১০ জানুয়ারি ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১, ৯ রজব ১৪৪৬
`

অধিনায়কত্ব উপভোগ করছি : সোহান

- ছবি : সংগৃহীত

শেষ ওভারে ৬ বলে প্রয়োজন ছিল ২৬ রানের। স্ট্রাইকে ছিলেন রংপুর রাইডার্সের অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। তিন বাউন্ডারি এবং তিন ওভার-বাউন্ডারিতে দলকে টানা ষষ্ঠ জয় এনে দিলেন দলপতি নিজেই।

এই ম্যাচ যে ক্যারিয়ারের সেরা ম্যাচ তা বলতে দ্বিধা নেই সোহানের। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে রংপুর অধিনায়ক বলেন, ‘এই ম্যাচটি ক্যারিয়ারের সেরা ম্যাচ হিসেবে রাখতে চাই। ক্যাপটেন্সি সবসময় উপভোগ করছি। একইসঙ্গে দলের জয়ে অবদান রাখতে পেরে আনন্দ লাগছে।’

যদিও গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে শেষ ওভারে ২০ রান করতে পারার আক্ষেপ আছে। সোহান বলেন, ‘সেই ম্যাচে শেষ ওভারে ২০ রান দরকার ছিল। আমি ব্যাটে ছিলাম। ১৪ রান করেছিলাম। বাকি পাঁচ রানের আক্ষেপ ছিল। জয় নিশ্চিত করতে পারলে আজকের চেয়ে আরো বেশি খুশি হতাম।’

বৃহস্পতিবার বিকেলে দিনের প্রথম ম্যাচে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করে ফরচুন বরিশাল। কাইল মায়ার্সের অপরাজিত ৬১, তামিমের ৪০ ও শান্তর ৪১ রানে ভর করে ১৯৮ রানের কঠিন লক্ষ্য দেয় বরিশাল। জবাবে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ৪ রানে প্রথম উইকেট হারায় রংপুর। ৬৬ রানে ৩ উইকেট হারালে হাল ধরেন ইফতেখার ও খুশদিল শাহ।

১৯তম ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে রংপুর। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ২৬ রান। এমন পরিস্থিতিতে শেষ ওভারে জয়ের ব্যাপারে কতটা আশাবাদী ছিলেন অধিনায়ক সোহান।

জবাবে সোহান বলেন, রাব্বি ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলছিলাম, সে বলল মারতে পারলে এই ম্যাচে জিততে পারব। সেই থেকে মহান আল্লাহর উপর বিশ্বাস রেখে খেলেছি। জোনের মধ্যে বল পেয়েছি ওভার বাউন্ডারি বা বাউন্ডারি হয়েছে। দলের জন্য কন্ট্রিবিউট করতে পারছি এ জন্য মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া।

আজকের ম্যাচকে ক্যারিয়ারের সেরা ম্যাচ হিসেবে রাখতে চান সোহান। বলেন, ‘যে কোনো ম্যাচে ব্যাট করলে ২০-৩০ রান হওয়াটা স্বাভাবিক। আমার ব্যাট থেকে ৩০ রান এসেছে। যেহেতু এই রান দলের জয়ে কাজে লেগেছে। তাই সবমিলিয়ে এই ম্যাচকে সেরা হিসেবে রাখতে চাই।’

বিপিএলে দর্শকদের আরো উপভোগ্য ম্যাচ উপহার দিতে চান সোহান। আজকের ম্যাচের মতো নিয়মিত প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ হলে তারুণ্যের উৎসবে পৃথিবীকে বদলে দেওয়ার স্লোগানে এবারের বিপিএল আরো উৎসবমুখর হবে বলে মনে করেন তিনি।

রংপুর অধিনায়ক বলেন, ‘বাংলাদেশে ক্রিকেট ভক্ত লোকের সংখ্যা অনেক। ক্রিকেট নিয়ে মানুষের আবেগ বেশি। খেলা দেখার জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ মাঠে আসে। আমাদের কাজ তাদের আনন্দ দেয়া। প্রতিযোগিতামূলক-উত্তেজনাকর ম্যাচ যত বেশি হবে দর্শকরা তত বিনোদিত হবে।’


আরো সংবাদ



premium cement