১১ জানুয়ারি ২০২৫, ২৭ পৌষ ১৪৩১, ১০ রজব ১৪৪৬
`

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তামিমের রেকর্ডের পরিসংখ্যান

তামিম ইকবাল - ছবি : বাসস

২০০৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে ওয়ানডে দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় বাংলাদেশী ওপেনার তামিম ইকবালের।

শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) ১৮ বছরের বর্ণাঢ্য ক্রিকেট ক্যারিয়ারের ইতি টানার ঘোষণা দিয়েছেন তামিম। ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটে বাংলাদেশের জার্সিতে অনেক নতুন রেকর্ড জন্ম দিয়েছেন এবং অনেক রেকর্ডও ভেঙ্গেছেন এই বাঁ-হাতি ওপেনার। তার সেসব রেকর্ডের দিকেই চোখ বুলানো যাক।

টেস্ট

টেস্ট অভিষেক : ৪ জানুয়ারি, ২০০৮, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে, ডানেডিন
শেষ টেস্ট : ৪ এপ্রিল, ২০২৩, আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে, মিরপুর
৭০ টেস্টের ১৩৪ ইনিংসে ৫১৩৪ রান, সেঞ্চুরি-১০টি, হাফ-সেঞ্চুরি-৩১টি, গড়-৩৮.৮৯

বাংলাদেশের একমাত্র ব্যাটার হিসেবে টানা তিন টেস্টে সেঞ্চুরি করেছেন তামিম। ২০১৪-১৫ মৌসুমে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দু’টি এবং পাকিস্তানের বিপক্ষে একটি সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি।

বাংলাদেশের একমাত্র ব্যাটার হিসেবে টেস্টে টানা পাঁচ ইনিংসে অন্তত হাফ-সেঞ্চুরি করেছেন তামিম। ২০১০ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই টানা পাঁচ ইনিংসে হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নিয়েছেন তিনি। হাফ-সেঞ্চুরি পাওয়া তার ওই পাঁচটি ইনিংস ছিল এমন- ৮৫, ৫২, ৫৫, ১০৩ ও ১০৮।

টেস্টে টানা সাত ম্যাচে হাফ-সেঞ্চুরি আছে তামিমের। ২০১০ সালে ভারত, নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সাত ম্যাচে অর্ধশতক করেন তামিম।

টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে এক ইনিংসে সর্বোচ্চ সাতটি ছক্কা মেরেছেন তামিম। ২০১৫ সালে খুলনায় পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে সাতটি ছক্কা ও ১৭টি চারে ২৭৮ বলে ২০৬ রান করেছিলেন তামিম।

টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে এখনও সর্বোচ্চ গড়ের মালিক তামিম। ৭০ টেস্টে তার গড় ৩৮.৮৯

টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ৪১ বার হাফ-সেঞ্চুরির বেশি রানের ইনিংস খেলেছেন তামিম।

টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম উইকেট জুটিতে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডে নাম আছে তামিমের। ২০১৫ সালে খুলনায় পাকিস্তানের বিপক্ষে ইমরুল কায়েসের সাথে ৩১২ রান করেছিলেন তিনি।

টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ৪১ ছক্কা মেরেছেন তামিম।

ওয়ানডে

ওয়ানডে অভিষেক : ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০০৭, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে, হারারে
শেষ ওয়ানডে : ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে, মিরপুর
২৪৩ ওয়ানডের ২৪০ ইনিংসে ৮৩৫৭ রান, সেঞ্চুরি-১৪টি, হাফ-সেঞ্চুরি-৫৬টি, গড়-৩৬.৬৫

ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি রান তামিমের। ২৪৩ ম্যাচে ৮৩৫৭ রান করেছেন তিনি।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ১৪টি সেঞ্চুরির মালিক তামিম।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে সর্বাধিক হাফ-সেঞ্চুরির বেশি রানের ইনিংস খেলেছেন তামিম। সর্বমোট ৭০টি।

ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি হাফ-সেঞ্চুরির ইনিংসে সাকিব আল হাসানের সাথে রেকর্ড ভাগাভাগি করেছেন তামিম। সাকিব ও তামিম সমান ৫৬টি অর্ধশতক হাঁকিয়েছেন।

ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে লজ্জার রেকর্ডও আছে তামিমের। দেশের হয়ে ৫০ ওভারের ম্যাচে সবচেয়ে বেশি ১৯ বার শূন্যতে সাজঘরে ফিরেন তামিম।

তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড তামিমের।

বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডেতে যেকোনো উইকেট জুটিতে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডে অবদান আছে তামিমের। ২০২০ সালে সিলেটে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে উদ্বোধনী জুটিতে লিটন দাসকে নিয়ে ২৯২ রানের জুটি গড়েছিলেন তামিম।

ওয়ানেডে ইতিহাসে এক ভেন্যুতে সর্বোচ্চ রানের বিশ্বরেকর্ড তামিমের। মিরপুরে ৮৭ ম্যাচের ৮৫ ইনিংসে পাঁচ সেঞ্চুরি ও ১৯টি হাফ-সেঞ্চুরিতে ২৮৯৭ রান করেছেন তামিম।

ওয়ানডেতে টানা পাঁচ ইনিংসে হাফ-সেঞ্চুরি আছে তামিমের। ২০১২ সালে পাকিস্তান, ভারত, শ্রীলঙ্কা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পাঁচ ইনিংসে অর্ধশতক করেছেন তামিম।

ওয়ানডেতে বাংলাদেশের কনিষ্ঠতম সেঞ্চুরিয়ান। ২০০৮ সালে মিরপুরে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি। ওই সময় তামিমের বয়স ছিল ১৯ বছর দু’ দিন।

ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ৯৩০টি চার মেরেছেন তামিম।

ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে দ্রুততম ৬, ৭ ও ৮ হাজার রানের মালিক তামিম।

টি-টোয়েন্টি

টি-টোয়েন্টি অভিষেক : ১ সেপ্টেম্বর, ২০০৭, কেনিয়ার বিপক্ষে, নাইরোবি
শেষ টি-টোয়েন্টি : ৯ মার্চ, ২০২০, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে, মিরপুর
৭৮ টি-টোয়েন্টির ৭৮ ইনিংস ১৭৫৮ রান, সেঞ্চুরি-একটি, হাফ-সেঞ্চুরি-সাতটি, গড়-২৪.০৮

টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের একমাত্র সেঞ্চুরিয়ান তামিম। ২০১৬ সালে বিশ্বকাপে ধর্মশালায় ওমানের বিপক্ষে ১০টি চার ও পাঁচটি ছক্কায় ৬৩ বলে অপরাজিত ১০৩ রান করেছিলেন তামিম।

টি-টোয়েন্টি যেকোনো সিরিজে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি রানের মালিক তামিম। ২০১৬ সালের বিশ্বকাপে ছয় ইনিংসে ২৯৫ রান করেছিলেন তিনি।

সংক্ষিপ্ত ভার্সনে যেকোনো উইকেট জুটিতে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রানের জুটিতে নাম আছে তামিমের। ২০১২ সালে মিরপুরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ১৩২ রান করেছিলেন তিনি।

অধিনায়ক তামিম

টেস্টে এক ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন তামিম। অধিনায়ক হিসেবে হার নিয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন তিনি।

৩৭ ওয়ানডেতে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তামিম। তার অধীনে ২১টিতে জয়, ১৪টিতে হার ও দু’টি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়।

টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ নেতৃত্ব দেননি তামিম।

তিন ফরম্যাটে তামিম

বাংলাদেশের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি ২৫টি সেঞ্চুরির মালিক তামিম।

তিন ফরম্যাটেই বাংলাদেশের একমাত্র ব্যাটার হিসেবে সেঞ্চুরি করেছেন তামিম।

তিন ফরম্যাটে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ৩৬ বার শূন্যতে ফিরেছেন তামিম।

সূত্র : বাসস


আরো সংবাদ



premium cement
দ্বিতীয় স্থানে ঢাকা আবাহনী ৪৩তম বিসিএসের ২৬৭ জন কর্মকর্তাকে পদায়ন হাসিনা-মোদি চুক্তির আলোকে দহগ্রামে সীমান্তে বিএসএফের কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ ‘আওয়ামী লীগ যতবার ক্ষমতায় এসেছে নারায়ণগঞ্জে গডফাদার সৃষ্টি করেছে’ আরো ৩২ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করলো ইসরাইল প্রাথমিক পর্যায়ে সাক্ষরতা অর্জন নিশ্চিত করা জরুরি : গণশিক্ষা উপদেষ্টা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের নাম বদল ও পুনর্গঠনের দাবি কৃষিবিদদের চট্টগ্রামে হিন্দু এনজিওকর্মীর আত্মহত্যাকে সাম্প্রদায়িক হত্যাকাণ্ড বলে প্রচার মিথ্যা প্রমাণিত পদ্মায় ধরা পড়ল বিশাল বোয়াল, অর্ধ লাখ টাকায় বি‌ক্রি ফরিদপুরে যুবককে ওঠিয়ে নিয়ে চোখ তুলে হত্যা ২ শ্রেণিকক্ষ ও ৩ শিক্ষক নিয়েই চলছে ইবির সমাজকল্যাণ বিভাগ

সকল