২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮ ফাল্গুন ১৪৩১, ২১ শাবান ১৪৪৬
`

ইয়ং-লাথামের জোড়া সেঞ্চুরিতে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ৩২০ রান

ইয়ং-লাথামের জোড়া সেঞ্চুরিতে নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ৩২০ রান - ছবি : সংগৃহীত

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম ম্যাচেই নিউজিল্যান্ডের হয়ে সেঞ্চুরি করেছেন দুই ব্যাটার উইল ইয়ং ও টম লাথাম। তাদের জোড়া সেঞ্চুরিতে আজ শুরু হওয়া টুর্নামেন্টের নবম আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ৩২০ রান করেছে নিউজিল্যান্ড। ইয়ং ১০৭ রানে আউট হলেও লাথাম ১১৮ রানে অপরাজিত থাকেন। এছাড়া গ্লেন ফিলিপস ৩৯ বলে ৬১ রান করেন।

করাচি জাতীয় স্টেডিয়ামে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নিউজিল্যান্ডের হয়ে ৪৫ বলে ৩৯ রানের সূচনা করেন দুই ওপেনার ইয়ং ও ডেভন কনওয়ে। অষ্টম ওভারের তৃতীয় বলে কনওয়েকে ১০ রানে বোল্ড করে নিউজিল্যান্ডের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন পাকিস্তানের স্পিনার আবরার আহমেদ।

কনওয়ের বিদায়ে ক্রিজে আসেন ইনফর্ম কেন উইলিয়ামসন। পরের ওভারে পাকিস্তান পেসার নাসিম শাহর বলে উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ রিজওয়ানকে ক্যাচ দেন ২ বলে ১ রান করা উইলিয়ামসন।

চার নম্বরে সুবিধা করতে পারেননি ড্যারিল মিচেলও। পাকিস্তানের আরেক পেসার হারিস রউফের শিকার হবার আগে ২৪ বলে ১০ রান করেন মিচেল। এতে ৭৩ রানে ৩ উইকেট পতনে চাপে পড়ে নিউজিল্যান্ড।

তবে চতুর্থ উইকেট জুটিতে নিউজিল্যান্ডকে ভালো অবস্থায় নেন ইয়ং ও উইকেটরক্ষক টম লাথাম। ২৩তম ওভারে দলে রান ১ শ’ এবং ৩১তম ওভারে দলের রান দেড় শ’তে নেন তারা।

৩৫তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ৪১ ম্যাচের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে চতুর্থ সেঞ্চুরি তুলে নেন ইয়ং। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিউজিল্যান্ডের চতুর্থ ব্যাটার হিসেবে সেঞ্চুরি করলেন তিনি।

দলের রান ২ শ’ হবার আগেই পেসার নাসিম শাহর শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেন ১০৭ বলে সেঞ্চুরি করা ইয়ং। ১১৩ বলে ১২টি চার ও ১টি ছক্কায় ১০৭ রানের ইনিংসটি সাজান তিনি। লাথামের সাথে ১২৬ বলে ১১৮ রান যোগ করেন ইয়ং।

দলীয় ১৯১ রানে ইয়ং ফেরার পর নিউজিল্যান্ডের রানের গতি বাড়ান ক্রিজে সেট ব্যাটার লাথাম ও গ্লেন ফিলিপস। এতে ৪৫ ওভারেই আড়াই শ’তে পা রাখে নিউজিল্যান্ড।

৪৭তম ওভারের তৃতীয় বলে ১৫৩তম ওয়ানডেতে অষ্টম শতক পূর্ণ করেন লাথাম। এজন্য ৯৫ বল খেলেন এই বাঁ-হাতি ব্যাটার।

এই ইনিংসে জোড়া সেঞ্চুরিতে রেকর্ড বইয়ে জায়গা করে নিয়েছেন ইয়ং ও লাথাম। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে একই ইনিংসে পঞ্চমবারের মতো এটি জোড়া সেঞ্চুরির রেকর্ড।

লাথামের সাথে তাল মিলিয়ে ব্যাট হাতে ঝড় বইয়ে দেন ফিলিপস। মাত্র ৩৪ বলে ওয়ানডেতে পঞ্চম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি।

শেষ ওভারের চতুর্থ বলে আউট হবার আগে পঞ্চম উইকেটে লাথামের সাথে ৭৪ বলে ১২৫ রানের ঝড়ো জুটি গড়েন ফিলিপস। এরমধ্যে শেষ ১০ ওভারে নিউজিল্যান্ডকে ১১৩ রান এনে দেন লাথাম-ফিলিপস। এতে ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ৩২০ রানের বড় সংগ্রহ পায় নিউজিল্যান্ড।

৩টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৩৯ বলে ৬১ রান করেন ফিলিপস। ১০টি চার ও ৩টি ছক্কায় ১০৪ বলে ১১৮ রানে অপরাজিত থাকেন লাথাম।

পাকিস্তানের দুই পেসার নাসিম ৬৩ রানে এবং হারিস ৮৩ রনে ২টি করে উইকেট নেন।
সূত্র : বাসস


আরো সংবাদ



premium cement