কে হচ্ছেন বিপএলের সেরা?
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:৪৫, আপডেট: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮:৫৭
আধিপত্য ধরে রাখবে কী বরিশাল, ঘরে তুলবে টানা দ্বিতীয় শিরোপা, নাকি দুঃখ ঘুচিয়ে শিরোপা ভিড়বে বন্দরনগরীতে? ফের তামিম ইকবাল চুমু আঁকবেন শিরোপায়! নাকি মোহাম্মদ মিথুন পেয়ে যাবেন প্রথম শিরোপার স্বাদ?-এমন সব প্রশ্ন যখন ঘুরপাক খাচ্ছে ক্রিকেট পাড়ায়, তখন আরো প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে, টুর্নামেন্ট সেরা হবেন কে?
সাত দলের হয়ে খেলেছেন শতাধিক ক্রিকেটার। সুপ্ত প্রতিভাবান দেশীয়রা তো বটেই, জাতীয় দলের তারকারাও যেখানে ছড়ি ঘুরান। আর পৃথিবী চষে বেড়ানো ক্রিকেট ফেরিওয়ালারাও আসেন দলে দলে। ফলে এতো এতো তারকার ভিড়ে বিপিএল মঞ্চের সেরা ক্রিকেটার হওয়া চাট্টিখানি কথা নয়! ৩১ ডিসেম্বর শুরু হয় বিপিএলের ১০ম আসর।
আজ বৃহস্পতিবার চিটাগং কিংস আর ফরচুন বরিশালের মধ্যকার শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ দিয়ে পর্দা নামবে এবারে বিপিএলের। স্বভাবজাত নিয়মে চ্যাম্পিয়ন খুঁজে পাবার পরে বেছে নেয়া হবে একজন ক্রিকেটারকে। যার হাতে উঠবে আসর সেরার খেতাব।
একটা সময় গাড়ি দেয়া হতো, মোটরসাইকেলেরও দেখা মিলেছিল। তবে কালের বিবর্তনে জৌলুস হারানো বিপিএলে এখনকার টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার মোটে পাঁচ লাখ টাকা। যদিও টাকা নয়, এখানে সম্মানটাই বড় হয়ে দাঁড়ায়।
আগের ১০ আসরে চারবারই এমন সম্মান জুটেছে সাকিব আল হাসানের ললাটে। শেষবার এই পুরস্কার জেতেন তামিম ইকবাল। তাদের ছাড়াও বিপিএল সেরা হয়েছেন- মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, আসহার জাইদি, ক্রিস গেইল, আন্দ্রে রাসেল ও নাজমুল হোসেন শান্ত।
তবে এই আসরে তাদের মধ্যে তামিম ছাড়া আর কেউই নেই আলোচনায়। চারবারের সেরা সাকিব আল হাসান দলে থাকলেও রাজনৈতিক কারণে পারেননি খেলতে। অন্যদিকে ক্রিস গেইল, আসহার জাইদিও নেই এবারের আসরে।
আন্দ্রে রাসেল বিপিএলে এসেছেন বটে, তবে একটা মাত্র ম্যাচ খেলেছেন তিনি। ফলে তিনিও নেই তালিকায়। নাজমুল হোসেন শান্তও ভালো করতে পারেননি, ৫ ম্যাচে মাত্র ৫৬ রানে বিপিএল শেষ তার।
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও নেই দৌঁড়ে, ৭ ম্যাচে ১৯৯ রান আর মাত্র একটা উইকেট তার ঝুলিতে। তবে তামিম ইকবাল ধারাবাহিক ভালো করেছেন। ১৩ ম্যাচে ৩৫৯ রান নিয়ে আছেন তালিকার ৭ নম্বরে। তবে রান আরো বাড়িয়ে নিতে ফাইনাল ম্যাচ তো পাচ্ছেনই তিনি!
ফাইনালে ব্যাট হাতে দারুণ কিছু নিশ্চয়ই করতে চাইবেন তামিম। তাই যদি হয়, তবে টানা দ্বিতীয়বারের মতো এই পুরস্কার উঠতে পারে বরিশাল অধিনায়কের হাতে। তবে এই লড়াইয়ে তার আছে বেশ কয়েকজন শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বীও।
খুলনা দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার থেকে একদম শেষ মুহূর্তে বাদ পড়ে যাওয়ায় মেহেদী মিরাজ একটু আড়ালে চলে গেলেন। তবে গোটা আসরজুড়ে তার পারফরম্যান্স ছিল নজরকাড়া। দক্ষ নাবিকের মতো খুলনার নেতৃত্ব দিয়েছেন।
সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন বলা যায়। পারফরম্যান্সও তাই বলে। ব্যাটে-বলে সমান দাপট তার। ১৪ ইনিংসে ১৩৩ স্ট্রাইকরেটে ৩৫৫ রান তার। আছেন তামিমের পর দিয়েই। কিন্তু সেই সাথে ১৩ উইকেট আছে তার।
এদিকে এই দৌড়ে আছেন খুলনার আরো একজন, নাইম শেখ। দল আসর থেকে বিদায় নিলেও নাইম আছেন আলোচনায়। ব্যাট হাতে আসরে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ৫১১ রান তার। স্ট্রাইকরেট ১৪৪।
এদিকে ফাহিম আশরাফও আছেন আলোচনায়। আসরের এখন পর্যন্ত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী ফাহিমের ঝুলিতে উইকেট সংখ্যা ২০। সেইসাথে ব্যাট হাতে আছে ১০২ রান। যা আরো বাড়িয়ে নেয়ার সুযোগ আছে ফাইনালে।
আরেক ফাইনালিস্ট চট্টগ্রামেরও প্রতিনিধি আছে। পেসার খালেদ আহমেদও আছেন দৌড়ে। ২০ উইকেট নিয়েছেন তিনিও। তাছাড়া সর্বোচ্চ ২৫ উইকেট নেয়া রাজশাহীর পেসার তাসকিন আহমেদও থাকবেন নিশ্চয়ই আলোচনায়।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা