২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮ ফাল্গুন ১৪৩১, ২১ শাবান ১৪৪৬
`

চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেরাদের খোঁজে

ক্রিস গেইল - ছবি : সংগৃহীত

দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। রাত পোহালেই শুরু মহারণ। তবে ‘বড়’ এই আসরকে সামনে রেখে সরব হয়ে উঠেছে ক্রিকেট পাড়া। ভবিষ্যৎবাণী করতে শুরু করেছেন সাবেক ক্রিকেটার থেকে ক্রিকেটবোদ্ধা কিংবা সমর্থকেরা।

কোন দল চ্যাম্পিয়ন হবে এই নিয়ে যেমন আলোচনা আছে, আলোচনা হচ্ছে কে বেশি রান করবেন, সবচেয়ে বেশি উইকেট কে পাবেন- তা নিয়েও। এই যখন অবস্থা তখন চলুন দেখে আসি আগের সাত আসর শেষে ব্যাটে-বলে সেরাদের।

চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় শীর্ষে ক্রিস গেইল। মাত্র ১৭ ইনিংসে ৭৯১ রান করেছেন তিনি। গড় ৫০ এর বেশি। তার এমন দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের ফলে ২০০৪ সালে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির চ্যাম্পিয়ন হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ২১ ম্যাচ খেললেও কোনো সেঞ্চুরি নেই মাহেলা জয়াবর্ধনের। তবে ব্যাট হাতে ঠিকই ধারাবাহিক ছিলেন তিনি। আছে ৫টা ফিফটি। সবমিলিয়ে তার ব্যাটে এসেছে ৭৪২ রান। ২০০২ সালে শ্রীলঙ্কার যৌথ চ্যাম্পিয়ন হওয়া পেছনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান আছে তার।

চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সবচেয়ে কার্যকরী ব্যাটার বলা যায় শিখর ধাওয়ানকে। মাত্র ১০ ইনিংসেই তিনি করেছেন ৭০১ রান। যেখানে গড় ৭৭.৮৮। আছে ৩ সেঞ্চুরি আর ৩ ফিফটি। ২০১৩ সালে ভারতকে চ্যাম্পিয়ন করার পথে টুর্নামেন্টের সেরা ব্যাটার হয়েছিলেন এই তারকা।

পাঁচ আসর মিলিয়ে ২১ ইনিংস খেলেছেন কুমার সাঙ্গাকারা, করেছেন ৩৮ গড়ে ৬৮৩ রান। অন্যদের তুলনায় তাঁর পরিসংখ্যান খানিকটা সাদামাটা হলেও ২০০২ সালে দলকে চ্যাম্পিয়ন করতে বড় ভূমিকা ছিল তার।

সৌরভ গাঙ্গুলিও সৌরভ ছড়িয়েছেন চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে। মাত্র ১১ ইনিংস খেলেই সমান তিনটি করে সেঞ্চুরি ও হাফসেঞ্চুতে ৬৬৫ রানের মালিক বনে গিয়েছেন তিনি।

বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ২৯৩ রান তামিম ইকবালের। ২০১৭ সালে সর্বশেষ আসরে ৪ ম্যাচ খেলেই এই রান করেন তামিম। তাছাড়া সাকিব আল হাসান ৭ ম্যাচে ২৭১ রান করেন। তবে তাদের কেউ নেই এবারের আসরে।

অন্যদিকে বল হাতে সবার সেরা কাইল মিলস। নিউজিল্যান্ডের এই পেসার ২০০২ থেকে ২০১৩ সাল নাগাদ ১৫টি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ম্যাচ খেলে শিকার করেন ২৮ উইকেট। যেখানে সেরা ৩০/৪।

দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন শ্রীলঙ্কার সাবেক অধিনায়ক লাসিথ মালিঙ্গা। তিনি ২০০৬ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ১৬ ম্যাচ থেকে ২৫ উইকেট সংগ্রহ করেছেন। তার সেরা বোলিং হলো ৩৪/৪।

তৃতীয় স্থানে রয়েছেন শ্রীলঙ্কার সাবেক স্পিন কিংবদন্তি মুত্তিয়া মুরালিধরন। তিনি ১৯৯৮ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ১৭ ম্যাচ থেকে ২৪ উইকেট সংগ্রহ করেছেন। তার সেরা বোলিং ফিগার ১৫ রানে ৪ উইকেট।

অস্ট্রেলিয়ার সাবেক পেস কিংবদন্তি ব্রেট লি আছেন চতুর্থ স্থানে। ২০০০ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত তিনি ১৬ ম্যাচ খেলে ২২ উইকেট সংগ্রহ করেছেন। তার সেরা বোলিং হলো ৩৮ রানে ৩ উইকেট।

পঞ্চম স্থানে রয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার আরেক সাবেক পেস কিংবদন্তি গ্ল্যান ম্যাকগ্রা। তিনি ২০০০ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ১২ ম্যাচ থেকে ২১ উইকেট সংগ্রহ করেছেন। তার সেরা বোলিং ফিগার ৩৭ রানে ৫ উইকেট।

বাংলাদেশের হয়ে বোলিংয়ে সেরা মোহাম্মদ রফিক। ৮ ম্যাচ খেলে ৬ উইকেট তার। বাকিরা আর কেউ নেই সেরা এক শ’র মাঝে।

চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে কমপক্ষে ৫০০ রান ও ১০ উইকেট নেয়া খেলোয়াড় আছেন মাত্র দু’জন। ক্রিস গেইলের ৭৯১ রানের সাথে আছে ১৭ উইকেট। আর জ্যাক ক্যালিসের ৬৫৩ রানের সাথে আছে ২০ উইকেট।

তবে অবাক করা বিষয় হলো, ব্যাটারদের তালিকা বলেন কিংবা বোলার; সেরা পাঁচে থাকা কেউই নেই এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে।


আরো সংবাদ



premium cement