২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

অধিনায়ক হিসেবে টানা ছ’টি ম্যাচে হার, চাপে কোহলি

অধিনায়ক হিসেবে টানা ছ’টি ম্যাচে হার, চাপে কোহলি - সংগৃহীত

কিং কোহলি খেলোয়াড় ও অধিনায়ক হিসাবে ক্রিকেটের বাইশ গজ থেকে‌ অনেক কিছুই পেয়েছেন। কিন্তু আইপিএল ট্রফি ছুঁতে পারেননি গত এগারো বছরে। দ্বাদশ আইপিএলের দশ দিন কেটে যাওয়ার পর দেখা যাচ্ছে বিরাট কোহলির দলের অবস্থা বেশ খারাপ। প্রথম ম্যাচে তারা ৭০ রানে অল আউট হয়ে গিয়েছিল কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে। দ্বিতীয় ম্যাচে বিরাটরা বেশ লড়াই করে হেরে যায় মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে। রবিবার আবার হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে লজ্জার হার হল বিরাটদের। আইপিএল কখনই তাঁর কাছে পয়া ট্রফি নয়।

ঘটনা হলো, রোববারের ম্যাচটি নিয়ে অধিনায়ক হিসাবে টানা ছ’টি সীমিত ওভারের ম্যাচে হারলেন বিরাট। আইপিএলের আগে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজে ভারতীয় দল টানা তিনটি ম্যাচে হেরে যায়। ওই সিরিজে ভারত প্রথম দুটি ম্যাচে জিতেও ২-৩ ম্যাচে সিরিজ হারে। তাই রোববার অধিনায়ক হিসেবে বিরাট কোহলি হারের ডাবল হ্যাটট্রিক করলেন। বিশ্বকাপের আগে তাই গলা পর্যন্ত চাপে বিরাট কোহলি।

রোববার মাঠে তার নড়াচড়ার মধ্যেও বেশ জড়তা ছিল। সেই আগ্রাসন দেখা গেল না তার মধ্যে। বিরাটের আত্মবিশ্বাস হারানোটা বিশ্বকাপের আগে খুব ভালো লক্ষণ নয়।

ম্যাচের পর বিরাট বলেছেন,‘আইপিএলের ইতিহাসে আরসিবি’র এটাই সব থেকে বড় হার। আইপিএলের ইতিহাসে সবথেকে কালো দিন আমাদের। এই বিশাল হারের কোনো ব্যাখ্যা নেই। আমাদের কোনো প্ল্যানই কাজ করেনি। ডেভিড ওয়ার্নারকে প্রচণ্ড বিধ্বংসী মনে হলো। আমি নিজে তিন নম্বরে নেমেছিলাম। এ বি ডি’ভিলিয়ার্সের মতো অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান চার নম্বরে খেলল। আমাদের দ্রুত জয়ে ফিরতে হবে। রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে ভালো শুরু করাটা প্রচণ্ড দরকার। একটি ম্যাচ জিতলে পারলেই এই দল ভালো খেলবে। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে আম্পায়ারদের অবিচারের শিকার হয়েছিলাম আমরা। সেই ধাক্কা হয়তো ছেলেরা সামলাতে পারিনি।’

এখানে উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের আইপিএলে বিরাট সবচেয়ে সফল হয়েছেন। ১৬ ম্যাচে ৯৭৩ রান তুলে তিনি আগের সব রেকর্ড ভেঙে দেন। পেয়েছিলেন মর্যাদাপূর্ণ অরেঞ্জ ক্যাপ। আগের সর্বাধিক রান সংগ্রহের রেকর্ড ছিল ৭৩৩ রানের। টুর্নামেন্টে চারটি সেঞ্চুরি করে দলকে ফা‌ইনালে তুলেও সেবার ট্রফি জিততে পারেননি। আইপিএল তার কাছে যেন ইভান লেন্ডলের উইম্বলডনের মতো।

ঘটনা হলো, ওই বছরের আইপিএলের আগে বিরাট কখনো টি-২০ ফরম্যাটে সেঞ্চুরি করেননি। বোঝাই যাচ্ছে, সেবার ফর্মের পাহাড় চূড়োয় থেকেও আইপিএল ট্রফি অধরা থেকে যায় তার কাছে। ২০১৬ সালে তার ব্যাটিং গড় ছিল ৮১.০৮। প্রথম খেলোয়াড় হিসাবে তিনি আইপিএলে চার হাজার রান পূর্ণ করেন। ২০১৬ সালের অক্টোবরে নিজের খন্ড আত্মজীবনী প্রকাশের সময়ে তিনি ঘোষণা করেছিলেন, ‘আমি কোনো দিন আরসিবি ছাড়ব না।’
সেই প্রিয় টিমকে নিয়ে এখন প্রচণ্ড চাপে কোহলি।


আরো সংবাদ



premium cement