২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

রোমাঞ্চকর ফাইনালের অপেক্ষায় সবাই

রোমাঞ্চকর ফাইনালের অপেক্ষায় সবাই - ছবি : সংগৃহীত

দুই সেমিফাইনালে উত্তেজনার পারদ ছিল উর্ধ্বে। অজেয় পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। আরেক সেমিফাইনালে হট ফেভারিট ইংল্যান্ডকে অবাক করে ফাইনালে নিউজিল্যান্ড। টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে আজ রাতে মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড। সব মিলিয়ে রোমাঞ্চকর এক ফাইনালের প্রতীক্ষায় ক্রিকেট বিশ্ব। দুবাইয়ে রুদ্ধশ্বাস এই ফাইনাল শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায়।

অস্ট্রেলিয়ার জন্য দ্বিতীয় ফাইনাল। নিউজিল্যান্ডের জন্য প্রথম। তবে দুই দলের জন্য প্রথম শিরোপার হাতছানি। প্রথমবারের মতো শিরোপায় চুমু খাওয়ার উপলক্ষ্য।

২০১০ বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ^কাপের ফাইনালে উঠেছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু অজিদের হৃদয় ভেঙে সেবার শিরোপা জেতে ইংল্যান্ড। অন্যদিকে ২০০৭ ও ২০১৬ বিশ^কাপে সেমিফাইনালই ছিল নিউজিল্যান্ডের সেরা পারফরম্যান্স। সেটিকে টপকে প্রথমবারের মতো ফাইনালে জায়গা করে নেয়া কিইউদের চোখ শিরোপায়। ২০১৫ ও ২০১৯ ওয়ানডে বিশ^কাপের ফাইনালে উঠেও শিরোপার নাগাল পায়নি নিউজিল্যান্ড। প্রথমবার হারে অস্ট্রেলিয়ার কাছে, দ্বিতীয়বার ইংল্যান্ডের সঙ্গে। বৈশ্বিক মঞ্চে কোন ভার্সনেই শিরোপা না জেতা নিউজিল্যান্ড এবার মরিয়া নতুন কিছু করার।

নিউজিল্যান্ডকে সমীহ করলেও ফাইনাল জিততে চান অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। তিনি বলেন, ‘এটি ফাইনাল ম্যাচ। আর প্রতিপক্ষ হিসেবে নিউজিল্যান্ড অনেক ক্যালকুলেটিভ দল। তারা অনেক পরিকল্পনা নিয়ে খেলতে নামবে। আমাদের সেভাবেই প্রস্তুত থাকতে হবে। যেকোন পরিস্থিতি মোকাবেলা করে ফাইনাল জিততে হবে এবং প্রথমবারের মতো শিরোপার স্বাদ নিতে হবে।’

অন্যদিকে প্রথমবারের মতো ফাইনালে উঠেই বাজিমাত করতে চায় নিউজিল্যান্ড। দলের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন বলেন, ‘ওয়ানডে বিশ্বকাপে শেষ দুই আসরের ফাইনাল খেলার অভিজ্ঞতা আমাদের আছে। কিন্তু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এই প্রথম ফাইনাল খেলছি আমরা। শিরোপা জিতে এই প্রথমকে স্মরণীয় করতে চাই। অস্ট্রেলিয়ার মত দলের বিপক্ষে জিততে হলে, তিন বিভাগেই তাদের চেয়ে ভালো খেলতে হবে। ম্যাচের শুরু থেকেই অজিদের উপর চাপ সৃষ্টি করতে হবে।’

পুরো আসরেই এ পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডের ব্যাটার ও বোলাররা ভাল পারফরমেন্স করেছে। দলের সেরা ব্যাটাররা রানের মধ্যেই আছেন। আসরে মিচেল ১৯৭, গাপটিল ১৮০, উইলিয়ামসন ১৩১ ও কনওয়ে ১২৯ রান করেছেন। তবে ফাইনালের মঞ্চে কনওয়ের সার্ভিস পাবে না নিউজিল্যান্ড। নিজের ভুলে হাত ভেঙে ফাইনাল থেকে ছিটকে পড়েন কনওয়ে।

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এগিয়ে অস্ট্রেলিয়াই। ১৪ ম্যাচে মুখোমুখি হয়ে ৯ বার জিতেছে অজিরা। চার জয় কিউইদের। এক ম্যাচ টাই। আর বিশ্বকাপের মঞ্চে একবার দেখা হয় অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের। সেটিতে জয় পেয়েছিল কিউইরা। ২০১৬ সালে সুপার টেনে গ্রুপ-২এর ম্যাচে ৮ রানে জিতেছিল নিউজিল্যান্ড।


আরো সংবাদ



premium cement