পাকিস্তানকে উড়িয়ে সেমিফাইনালের দোরগোড়ায় ভারত
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৩:০৮

রক্তের ঘ্রাণে বাঘ যেমন হিংস্র হয়ে উঠে, পাকিস্তান পেলেই তেমনি জ্বলে উঠেন বিরাট কোহলি। জ্বলে উঠলেন আজও, দুই দলের মহারণে ভক্তদের তাক লাগিয়ে দারুণ এক শতক তুলে নিলেন তিনি। সেইসাথে এক ধাপ এগিয়ে থাকলেন চ্যাম্পিয়নস ট্রফির শেষ চারে।
রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে মুখোমুখি হয়েছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দল ভারত ও পাকিস্তান। দুবাইয়ে আগে ব্যাট করে ৪৯.৪ ওভারে ২৪১ রান করে বাবর-রিজওয়ানরা। পরে সহজ লক্ষ্য তাড়ায় মাঠে নেমে ৪২.৩ ওভারে ৬ উইকেটের জয় তুলে নেয় ভারত।
এ জয়ে সেমিফাইনালে যাওয়া এক প্রকার অনিশ্চিত হয়ে গেল পাকিস্তানের। দুই ম্যাচের দু’টো হেরে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে নামলো বাবর আজমের দল। বিপরীতে দু’ম্যাচের দুই জয়ে সেমিফাইনালের আরো এক ধাপ এগিয়ে থাকলো দাপুটে ভারত।
পাকিস্তান বরাবরই বিরাট কোহলির প্রিয় প্রতিপক্ষ। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে বরাবরই ব্যাট হাতে দারুণ কিছু উপহার দেন তিনি। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেও ধরে রাখলেন সেই ধারা, ক্যারিয়ারের ৫২তম শতক তুলে নিলেন বিরাট।
অবশ্য ব্যাট হাতে এদিন রান পাননি রোহিত শর্মা। ভারতীয় এই অধিনায়ক ফেরেন ১৫ বলে ২০ রান করে। তবে শুভমান গিলের সাথে জমে উঠে কোহলির জুটি, যোগ হয় ৬৯ রান। গিল আউট হোন ৫২ বলে ৪৬ রানে।
এরপর দায়িত্ব পুরোটাই নিজের কাঁধে নেন বিরাট কোহলি। শ্রেয়াস আইয়ারের সাথে চতুর্থ উইকেটে গড়েন ১১৪ রানের জুটি। তাতেই অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যায় ভারতের জয়। আইয়ার ৬৭ বলে ৫৬ করে খুশদিল শাহর শিকার হন।
এরপর হার্দিক পান্ডিয়া (৮) দ্রুত ফিরলেও অক্ষর প্যাটেলকে নিয়ে বাকি কাজ সারেন কোহলি। ৪২.৩ ওভারে খুশদিলকে চার মেরে জয় নিশ্চিত করেন এই ক্রিকেটার। একইসাথে ক্যারিয়ারের ৫২তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। যা পাকিস্তানের বিপক্ষে তার চতুর্থ শতক।
এই সেঞ্চুরি করার পথে অনন্য আরো একটা রেকর্ডের মালিক হয়েছেন কোহলি। ওয়ানডে ক্রিকেটে ১৪ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। তার আগে শচীন টেন্ডুলকার ও কুমার সাঙ্গাকারা এই রেকর্ড স্পর্শ করলেও সবচেয়ে কম ইনিংস (২৮৭) লাগে কোহলির।
বল হাতে তেমন কোনো ভূমিকা রাখতে পারেননি শাহিন আফ্রিদিরা। ২ উইকেট নিলেও পাকিস্তানি এই পেসার দেন ৭৪ রান। আবরার ও খুশদিল নেন একটা করে উইকেট।
এর আগে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে সুবিধা করতে পারেনি পাকিস্তান। ৮.২ ওভারে ৪১ রানের জুটি ভেঙে ফেরেন বাবর আজম। ২৬ বল খেলে করেন ২৩ রান। পরের ওভারে ফেরেন ইমাম উল হকও, ২৬ বলে মাত্র ১০ রান করেন তিনি।
এরপর ইনিংসের হাল ধরেন মোহাম্মদ রিজওয়ান ও সৌদ শাকিল। শতাধিক রানের জুটি হয় তাদের মাঝে। তবে থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি পাকিস্তান অধিনায়ক। ৭৭ বলে ৪৬ করে অক্ষর প্যাটেলের শিকার তিনি।
রিজওয়ান ফেরার পর সৌদ শাকিলও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ৭৬ বলে ৬২ করে হার্দিক পান্ডিয়াকে উইকেট দিয়ে ফেরেন শাকিল। তইয়্যব তাহিরও থিতু হতে পারেননি (৪)। ৩৬.১ ওভারে পাকিস্তানের সংগ্রহ ছিল ৪ উইকেটে ১৬০।
এরপর আগা সালমান ও খুশদিল শাহ মিলে দলকে পৌঁছান ২০০ রানে। সালমান ২৪ বলে ১৯ রানে আউট হলে বিপদে পড়ে পাকিস্তান। পরের বলে শাহিন আফ্রিদিও ফেরেন ডাক মেরে। যদিও নয়ে নেমে নাসিম শাহ করেন ১৪ রান।
তবে খুশদিলের কল্যাণে ২৪১ রান পর্যন্ত পৌঁছায় পাকিস্তান। শেষ ব্যাটার হিসেবে হার্ষিত রানার বলে ৩৯ বলে ৩৭ করে আউট হন তিনি। ২ বল আগে গুটিয়ে যায় দল। কুলদীপ যাদব ৩ ও হার্দিক পান্ডিয়া নেন ২ উইকেট।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা