২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯ ফাল্গুন ১৪৩০, ২২ শাবান ১৪৪৬
`

হার দিয়েই চ্যাম্পিয়নস ট্রফি শুরু বাংলাদেশের

- ছবি : নয়া দিগন্ত

পারলো না বাংলাদেশ, হলো না ২০০৭ বিশ্বকাপের পুনরাবৃত্তি। বাড়লো বৈশ্বিক আসরে ভারতকে আরো একবার হারানোর অপেক্ষা। হার দিয়েই শুরু হলো বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি।

চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) মুখোমুখি হয় ভারত ও বাংলাদেশ। দুবাইয়ে টসে জিতে আগে ব্যাট করে ৪৯.৪ ওভারে ২২৮ রান করে টাইগাররা। জবাবে ৪৬.৩ ওভারে ৬ উইকেটের জয় তুলে নেয় ভারত।

ব্যাট হাতে তেমন একটা সুবিধা করতে না পারায় বল হাতে শুরু থেকেই ভারতকে চেপে ধরতে হতো। তবে সেই কাজটা করতে পারেননি তাসকিন-মিরাজরা। সুবাদে শুরুতেই জয়ের ভিত গড়ে ফেলে ভারত।

লক্ষ্য তাড়ায় ভালো শুরু পায় তারা। ৯.৫ ওভারে ৬৯ রান তুলে প্রথম উইকেট হারায়। ৩৬ বলে ৪১ রান করে তাসকিন আহমেদের শিকার হোন রোহিত শর্মা। তবে আরেক ওপেনার শুভমান গিল খেলতে থাকেন নিজের মতো।

পরের উইকেট আসে ২২.৪ ওভারে ১১২ রানে। বিরাট কোহলিকে নাজমুল হোসেন শান্তর ক্যাচ বানান রিশাদ হোসাইন। ৩৮ বলে ২২ রান করেন রিশাদ। তিনে নামা শ্রেয়াস আইয়ারও (১৫) থিতু হতে পারেননি। মোস্তাফিজের শিকার তিনি।

পাঁচে নামা অক্ষর প্যাটেলকেও ফেরান রিশাদ। ১২ বলে ৮ করেন তিনি। ফলে পর্যন্ত ৩১ ওভারে ১৪৪ রানে ৪ উইকেট হারায় ভারত। তবে এরপর আর উইকেটের দেখা পায়নি বাংলাদেশ। লোকেশ রাহুলকে নিয়ে জয় নিশ্চিত করেন গিল।

রাহুলকে নিয়ে বাকি পথ পাড়ি দেন গিল। সেই সাথে আইসিসির র‍্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ এই ব্যাটার তুলে নেন সেঞ্চুরিও। ১২৯ বলে ১০১ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। সর্বশেষ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের শেষ ম্যাচেও সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন তিনি।

এদিকে রাহুল অপরাজিত থাকেন ৪৭ বলে ৪১ রানে।বাংলাদেশের হয়ে রিশাদ হোসেন ৩৮ রানে ২, তাসকিন আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমান নেন একটা করে উইকেট।।

এর আগে, এ দিন ব্যাট হাতে মাঠে নেমেই চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। কিছু বুঝে উঠার আগেই নেই ২ উইকেট। প্রথম ওভারের শেষ বলে উইকেটকিপার রাহুলকে ক্যাচ দেন সৌম্য। ৫ বলে ০ রান করে মোহাম্মদ শামির শিকার তিনি।

এরপর হর্ষিত রানার করা দ্বিতীয় ওভারের চতুর্থ বলে নাজমুল হোসেন শান্ত উইকেট দিয়ে আসেন। শর্ট কাভারে কোহলিকে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন ২ বলে ০ রান করে। মাত্র ২ রানে ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

শুরুর ধাক্কা সামলে উঠার চেষ্টা করেন তানজিদ তামিম ও মেহেদী মিরাজ মিলে। তবে তাদের জুটি বড় হয়নি। থিতু হবার আগেই ফেরেন মেহেদী মিরাজ। ১০ বলে মাত্র ৫ রান করেন তিনি। ২৬ রানে হয় তৃতীয় উইকেটের পতন।

এরপর আর মাত্র ৯ রান যোগ করতেই ইনিংসের মেরুদণ্ড ভেঙে যায় বাংলাদেশের। ভেঙে দেন অক্ষর প্যাটেল। ৮.২ ওভারে প্রথমে তামিমকে ফেরান। থিতু হয়ে যাওয়া এই ওপেনার ফেরেন ২৫ বলে ২৫ করে।

পরের বলেই অক্ষরের শিকার মুশফিকুর রহিম। অভিজ্ঞ এই ব্যাটারকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানিয়ে উপহার দেন গোল্ডেন ডাক। মাত্র ৩৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে সর্বনিম্ন পুঁজিতে গুটিয়ে যাবার শঙ্কা দেখা দেয়।

ভারতীয় বোলারদের তোপে যখন ধুঁকতে থাকে টাইগাররা, তখন দলকে উদ্ধার করছেন হৃদয় ও জাকের মিলে। দেখেশুনে ধীরে সুস্থেই খেলতে থাকেন তারা। গড়ে তুলেন প্রতিরোধ।

এর মাঝে এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে প্রথম ফিফটি তুলে নেন জাকের আলি। ৮৭ বলে এই মাইলফলকে পৌঁছান তিনি। পরের ওভারেই ফিফটি পূরণ করেন হৃদয়। তিনি এই মাইলফলকে পৌঁছান ৮৫ বলে।

এরপর অবশ্য ইনিংস আর বেশিদূর টানতে পারেনি জাকের। শামির বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ১১৪ বলে ৬৮ করে। আটে নেমে রিশাদ ১২ বলে ১৮ রান করেন। কিন্তু বাকি আর কেউ তেমন সঙ্গ দিতে পারেননি হৃদয়কে।

তবে এর মাঝেই দারুণ একটা শতক তুলে নেন হৃদয়। চ্যাম্পিয়নস ট্রফি তো বটেই, আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতেও যা তার প্রথম শতক। ৪৯.৪ ওভারে ১১৮ বলে ১০০ রানে আউট হন তিনি। তাতে শেষ হয় বাংলাদেশের ইনিংস।

ভারতের হয়ে মোহাম্মদ শামি ৫, হর্ষিত রানা ৩ ও অক্ষর প্যাটেল নেন ২ উইকেট।


আরো সংবাদ



premium cement