ফের রংপুরের হার, প্লে-অফের আশা বেঁচে রইল খুলনার

আবারো হারল রংপুর রাইডার্স। পারল না ব্যর্থতার বৃত্ত ভাঙতে। টানা চার হারে শেষ হলো তাদের লিগ পর্ব। নিজেদের শেষ ম্যাচে হেরেছে খুলনা টাইগার্সের কাছে। তাতে ফরচুন বরিশালের নিচে থেকেই প্লে-অফে যাবে রংপুর।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে মিরপুরে মুখোমুখি হয় রংপুর ও খুলনা। যেখানে আগে ব্যাট করে নাইম শেখের সেঞ্চুরিতে ৪ উইকেটে ২২০ রান করে মেহেদী মিরাজের দল। জবাবে ৯ উইকেটে ১৭৪ রান তুলে রংপুর। ৪৬ রানের জয় পায় খুলনা।

টানা আট ম্যাচ জিতে যেই দলটা হয়ে উঠেছিল অপ্রতিরোধ্য, সেই তারাই যেন এখন বিধ্বস্ত। যদিও প্লে-অফ নিশ্চিত হয়েছে আগেই, তবুও কোয়ালিফায়ারে নামার আগে এমন ছন্দহীনতা তাদের জন্য অশনিসংকেত।

এদিকে, খুলনার জন্য এই জয়টা ছিল ভীষণ প্রয়োজন। যা তাদের এখনো টিকিয়ে রেখেছে প্লে-অফের লড়াইয়ে। ১১ ম্যাচে ৫ জয়ে তারা এখন পাঁচ নম্বরে। শেষ ম্যাচে এবার ঢাকাকে হারাতে পারলেই নিশ্চিত করবে প্লে-অফ।

বাঁচা মরার লড়াইয়ে খুলনাকে পথ দেখিয়েছেন নাইম শেখ। ইনিংসের প্রথম বল থেকে একদম শেষ বল নাগাদ খেলে এসেছেন তিনি। অপরাজিত থাকেন ৬২ বলে ১১১ রানে। খুলনার স্কোরবোর্ডে ৪ উইকেটে ২২০।

শুরুর দিকে খানিকটা দেখেশুনেই খেলেন নাইম। এই সময়ে তাকে রেখে ফেরেন মেহেদী মিরাজ ও এলেক্স রস। মিরাজ ১২ বলে ২১ ও রস রান আউট হোন ১২ রানে। ৭.২ ওভারে ৬০ রানে ২ উইকেট হারায় খুলনা।

সেখান থেকে উইলিয়াম বসিস্তোকে নিয়ে ঝড় তুলেন নাইম। দু’জনের জুটিতে ৪৭ বলে আসে ৮৮ রান। বসিস্তো ২১ বলে ৩৬ করে হার মানলেও নাইম শেখ ছুটেন আগ্রাসন ধরে রেখে। মাত্র ৫৫ বলে পৌঁছান তিন অঙ্কে।

নাইমের সাথে শেষ দিকে ঝড় তুলেন মাহিদুল ইসলামও। মাহিদুল শেষ ওভারে ১৫ বলে ২৯ রানে ফিরলেও নাইম অপরাজিত থাকেন সাতটি চার ও আটটি ছক্কার ইনিংস নিয়ে। আকিভ, ইফতেখার ও শেখ মেহেদী নেন একটা করে উইকেট।

জবাব দিতে নেমে জয়ের সম্ভাবনা কখনো জাগাতে পারেনি রংপুর। সৌম্য সরকারের ৪৮ বলে ৭৪ রানের ইনিংস আক্ষেপ বাড়িয়েছে কেবল। তাছাড়া বলার মতো রান কেবল শেখ মেহেদীর, ১৪ বলে ২৭। বাকিরা ছিলেন আসা-যাওয়ায়।

তৌফিক খান ফেরেন দ্বিতীয় ওভারেই (৯), সাইফ হাসান ফেরেন থিতু হবার আগেই (৬)। ইফতেখার আহমেদ ভরসা হয়ে উঠতে পারেননি। ১৫ বলে ১৯ রানেই শেষ তার লড়াই। এরপর অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান ডাক মারলে বিপদ বাড়ে রংপুরের।

শেখ মেহেদী খানিকটা লড়াই করার চেষ্টা করেন। সাইফুদ্দীনের ব্যাটে আসে ১০ বলে ১৮। যা কেবল হারের ব্যবধান কমায়। মুশফিক হাসান ৩ ও নাওয়াজ নেন ২ উইকেট।