সিডনি টেস্ট : অস্ট্রেলিয়া দল থেকে বাদ মার্শ, দলে নতুন মুখ ওয়েবস্টার
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০২ জানুয়ারি ২০২৫, ১৫:২৫
ফর্মহীনতায় ভোগা অলরাউন্ডার মিচেল মার্শকে বাদ দিয়ে ভারতের বিপক্ষে সিডনিতে অনুষ্ঠিতব্য পঞ্চম টেস্টের জন্য বো ওয়েবস্টারকে দলভূক্ত করেছে অস্ট্রেলিয়া।
ফাস্ট বোলার মিচেল স্টার্ক পাঁজড়ের হাড়ের সমস্যা সত্তেও শুক্রবারের ম্যাচের জন্য দলে জায়গা ধরে রেখেছেন। প্যাট কামিন্স, স্কট বোল্যান্ড ও ন্যাথান লিঁওকে সাথে নিয়ে কাল থেকে শুরু হওয়া টেস্টে তিনি স্বাগতিকদের পেস আক্রমনের নেতৃত্ব দিবেন।
অধিনায়ক কামিন্স বলেছেন, ‘মার্শ ব্যাট ও বল হাতে খুব একটা সুবিধা করতে পারছেন না। চলমান সিরিজে এই ফর্মহীনতার কারণেই সকলের কাছে মনে হয়েছে তার কিছুটা বিশ্রামের প্রয়োজন রয়েছে। তার পরিবর্তে আমরা ওয়েবস্টারকে দলে ডেকেছি। সে দারুণ একজন খেলোয়াড়। এটা মার্শের জন্য হতাশার। কারণ আমরা জানি দলের কতটা গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় হিসেবে সে নিজেকে প্রমাণ করেছে। একইসাথে আমরা এটাও বুঝতে পারছি ওয়েবস্টারের সামনে কত বড় সুযোগ অপেক্ষা করছে।’
ব্যাটিং ও বোলিংয়ে বাজে একটি সিরিজ কাটানোর পর মার্শের পজিশন গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এই মুহূর্তে বাদ পড়া ৩৩ বছর বয়সী মার্শের টেস্ট ক্যারিয়ার নি:সন্দেহে শঙ্কার মধ্যে পড়েছে।
২০১৪ সালে অভিষেক হবার পরে দলে নিজের অবস্থান পোক্ত করার জন্য মার্শকে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে ক্যামেরুন গ্রীনের দুর্দান্ত পারফরমেন্সে লাল বলে প্রায়ই তাকে সাইডলাইনে কাটাতে হয়েছে। স্পাইনালে অস্ত্রোপচারের কারণে গ্রীন সিরিজ থেকে ছিঠকে যাওয়ায় আবারো টেস্ট দলে ফিরেছেন মার্শ।
কামিন্স বলেছেন, সাদা বলে এখনো অস্ট্রেলিয়ার গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় মার্শ, ‘সে বিষয়টি ভালভাবেই বুঝতে পেরেছে। আমি মনে করি কোনো খেলোয়াড়ই দলের জন্য অপরিহার্য্য নয়। সে নিজেও জানে এই সিরিজে রানও করতে পারেনি, এমনকি বল হাতে উইকেটও নিতে পারেনি।’
তাসমানিয়ার ৩১ বছর বয়সী ওয়েবস্টার শেফিল্ড শিল্ড ক্রিকেটে বেশ কয়েক বছর যাবত দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছেন। এই সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে তার অভিষেক হতে যাচ্ছে।
টিনএজ ওপেনার স্যাম কনস্টাস মেলবোর্নে চতুর্থ টেস্টের দলে প্রথমবারের মত ডাক পেয়েছিলেন। ন্যাথান ম্যাকসুয়ানির স্থানে কনস্টাস খেলতে নামেন। পার্থের প্রথম টেস্টে ম্যাকসুয়ানির অভিষেক হয়েছিল। কিন্তু ব্যাট হাতে রান করতে না পারায় ব্রিসবেনে তৃতীয় টেস্টের পরই দল থেকে বাদ পড়েন।
কনস্টাস অভিষেক টেস্টেই ঝড়ো ইনিংস উপহার দিয়ে ৬০ রান করেছিলেন। বিশেষ করে ভারতীয় তারকা স্পিনার জাসপ্রিত বুমরাহকে একের পর এক ছক্কা হাঁকিয়ে নিজের জাত চিনিয়েছেন।
ওয়েবস্টার পেস ও অফ-স্পিন বোলিংও করতে পারেন। বাঁ-হাতি পেসার স্টার্ক কোনো সমস্যায় পড়লে ওয়েবস্টারকে দিয়ে কাজ চালিয়ে নিতে পারবে অস্ট্রেলিয়া। মেলবোর্নে স্টার্ক ৪১ ওভার বোলিং করেছেন। পঞ্চম দিনে অস্ট্রেলিয়া ১৮৪ রানের জয় নিশ্চিত করে। শেষের দিকে স্টার্ককে বোলিংয়ে বেশ সমস্যায় পড়তে হয়েছে। যদিও কামিন্স আত্মবিশ্বাসের সাথেই বলেছেন শেষ টেস্টেও স্টার্ক দলে থাকছেন।
পাঁচ ম্যাচের সিরিজে অস্ট্রেলিয়া ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে। ২০১৪-১৫ সালের পর প্রথমবারের মতো বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি ঘরে তোলার পথেই ভালোভাবেই এগিয়ে রয়েছে অসিরা। সিডনিতে জয় কিংবা ড্র করতে পারলেই এই ট্রফি আবারো অস্ট্রেলিয়ার ঘরে আসবে।
এছাড়া জয়ী হতে পারলে জুনে ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপের ফাইনালে লর্ডসে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হতে পারবে অস্ট্রেলিয়া।
অস্ট্রেলিয়া : স্যাস কনস্টাস, উসমান খাজা, মার্নাস লাবুশানে, স্টিভ স্মিথ, ট্রাভিস হেড, বো ওয়েবস্টার, এ্যালেক্স ক্যারে, প্যাট কামিন্স (অধিনায়ক), মিচেল স্টার্ক, ন্যাথান লিঁও, স্কট বোল্যান্ড।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা