২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭ ফাল্গুন ১৪৩১, ২০ শাবান ১৪৪৬
`

বিপিএলের টিকিট বিক্রিতে রেকর্ড, ভাগ পাবে দলগুলোও

বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ - ছবি : নয়া দিগন্ত

এবারের বিপিএল নিয়ে প্রশ্নের শেষ নেই। নানা কাণ্ডে প্রশ্নবিদ্ধ দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় এই আসর। উঠেছে ফিক্সিং-এর মতো গুরুতর অভিযোগ। তবে এর মাঝেও আছে মন ভালো হবার মতো বেশ কিছু উপাদান।

এবারের আসরে স্টেডিয়ামগুলোতে দর্শকদের উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো। তাদের সরব সমর্থন পকেট বেশ ভারী করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি)। মোটা অঙ্কের উপার্জন হয়েছে টিকিট বিক্রি করে।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ বলেছেন, ‘পুরো বিপিএলে আমরা প্রায় ১২ কোটি ২৫ লাখ টাকার টিকিট বিক্রি করেছি।’

তিনি বলেন, ‘অথচ গত ১০ আসরে টিকিট বিক্রি হয়েছে, ১৫ কোটি টাকার মতো। সে বিবেচনায় আমরা এক বছরেই সেটার কাছাকাছি চলে গিয়েছি। আমরা টিকিট স্বত্ব বিক্রি বাবদও তিন বছরের চুক্তি করেছি এক কোটি টাকা করে।’

এই টাকা অবশ্য পুরোটাই জমা পড়ছে না বিসিবির ফান্ডে। টিকিট বিক্রির ভাগ পাবে ফ্র্যাঞ্চাইজিরা, এমনটা জানিয়েছেন ফারুক আহমেদ। তবে ঠিক কতটা করে বা কিভাবে পাবেন তারা, তা স্পষ্ট করেননি ফারুক।

এবারের বিপিএলের অনেকগুলো বিতর্কের মাঝে টিকিট কাটা নিয়ে দর্শকরা ঝামেলায় পড়া, পারিশ্রমিক দিতেও গড়িমসি করা, ফিক্সিংয়ের সন্দেহ এমন অনেক কিছুই মাঠের খেলাকে ছাপিয়ে গেছে কখনো কখনো। তবে এসব স্বীকার করে নিয়েই বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘বিপিএলে কিছু সীমাবদ্ধতা ছিল। টিকিট যেহেতু নতুন একটা সিস্টেমে এসেছে, প্রথম দিকে ঝামেলা ছিল। দুয়েকটা ফ্র্যাঞ্চাইজি টাকা দেয়ার ব্যাপারেও একটু অসুবিধার সৃষ্টি করেছে। তবে যদি সব মিলিয়ে দর্শক, উইকেট, টিকিট বিক্রি, দর্শকদের অংশগ্রহণ এবং আমাদের টিভি প্রোডাকশন ভালো হয়েছে।’

এদিকে পরের বিপিএল নিয়েও কথা বলেন ফারুক। তিনি জানান, ‘আগামীর বিপিএল নিয়ে এখনই কাজ শুরু করে দিয়েছি। একটা সময় বের করেছি আমরা। এখন তো সব দেশে অনেকগুলো টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট হয়, ওগুলোর সাথে সময়টা সাংঘর্ষিক হয়ে যায়। আমরা একটু অন্যরকম করে করতে পারি সময়, যেন একটু মানসম্পন্ন বিদেশী পাই।’


আরো সংবাদ



premium cement