।

আজ তার ৪৩তম জন্মবার্ষিকী। শুভ জন্মদিন আমিনুল হক।


আরো সংবাদ



premium cement
হাসিনার আমলে পাচার ২৩৪ বিলিয়ন ডলার বিচার বিভাগের পূর্ণ স্বাধীনতা ও পৃথক সচিবালয় স্থাপনে একগুচ্ছ প্রস্তাব বিচার ও ক্ষমা চাওয়ার আগে আ’লীগকে কর্মসূচি পালন করতে দেয়া হবে না : প্রেস সচিব বিএনপির ৩১ দফা মানুষের কাছে তুলে ধরতে হবে : তারেক তারিক সিদ্দিকের সাথে মামলার আসামিও বৈষম্যের শিকার! অন্তর্বর্তী সরকার এখনো অর্থনীতিতে গতি আনতে পারেনি : সিপিডি শিক্ষা প্রশাসনে আওয়ামী প্রেতাত্মাদের থাবা সীমান্ত হত্যা ও অপহরণ বন্ধে আলোচনা হবে ভিন্ন সুরে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের জন্য চালু হচ্ছে ‘স্কুল ফিডিং’ আনসারের টিডিপি প্রশিক্ষণকে ভারতবিরোধী সামরিক প্রশিক্ষণ হিসেবে প্রচার সম্পূর্ণ মিথ্যা : রিউমার স্ক্যানার আলেমরা উদ্যোক্তা হলে দেশের চেহারা পাল্টে যাবে : ধর্ম উপদেষ্টা

সকল