২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

বড় শাস্তি পেলেন বিরাট কোহলি

কনস্টাসের কাঁধে ধাক্কা দেয়ার ঘটনায় শাস্তি পেয়েছেন কোহলি - ছবি : নয়া দিগন্ত

খেলার দশম ওভার শেষে হেঁটে যাওয়ার পথে কনস্টাসের কাঁধে ধাক্কা দেয়ার ঘটনায় শাস্তি পেয়েছেন তারকা ব্যাটার বিরাট কোহলি।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) মেলবোর্নে বক্সিং ডে টেস্টে প্রথম দিনের খেলা শেষে ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফট কোহলিকে এ শাস্তি দেন।

অস্ট্রেলিয়ার হয়ে প্রথমবার মাঠে নামা স্যাম কনস্টাসকে হঠাৎ ধাক্কা দিয়ে বসেন তিনি। এরপর এ তরুণের সাথে জড়ান বিবাদেও।

অগ্রহণযোগ্য এ আচরণ কেউ মেনে নিতে পারেনি। মাঠ কিংবা মাঠের বাইরে এ নিয়ে সবার মাঝে দেখা দেয় তীব্র অসন্তোষ। সেইসাথে এর জন্য যে কোহলিকে কঠিন শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে, সেটাও ছিল নিশ্চিত।

হলোও তাই। মোটা অংকের জরিমানা গুনতে হচ্ছে বিরাট কোহলিকে। টাকার হিসেবে যা ম্যাচ ফি-এর ২০ শতাংশ। শুধু তাই নয়, পাশাপাশি এক ডিমেরিট পয়েন্টও পেয়েছেন ভারতের সাবেক এ অধিনায়ক।

অভাবনীয় এ ঘটনা ঘটে দশম ওভার শেষে। যখন ওসমান খাজার সাথে কথা বলার জন্য এগোচ্ছিলেন কনস্টাস, তখন উল্টো দিক থেকে এসে তাকে ইচ্ছা করেই ধাক্কা মেরে বসেন বিরাট কোহলি। এরপর ছাড় দেননি কনস্টাসও। কোহলির সাথে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয় তার।

এ সময় এগিয়ে আসেন আরেক ব্যাটার উসমান খাজা। প্রথমে কনস্টাসের কাঁধে হাত রেখে তাকে শান্ত করেন। এরপর কোহলির দিকে এগিয়ে গিয়ে তার কাঁধেও হাত রেখে কিছু বলে পরিস্থিতি সামাল দেন।

সেই ঘটনা শেষ হলেও শেষ হয়নি তার রেশ। কেননা ক্রিকেটে শারীরিক সংঘর্ষের কোনো সুযোগ নেই। আইসিসির আচরণবিধির ২.১২ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘ক্রিকেটে যেকোনো ধরনের অনুপযুক্ত শারীরিক সংঘর্ষ নিষিদ্ধ।’

অর্থাৎ কোনো ধরনের সীমাবদ্ধতা ছাড়াই কোনো খেলোয়াড় যদি ইচ্ছাকৃতভাবে, বেপরোয়াভাবে কিংবা অবহেলা করে হেঁটে যাওয়ার সময় যদি অন্য কোনো খেলোয়াড় বা আম্পায়ারকে ধাক্কা দেন তাহলে এ নিয়ম ভঙ্গ করবে।

এ সুবাদে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) কোহলিকে উল্লেখিত শাস্তি প্রদান করে। অন্যদিকে, কনস্টাসকেও শাস্তি দিয়েছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। অভিষেকে ৬৫ বলে ৬০ রানের ইনিংস খেলা এ ওপেনারকে একটি ডিমেরিট পয়েন্ট দেয়া হয়েছে।

এ নিয়ম ভাঙায় দিনের খেলা শেষে তাদের দু’জনের বিপক্ষে ম্যাচ অফিশিয়ালদের কাছে অভিযোগ করেন তিন আম্পায়ার জোয়েল উইলসন, মাইকেল গফ, শরফদ্দৌলা ইবনে সৈকত। আর নিজেদের দোষ মেনে নেয়ায় আনুষ্ঠানিক শুনানির কোনো প্রয়োজন হয়নি।


আরো সংবাদ



premium cement