ব্যর্থতার বৃত্ত বড় হচ্ছে রংপুরের, টানা তিন হার

ব্যর্থতার বৃত্ত ভাঙতেই পারছে না রংপুর রাইডার্স। টানা আট জয়ের রেশ কাট না কাটতেই পেয়েছে টানা তিন হারের তিক্ত স্বাদ। দুর্বার রাজশাহীর কাছে দুই-দুইবার পরাস্ত হবার পর এবার ধরাশায়ী চিটাগং কিংসের কাছে।

মিরপুরে বুধবার টসে হেরে আগে ব্যাট করে রংপুর। তবে ৫ উইকেটে ১৪৩ রানের বেশি তুলতে পারেনি তারা। জবাবে ১৭.৪ ওভারে জয় নিশ্চিত হয় চট্টগ্রামের। ৫ উইকেটে জিতে পয়েন্ট টেবিলের তিনে উঠে এসেছে তারা।

এইদিন শুরুর দিক থেকেই একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে রংপুর। দ্বিতীয় ওভারেই ওপেনার স্টিভেন টেইলরের (০) উইকেট হারায় তারা। এক ওভার পরেই ফেরেন সাইফ হাসান (৮)। তবে সৌম্য সরকার আশা দেখান।

সেই আশা ভাঙে পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে। ১৭ বলে ২৩ করে রান আউট হোন সৌম্য। এদিকে অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানও ছিলেন ব্যর্থ, ২১ বলে মাত্র ৯ রানে আউট হন তিনি। ইরফান শুক্কুরও ফেরেন দ্রুত (১)।

এরপর ইফতিখার আহমেদ ও শেখ মেহেদী জুটি গড়েন। ৪৬ বলে ৭৫ রান যোগ করে দলকে লড়াকু পুঁজি এনে দেন তারা। ইফতিখার অর্ধশতক তুলে নেন। ৪৭ বলে ৬৫ রান করে অপরাজিত থাকেন। মেহেদী ২০ বলে করেন ২২ রান।

চিটাগাংয়ের পক্ষে খালেদ ৪ ওভারে ৪৪ রানে ২ উইকেট শিকার করেন। ১টি করে উইকেট শিকার করেন শরিফুল ইসলাম ও শামীম পাটোয়ারী।

জবাব দিতে নেমে শুরুটা তেমন ভালো হয়নি চিটাগাংয়েরও। ১০ ওভারে ৬৩ রানে হারায় ৩ উইকেট। মোহাম্মদ মিথুন করেন ১৫ বলে ২০ রান। এরপর অবশ্য চিটাগাংকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। পারভেজ ইমন ও হায়দার আলি গড়েন জুটি।

দু’ইজনের জুটিতে তিন অংকের ঘরে পৌঁছায় দল। এরপর ইমন ৪৩ বলে ৪১ রানে আউট হলেও হায়দার আলিকে থামানো যায়নি। ১৮ বলে ৪৮ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জেতান তিনি। মাঝে শামীম আউট হন ২ বলে ৮ রানে।

রংপুরের বিপক্ষে এ জয়ে ১০ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিনে উঠে এলো চিটাগং। সমান পয়েন্ট নিয়েও নেট রান রেটে পিছিয়ে থাকায় চারে নেমে গেছে দুর্বার রাজশাহী।

ফলে তাদের চোখ রাঙাচ্ছে ১০ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে থাকা খুলনা টাইগার্স। নেট রান রেটে এগিয়ে থাকায় পরের দুই ম্যাচ জিতলেই রাজশাহীকে হটিয়ে প্লে অফে জায়গা করে নিবে খুলনা। তবে একটি ম্যাচ হারলেই পরের রাউন্ড নিশ্চিত হয়ে যাবে রাজশাহীর।

অন্যদিকে সিলেটের পর গ্রুপ পর্বে বিদায় নিশ্চিত হলো ঢাকা ক্যাপিটালসের। ১১ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে তলানিতে সিলেট আর ১০ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে তাদের উপরে ঢাকা।