০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২১ মাঘ ১৪৩১, ৪ শাবান ১৪৪৬
`

চট্টগ্রামকে অপেক্ষায় রেখে ফাইনালে বরিশাল

- ছবি : নয়া দিগন্ত

চট্টগ্রামকে অপেক্ষায় রেখে বিপিএলের ফাইনালে ফরচুন বরিশাল। শিরোপা ধরে রাখার মিশনে অনেকটাই এগিয়ে গেছে তারা। টানা দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হতে আর বাকি মাত্র একটা ধাপ।

চিটাগং কিংসকে ৯ উইকেটে হারিয়ে প্রথম দল হিসেবে ফাইনালের টিকিট কাটল তামিমের দল। যেখানে আগে ব্যাট করে ৯ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৪৯ রান তুলে চিটাগং। জবাবে ১৭.২ ওভারে জয় নিশ্চিত করে বরিশাল।

ফাইনালে উঠার লড়াইয়ে বরিশালকে এগিয়ে দেন তাওহীদ হৃদয়। আসরে ব্যাট হাতে এর আগে তেমন একটা নজর কাড়তে না পারলেও আসল সময়ে জ্বলে উঠেন তিনি। খেলেন ৫৬ বলে ৮২ রানের অপরাজিত ইনিংস।

শুরুতে অবশ্য দেখেশুনে খেলতে থাকেন তামিম ইকবাল ও তাওহীদ হৃদয়। দু’জনের ওপেনিং জুটি থেকে আসে ৫৫ রান। ২৬ বলে ২৯ রান করে তামিম আউট হলে ভাঙে এই জুটি। খালেদ আহমেদের শিকার হোন তিনি।

এরপর আর কোনো বিপর্যয় ঘটেনি। ডেভিড মালানকে সাথে নিয়ে বাকি কাজটা সারেন তাওহীদ হৃদয়। ১৭.২ ওভারে ৯ উইকেট হাতে রেখে জয়ের বন্দরে নোঙ্গর করে ফরচুন বরিশাল। ২২ বলে ৩৪ রান করেন মালান।

এর আগে, বাকিরা যখন আসা-যাওয়ায় ব্যস্ত, শামীম পাটোয়ারী তখন একাই চেষ্টা করেন যথাসাধ্য। তবে তার ৪৭ বলে ৭৯ রানের ইনিংসও পারেনি চট্টগ্রামকে দেড় শ’ পাড় করাতে। ফাইনালে যেতে সহজ লক্ষ্যই পেল বরিশাল।

সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) মিরপুরে প্রথম কোয়ালিফায়ারে মুখোমুখি হয় চট্টগ্রাম কিংস ও ফরচুন বরিশাল। যেখানে টসে হেরে আগে ব্যাট করে ৯ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৪৯ রান তুলতে পারে মোহাম্মদ মিথুনের দল।

ব্যাটিংয়ে নেমে ৫ ওভার ৩ বলে দলীয় ৩৪ রানে ৪ উইকেট হারায় চট্টগ্রাম। কাইল মায়ার্সের শিকার হয়ে ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই ফেরেন খাজা নাফে (৪)। তৃতীয় ওভারে গ্রাহাম ক্লার্ককেও (৬) ফেরান মায়ার্স।

চতুর্থ ওভারে মোহাম্মদ আলীর শিকার হন অধিনায়ক মোহাম্মদ মিথুন। থিতু হতে পারেননি হায়দার আলীও। ৭ রান করে ফেরেন ইবাদত হোসেনের বলে। এমতাবস্থায় দলকে টানেন পারভেজ ইমন ও শামিম পাটোয়ারি।

পারভেজ ইমন যদিও ইনিংস বড় করতে পারেননি, তবে তার ৩৬ বলে ৩৬ রান এক শ’ পাড় করায় চট্টগ্রামকে। অবশ্য এখানে বড় ভূমিকা রাখেন শামিম। ইমন ফেরার পরও শামিম মারকুটে ব্যাটিংয়ে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন।

দলীয় ১৪৪ রানে ১৮.৩ ওভারে ফেরেন শামিম ৯ চার আর ৪ ছক্কার ইনিংস শেষে। শেষ দিকে আর কেউ দু’ অঙ্কের ঘরে যেতে পারেননি। ১৯তম ওভারে ৪ উইকেটসহ একাই ৫ উইকেট নেন মোহাম্মদ আলি।

উল্লেখ্য, হারলেও ফাইনালে যাবার সুযোগ রয়েছে চট্টগ্রামের। তবে এই জন্য দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে বুধবার জিততে হবে খুলনা টাইগার্সের কাছে।


আরো সংবাদ



premium cement