২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

দিল্লিকে উড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন মুম্বাই

- সংগৃহীত

প্রথমবারের মতো আইপিএলের ফাইনালের চাপটা নিতে পারল না দিল্লি ক্যাপিটালস। মুম্বাইর বিরুদ্ধে জিততে হলে স্কোরটা যথা সম্ভব সমৃদ্ধ হওয়া জরুরি ছিল। যাও হলো, সেই স্কোরের মধ্যে মুম্বাইকে আটকাতে পারেনি দিল্লির বোলাররা। উল্টো বেধড়ক মারই খেল বলা চলে। রোহিত শর্মার নান্দনিক ব্যাটিংয়ে দিল্লিকে ৫ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।

আইপিএলে মুম্বাইর এটি টানা দ্বিতীয়, সব মিলিয়ে রেকর্ড পঞ্চম শিরোপা। প্রথমবারের মতো ফাইনালে উঠেও ইতিহাস গড়া হলো না দিল্লির। বরং এক আসরে মুম্বাইর কাছে চারবার হেরে লজ্জায় লাল হলো আয়ার শিবির।

মঙ্গলবার রাতে দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে কাঙ্খিত ফাইনালে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে দিল্লি করে সাত উইকেটে ১৫৬ রান। জবাবে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স জয়ের বন্দরে পৌঁছায় ১৮.৪ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে, ১৫৭। জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরু থেকেই মারমুখি ছিল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। অশ্বিনের করার প্রথম ওভারে আসে ৮ রান। দ্বিতীয় ওভারে স্বদেশী বোলার রাবাদাকে তিন চার ও এক ছক্কায় ১৮ রান তোলেন ডি কক। ১২ বলে ২০ রান করা ডি কক সাজঘরে ফেরেন স্টয়নিসের বলে পন্থের কাছে ক্যাচ দিয়ে। মুম্বাইর দলীয় রান তখন ৪৫।

প্রথম উইকেটের পতনের পর দলকে বিপদে পড়তে দেননি অধিনায়ক রোহিত শর্মা ও ওয়ানডাউনে নামা সুরিয়া কুমার যাদব। দ্বিতীয় উইকেটে এই জুটি দলকে নিয়ে যান ৯০ রান অবধি। ২০ বলে ১৯ রান করে রান আউট যাদব। তবে অপর প্রান্তে রোহিত ছিলেন সক্রিয়। সঙ্গে যোগ হন মারকুটে ইশান কিষান। রান বাড়তে থাকে তরতরিয়ে। এই জুটি দলকে নিয়ে যান প্রায় জয়ের বন্দরে।

দলীয় ১৩৭ রানের মাথায় বিদায় নেন রোহিত শর্মা। আউট হওয়ার আগে তিনি করে যান ৫১ বলে ৬৮ রানের ঝলমলে ইনিংস। জয়ের জন্য বাকি কাজটুকু অপরাজিত হিসাবে সেরেছেন ইশান কিষান। ১৯ বলে তিনি থাকেন ৩৩ বলে অপরাজিত। জয়ের কাছাকাছি গিয়ে দুটি উইকেট খোয়ায় মুম্বাই। ৪ বলে ৮ রান করেন পোলার্ড। ৫ বলে তিন রান করে হার্দিক পান্ডিয়া।

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম বলেই উইকেট হারায় দিল্লি ক্যাপিটালস। বোল্টের বলে উইকেটের পিছনে ডি ককের গ্লাভসে ক্যাচ দেন স্টয়নিস (০)। টিকতে পারেননি ওয়ান ডাউনে নামা অজিঙ্কা রাহানেও (২)। বোল্টের বলে তিনিও ককের গ্লাভসবন্দী। যার উপর বড় ভরসা ছিল সেই শিখর ধাওয়ানও হতাশ করেন। ফাইনালের মতো বড় মঞ্চে মাত্র ১৫ রানে বিদায় তিনি। জয়ন্ত যাদবের বলে তিনি বোল্ড।

দিল্লির রান আসে মূলত অধিনায়ক শ্রেয়াস আয়ার ও ঋসব পন্থের ব্যাটে। ২২ রানে তিন উইকেট হারানো দিল্লিকে ১১৮ রান অবধি টেনে নিয়ে যান্ এই জুটি। ৩৮ বলে ৫৬ রানের দারুণ ইনিংস খেলে বিদায় নেন পন্থ। তার ইনিংসে ছিল চারটি চার ও দুটি ছ্ক্কার মার। অধিনায়ক আয়ার এক প্রান্ত আগলে রেখে রানের চাকা সচল রাখেন। কিন্তু কোন সতীর্থই তাকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি। আয়ার রান তুলতে থাকলেও অপর প্রান্তে উইকেট পড়তে থাকে ধারাবাহিক বিরতিতে। হেটমায়ার, প্যাটেল ও রাবাদা ছুতে পারেননি দুই অঙ্কের রান। অধিনায়ক আয়ার ৫০ বলে থাকেন ৬৫ রানে অপরাজিত। তার ইনিংসে ছিল ছয়টি চার ও দুটি ছক্কার মার।

বল হাতে মুম্বাইর হয়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন কিউই পেসার ট্রেন্ট বোল্ট। কোটার-নিল নেন দুটি উইকেট। জশপ্রিত বুমরাহ ৪ ওভারে ২৮ রান দিলেও পাননি উইকেটের দেখা।


আরো সংবাদ



premium cement