ইংল্যান্ডকে বিদায় করে স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখল আফগানিস্তান
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৩:৫২, আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৩:৫৫
লড়াই হলো হাড্ডা হাড্ডি। ছেড়ে কথা বললো না কেউ। তবে শেষ হাসি আফগানিস্তানের। আরো একবার বিশ্বমঞ্চে ইংল্যান্ডকে পরাস্ত করলো আফগানরা। সেই সাথে বাঁচিয়ে রাখলো শেষ চারের আশা। বিপরীতে বিদায় ঘণ্টা বেজে গেছে থ্রি লায়ন্সদের।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সেমিফাইনালে টিকে থাকার লড়াইয়ে লাহোরে মুখোমুখি হয় ইংল্যান্ড ও আফগানিস্তান। উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে শেষ পর্যন্ত ৮ রানের জয় পেয়েছে হাশমতুল্লাহ শাহিদির দল। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ইতিহাসে যা তাদের প্রথম জয়।
আগে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ৩২৫ রান সংগ্রহ করে আফগানরা। বিশ্বমঞ্চে যা তাদের সর্বোচ্চ রান। যেখানে বড় ভূমিকা ইবরাহীম জাদরানের। ১৪৬ বলে ১৭৭ রান করেন তিনি। যা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর। জাদরানের এই লড়াকু ইনিংসে জয় তুলে নিল আফগানরা।
পরে জবাব দিতে মাঠে নেমে নানা নাটকীয়তার মধ্য দিয়ে ১ বল বাকি থাকতে গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ড। ৪৯.৫ ওভারে তুলে ৩১৭ রান। বৃথা যায় জো রুটের ১১১ বলে ১২০ রানের ইনিংস। বাকিদের কেউ অবশ্য পঞ্চাশ পেরোতে পারেননি।
৩২৫ রান তাড়া যদিও কঠিন, তবে আগের ম্যাচে এই মাঠেই ইংল্যান্ডের ৩৫২ রান তাড়া করে জিতেছিল অজিরা। আজো তেমন কিছুর আশায় ছিল অনেকেই। তবে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট নিয়ে সেই সুযোগ দেননি আফগানরা।
যদিও ৩০ রানেই ফেরেন ফিলিপ সল্ট ১২ ও জেমি স্মিথ ৯। ইনিংস বড় করতে পারেননি বেন ডাকেটও, ৩৮। হ্যারি ব্রুক ফেরেন ২৫ রান করে। তবে এরপর বড় জুটি গড়েন রুট ও জশ বাটলার। জুটিতে আসে ৮৩ রান। বাটলার আউট হোন ৩৮ রানে।
লিয়াম লিভিংস্টোনও ফেরে দ্রুত, ১০। কিন্তু জেমি ওভারটনের সাথে আরো ৫৪ রান যোগ করেন রুট। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১৮তম সেঞ্চুরি তুলে রুট আউট হন। ৩০৯ রানে দলকে রেখে আউট হন ওভারটন।
ওভারটন ২৮ বলে ৩২ রানে আউট হতেই জমে উঠে ম্যাচ। আফগানরাও যেন প্রাণ ফিরে পায়। জয়ের জন্য তখন ১৩ বলে প্রয়োজন ১৬ রান। হাতে কেবল ২ উইকেট তখন। তবে সেই সমীকরণ আর মেলানো যায়নি।
আর্চার ৮ বলে ১৪ করে আউট হন। ৫৮ রানে ৫ উইকেট নেন আজমতুল্লাহ ওমরজাই। মোহাম্মদ নাবি নেন ২ উইকেট। আর নিশ্চিত হয় ইংল্যান্ডের বিদায়।
এর আগে এই দিন টসে জিতে আগে ব্যাট করে আফগানরা। তবে শুরুটা ভালো হয়নি, মাত্র ৩৭ রানেই হারিয়ে ফেলে ৩ উইকেট। রাহমানুল্লাহ গুরবাজ ৬, সাদিকুল্লাহ আতাল ও রহমত শাহ আউট হোন সমান ৪ রান করে।
তবে এরপরই ঘুরে দাঁড়ায় আফগানরা। হাশমতুল্লাহ শাহিদিকে নিয়ে গড়েন ১০৪ রানের জুটি। শাহিদি ৬৭ বলে ৪০ রানে আউট হন। এরপর আজমতুল্লাহ ওমরজাইয়ের সাথে বাড়ান রানের গতি।
জুটিতে আসে ৬৩ বলে ৭২ রান। ৩১ বলে ৪১ করে আউট হোন ওমরজাই। এর মাঝে ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরি তুলে নেন ইবরাহীম। এরপর ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ঝড় তুলেন মোহাম্মদ নাবিকে নিয়ে।
সেঞ্চুরি পাওয়ার পর ইংলিশ বোলারদের উপর আরো চড়াও হন ইবরাহীম। পরের ৪০ বলে যোগ করেন আরো ৭৭ রান। ইনিংসের শেষ ওভারের প্রথম বলে আউট হওয়ার আগে খেলেন ক্যারিয়ারের সেরা ইনিংস।
অন্যদিকে ঝড়ো এক ইনিংস খেলে আউট হন নবি। ২৪ বলে ৪০ রান করেন তিনি। ততক্ষণে অবশ্য দল তুলে নেয় রেকর্ড সংগ্রহ। আইসিসির বড় কোনো ইভেন্টে যা তাদের সর্বোচ্চ সংগ্রহের রেকর্ড।
ইংলিশদের পক্ষে ৬৪ রান খরচায় সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন জফরা আর্চার। ৫ ওভার বল করে ২৮ রান খরচায় ২ উইকেট নেন লিয়াম লিভিংস্টোন।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা