ঢাকার হ্যাটট্রিক হার, খুলনার দ্বিতীয় জয়
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৩ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩:২৭
আরো একবার হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়ল ঢাকা ক্যাপিটালস। অধিনায়ক থিসারা পেরেরার সেঞ্চুরিও জয় এনে দিতে পারেনি তাদের। তৃতীয় ম্যাচে এসেও জয়হীন রাজধানীর দলটা। বিপরীতে টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিলো খুলনা।
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) মুখোমুখি হয় ঢাকা ক্যাপিটালস ও খুলনা টাইগার্স। যেখানে টসে হেরে আগে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ১৭৩ রান তুলে খুলনা। জবাবে ৬ উইকেটে ১৫৩ রানে থামে ঢাকা। খুলনার জয় ২০ রানে।
এদিকে একই দিনে দু’ সেঞ্চুরি দেখল বিপিএল। দিনের প্রথম ম্যাচে আজ শতক হাঁকিয়ে রাজশাহীর বিপক্ষে চট্টগ্রামকে জয় এনে দেন উসমান খান। খেলেন ৬২ বলে ১২৩ রানের ইনিংস। আর রাতের ম্যাচে শতক হাঁকালেন থিসারা পেরেরা।
তবে উসমান খান পারলেও দলকে জেতাতে পারেননি পেরেরা। তার ৬০ বলে অপরাজিত ১০৩ রানের বিধ্বংসী ইনিংসের পরও ঢাকা হেরে গেছে। সতীর্থদের ব্যর্থতায় বৃথা গেছে বিপিএল-এ তার প্রথম শতক।
অবশ্য হারের শঙ্কা আগেই ছিল। ৯.৩ ওভারে মাত্র ৪১ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে ঢাকা। ফলে কেবল ছিল হার নিশ্চিত হবার অপেক্ষা। তবে সেই অপেক্ষাকে জয়ের আশায় রুপান্তর করেন পেরেরা। সপ্তম উইকেটে চতুরাঙ্গাকে নিয়ে ধরেন হাল।
চতুরাঙ্গা অবশ্য প্রভাব ফেলতে পারেননি। ৬৩ বলে ১১৩ রানের জুটিতে তার অবদান মোটে ২০ বলে ১১! যা ইনিংসে তৃতীয় সেরা। ১৯ রান করেছিলেন তানজিদ তামিম।
বিপরীতে খুলনার জয়ের নায়ক মেহেদী মিরাজ। বল হাতে ৪ ওভার বল করে মাত্র ৬ রানে নেন ৩ উইকেট। তার অনবদ্য বোলিংয়েই মূলত চাপে পড়ে যায় ঢাকা। প্রথমে উদ্বোধনী জুটি ভেঙে লিটন দাসকে ফেরান ২ রানে।
এরপর স্টিফেব ইস্কিনাজাই ও শুভম রঞ্জকেও ফেরান তিনি। অন্যদিকে আবু হায়দার রনি ফেরান তানজিদ তামিম (১৯) ও শাহাদাত দিপুকে (৬)। অন্য উইকেট জিয়াউর রহমানের।
এর আগে, নাইম শেখ আর উইলিয়াম বসিস্তোর ব্যাটে শুরু থেকেই ঢাকাকে চেপে ধরে খুলনা। তবে ৪.৫ ওভারে নাইম শেখ আউট হলে চাপে পড়ে যায় তারা। বসিস্তো ১২.৪ ওভার পর্যন্ত টিকে থাকলেও রানে গতি আনতে পারেননি। ফেরেন ২৮ বলে ২৬ করে।
মাঝে দ্রুত বেশ কয়েকটি উইকেট হারিয়ে ফেলে খুলনা। আফিফ হোসেন (১), ইবরাহীম জাদরান (৫), মেহেদী মিরাজ (৮) ও মোহাম্মদ নাওয়াজ আউট হোন ৫ করে। ৯৬ রানে ৬ উইকেট হারায় তারা।
সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ও জিয়াউর রহমান। দু’জনে সপ্তম উইকেটে যোগ করেন ২৯ বলে ৪৩ রান। জিয়াউর ফেরেন মোস্তাফিজের শিকার হয়ে ১৫ বলে ২২ করে। মাহিদুলও ইনিংস শেষ করে আসতে পারেননি। ফেরেন ২২ বলে ৩২ করে।
তবে শেষ ওভারে আবু হায়দার রনি ঝড় তুলেন। শিভাম রঞ্জনকে ৩ ছক্কা হাঁকান তিনি। শেষ বলে ৪ হাঁকান নাসুম। আবু হায়দার অপরাজিত ছিলেন ৮ বলে ২১ রানে। ২ উইকেট নেন চতুরঙ্গা ডি সিলভা।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা