চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পর্দা উঠছে আজ, মুখোমুখি পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৩৯
নানা আলোচনা-সমালোচনা আর টালবাহানার পর মাঠে গড়াচ্ছে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। পর্দা উঠছে বৈশ্বিক এই আসরের। শুরু হচ্ছে আরো একটা শিরোপার লড়াই। উদ্বোধনী ম্যাচে করাচিতে মাঠে নামছে পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড।
এবারের আসরের আয়োজক পাকিস্তান। তবে একক নয়, সহ-আয়োজক হিসেবে থাকছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। মূলত পাকিস্তানে যেতে না চাওয়ায় বাধ্য হয়ে ভারতের ম্যাচ আমিরাতে আয়োজন করতে হচ্ছে।
১৯৯৬ সালের পর এই প্রথম কোনো আইসিসি ইভেন্ট আয়োজন করছে পাকিস্তান। ফলে পাকিস্তানবাসীর জন্য আজ বেশ আনন্দের দিন। ২৯ বছর পর কোনো আইসিসি ইভেন্ট ফিরছে পাকিস্তানে।
২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কা দলের ওপর সন্ত্রাসী হামলা হলে আইসিসির ইভেন্ট তো দূর, দীর্ঘদিন পাকিস্তানে গড়ায়নি কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচও। তবে ২০১৫ সাল থেকে কড়া নিরাপত্তায় মাঠে গড়ায় বেশ কয়েকটি দ্বিপক্ষীয় সিরিজ।
দ্বিপক্ষীয় সিরিজগুলো সফল আয়োজনের পর সর্ব শেষ এশিয়া কাপের আয়োজকও ছিল পাকিস্তান। যদিও ভারতের পাকিস্তান ভীতির কারণে শেষ পর্যন্ত হাইব্রিড মডেলে অন্তর্ভুক্ত করা হয় শ্রীলঙ্কাকেও। সেই আয়োজন সফল হয়।
সুবাদে এবার তারা আয়োজন করছে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। আজ বুধবার আসরের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হবে গ্রুপ ‘এ’র দু’দল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড। করাচিতে ম্যাচটি শুরু হবে বিকেল ৩টায়।
উদ্বোধনী ম্যাচ খেলতে মাঠে নামা এই দু’দল মুখোমুখি হয়েছে কিছুদিন আগেও। সদ্য শেষ হওয়া ত্রিদেশীয় সিরিজের গ্রুপ পর্বের এক ম্যাচসহ ফাইনালেও খেলে তারা। যেখানে অবশ্য পাত্তাই পায়নি স্বাগতিকেরা।
গ্রুপ পর্বের দেখায় ৩৩০ রান তাড়ায় তারা হারে ৭৮ রানে হেরে যায় পাকিস্তান। আর ফাইনালে আগে ব্যাট করে ২৪২ রান তুলে স্বাগতিকেরা হেরে যায় ৫ উইকেটে। এমতাবস্থায় মূল লড়াইয়ের আগে পাকিস্তানের আত্মবিশ্বাস তাই একদম তলানিতে।
ত্রিদেশীয় সিরিজ যেন কিউইদের শক্তির কথাই বলে গেল। সারাবছর যেমন-তেমন হলেও কোনো ইভেন্ট আসলেই যেন বদলে যায় তারা। পরিসংখ্যানও সেই কথাই বলে। কিউইদের রাখতে হয় ফেভারিটের খাতায়।
এবারো ব্যতিক্রম নয়। পাকিস্তানে এসেই পরিবেশের সাথে মানিয়ে নিয়েছে তারা। ত্রিদেশীয় সিরিজের ৩ ম্যাচে সবমিলিয়ে ৮৮১ রান করেছে নিউজিল্যান্ড, হারিয়েছে মাত্র ১৫ উইকেট। দারুণ ছন্দে আছেন তাদের দলের বড় নাম কেন উইলিয়ামসন।
অবশ্য সব ভুলে পাকিস্তান অবশ্য টুর্নামেন্ট রাঙানোর ছক কষছে। ঘরের মাঠে শিরোপা জিততে চায় তারা, ধরে রাখতে চায় ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন তকমা। যদিও দলে আছে চোট সমস্যা, আছে ছন্দহীনতাও।
তবে নামের সাথে তো আছেই আনপ্রেডিক্টেবল শব্দটা। না হয় ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিই তে তাদের জেতা হয় না!
পরিসংখ্যান অবশ্য বলছে দু’দলের লড়াই হয় বেশ হাড্ডাহাড্ডি। ওয়ানডে ১১৮ দেখায় যেখানে পাকিস্তানের জয় ৬১টি ম্যাচে। বিপরীতে নিউজিল্যান্ড হেসেছে ৫৩ বার। ফলাফল আসেনি ৩ ম্যাচে। দেখা যাক এবার কী হয়!
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা