১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫ মাঘ ১৪৩১, ১৮ রজব ১৪৪৬
`

মুলতানে স্পিনারদের দাপট, চালকের আসনে পাকিস্তান

মুলতানে স্পিনারদের দাপট, চালকের আসনে পাকিস্তান - ছবি : সংগৃহীত

মুলতান ব্যাটারদের জন্য স্বর্গ হলেও পাকিস্তান-ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্টে করছে ভিন্ন আচরণ। দাপট চলছে স্পিনারদের। কুয়াশাচ্ছন্ন আরো একটা দিনে পড়েছে ১৯ উইকেট। দ্বিতীয় দিনশেষে যেখানে চালকের আসনে পাকিস্তান।

শনিবার পাকিস্তানের প্রথম ইনিংস শেষ হয় ২৩০ রানে। জবাবে মাত্র ১৩৭ রানে গুটিয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৯৩ রানের লিড নিয়ে ব্যাট করতে নামা পাকিস্তান দিন শেষ হবার আগে যোগ করেছে ৩ উইকেটে হারিয়ে আরো ১১০ রান।

মুলতান টেস্টের প্রথম দিনে আলোকস্বল্পতায় খেলা শেষ হবার আগে খেলা হয় মাত্র ৪১ দশমিক ৩ ওভার। তাতে ৪ উইকেটে ১৪৩ রান তুলে স্বাগতিকেরা। ৫৬ রান নিয়ে সৌদ শাকিল ও ৫১ রানে ব্যাট করছিলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান।

দ্বিতীয় দিনেও (শনিবার) তাদের ব্যাটেই আশা দেখে পাকিস্তান। তবে তাদের ১৪১ রানের জুটি ভাঙতেই শেষ হয় লড়াই। পাকিস্তান শেষ পর্যন্ত গুটিয়ে যায় ৬৮ দশমিক ৫ ওভারে ২৩০ রানে। দু'জনের কেউ যেতে পারেননি তিন অংকের ঘরে।

১৫৭ বলে ৮৪ রান করে সিনক্লেয়ারের শিকার হন শাকিল। মোহাম্মদ রিজওয়ানকেও ফেরান সিনক্লেয়ারই। ১৩৩ বলে ৭১ রানে থামেন তিনি। শেষদিকে সাজিদ খান ১৮ এবং খুররম শাহজাদ ৭ রান করেন।

৪৭ রানের মাঝে শেষ ৬ উইকেট হারায় পাকিস্তান। ৩টি করে উইকেট নেন সিলস ও ওয়ারিকান।

জবাব দিতে নামা ক্যারিবীয়দের বিপর্যয়ে ফেলেছেন দুই স্পিনার নোমান আলী ও সাজিদ খান। সাজিদ নিজের দ্বিতীয় ও তৃতীয় ওভারের ১১ বলের মধ্যেই তুলে নেন ৪ উইকেট। বাকি কাজটা বেশ ভালোই সারেন নোমান আলি। তার শিকার ৫ উইকেট।

অবশ্য আরো আগেই গুটিয়ে যেত ওয়েস্ট ইন্ডিজ। মাত্র ৬৬ রানে ৮ উইকেট হারিয়েছিল তারা। এরপর গুদাকেশ মোতি আর জোমেল ওয়ারিকানের জুটিতে নব্বই পেরোয়। শেষ উইকেটে জেডন সিলসের সাথে ৪৬ রান যোগ করেন ওয়ারিকান।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে সর্বোচ্চ রান ১০ নম্বরে নামা ওয়ারিকানের। ২৪ বলে ৩১ রান করেন তিনি। সিলস ১৩ বলে ২২ রান করেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোরকার্ডে এরপর সর্বোচ্চ রান আসে অতিরিক্ত থেকে (২২)।

এছাড়া মোতি ১৯, অধিনায়ক ব্রাথওয়েট এবং সিনক্লেয়ার ১১ রান করে করেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ গুটিয়ে যায় ২৫ দশমকি ২ ওভারে ১৩৭ রানে। পাকিস্তান লিড পায় ৯৩ রানের।

দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে একই ভুল আর করেনি পাকিস্তান। উদ্বোধনী জুটিতে যোগ করে ৬৭ রান। মোহাম্মদ হোরাইরা ওয়ারিকানের শিকার হন ৫৮ বলে ২৯ করে। তবে ফিফটি তুলে নেন শান মাসুদ।

দলীয় ১০৬ রানে রান আউট হবার আগে করেন ৫২ রান। মাঝে ফেরেন বাবর আজম। সাবেক এই পাকিস্তান অধিনায়ক ওয়ারিকানের দ্বিতীয় শিকার হয়ে মাত্র ৫ রানেই থামেন। কামরান গুলাম ১০* ও সৌদ শাকিল ব্যাট করছেন ২* রানে।

দিনের শেষভাগে আলোক স্বল্পতার কারণে নির্ধারিত সময়ের আগেই খেলা বন্ধ করেন আম্পায়ার।


আরো সংবাদ



premium cement