২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১, ২২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

ব্যাটে জিশান, বোলিংয়ে শরীফ; এনসিএলে তরুণদের দাপট

- ছবি : নয়া দিগন্ত

১৪ বছর পর জাতীয় লিগ টি-টোয়েন্টি ফেরানো হয়েছিল যেই লক্ষ্যে, তাতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) নিজেদের সফল দাবি করতেই পারে। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) প্রস্তুতি যেমন হয়েছে, তেমনি সম্ভাবনাময় নতুন কিছু মুখের সন্ধানও পাওয়া গেছে।

বিপিএলকে সামনে রেখে গত ১১ ডিসেম্বর পর্দা উঠে জাতীয় লিগ টি-টোয়েন্টির। মঙ্গলবার শিরোপা নির্ধারণী ফাইনালের মধ্য দিয়ে পর্দা নামে এই আসরের। যেখানে ঢাকা মেট্রোকে আক্ষেপে পুড়িয়ে শিরোপা জিতেছে রংপুর।

তবে দলীয় সাফল্য অপেক্ষা এই টুর্নামেন্টে মূল লক্ষ্য টি-টোয়েন্টির জন্য যোগ্য ক্রিকেটার খুঁজে বের করা। তাছাড়া আড়ালে পড়ে যাওয়া পুরনোদের নতুন করে জানান দেয়ার জন্যও এই আসর ছিল বেশ কার্যকর।

সবচেয়ে বেশি রান ও সবচেয়ে বেশি উইকেট নেয়া খেলোয়াড়দের নামই বলে দিচ্ছে টুর্নামেন্ট আয়োজনের উদ্দেশ্য সফল। নাইম শেখ, আলাউদ্দিন বাবুদের সাথে পাল্লা দিয়েছেন জিশান আলম, আহমেদ শরীফরা।

সর্বোচ্চ রান করেছেন ঢাকা মেট্রোর অধিনায়ক নাইম শেখ। প্রায় দেড় বছর ধরে জাতীয় দলে উপেক্ষিত এই ওপেনার ১০ ইনিংসে করেন ৩১৬ রান। স্ট্রাইক রেট ১৩৫.০৪। যেন জাতীয় দলে ফেরার দাবি জানিয়ে রাখলেন তিনি।

পরের নামটা টুর্নামেন্টের বড় অর্জন। দু’য়ে আছেন জিশান আলম। জাতীয় লিগ টি-টোয়েন্টির উদ্বোধনী ম্যাচেই সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে আলোচনায় আসেন তিনি। এই তরুণ ১৫৮.৭৫ স্ট্রাইক রেটে করেন ২৮১ রান। সর্বোচ্চ ২২টি ছক্কাও এসেছে তার ব্যাট থেকে।

তিনে আছেন নুরুল হাসান সোহান। জাতীয় দল থেকে ছিটকে যাওয়া উইকেটকিপার ব্যাটার ৫৩.২০ গড়ে করেছেন ২৬৬ রান। স্ট্রাইকরেট ১২৬.০৬। পরের নামটা হাবিবুর রহমান সোহান। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৭ ছক্কাসহ এই ব্যাটারের রান ২৫৯। তার স্ট্রাইক রেট ১৬০.৮৬।

শীর্ষ পাঁচে পঞ্চম ব্যাটসম্যানের নামটিও চমক জাগানিয়া। কয়েক দিন আগেই বাংলাদেশকে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ জেতানো অধিনায়ক আজিজুল হাকিম খুলনার হয়ে ৯ ম্যাচে করেন ২৩৭ রান। স্ট্রাইক রেট তোলেন ১৩৬.৯৯।

এছাড়াও ব্যাট হাতে দ্যুতি ছড়িয়েছেন আরো বেশ কিছু তরুণ খেলোয়াড়। ইমরানুজ্জামান ১৩৬ স্ট্রাইকরেটে ২২৮, আরিফুল ইসলাম ১৪৭ স্ট্রাইকরেটে ২১৩, আকবর আলী ১৫০ স্ট্রাইকরেটে ২০৮, তৌফিক খান ১৪২ স্ট্রাইকরেটে ২০০ ও সাব্বির হাসান ১৫৬ স্ট্রাইকরেটে করেন ১৯৯ রান।

বোলিংয়ে সবার ওপরের নামটা আলাউদ্দিন বাবুর। ৩৩ বছর বয়সী পেস বোলিং অলরাউন্ডার নতুন করেই চিনিয়েছেন নিজেকে, নিয়েছেন ১৯ উইকেট। ১৭ উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছেন আহমেদ শরীফ।

১৫ উইকেট নিয়ে তিনে থাকা রাকিবুল হাসান আরো একবার জাতীয় দলের দরজায় কড়া নাড়ছেন। ১৪ উইকেট নিয়ে যেখানে তার প্রতিদ্বন্দ্বী আরেক স্পিনার আলিস আল ইসলাম। আর ১৩ উইকেট নিয়ে আসর সেরা হয়েছে তালিকায় পাঁচে থাকা আবু হায়দার রনি।

ছয়ে আছেন ফাইনালের সেরা ক্রিকেটার মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ। ১২ উইকেট শিকার তার। ১১ উইকেট নিয়েছেন ফরহাদ হোসাইন। এছাড়া ১০টি করে উইকেট আছে চোট কাটিয়ে ফেরা ইবাদত হোসেন, কামরুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম ও খালেদ আহমেদের।


আরো সংবাদ



premium cement
মারা গেছেন পল্লীকবি জসীমউদ্দীনের মেজো ছেলে গাড়িকাণ্ড : তিন নেতার সদস্যপদ ফিরিয়ে দিলো বিএনপি ‘অবহেলিত জনগোষ্ঠীর ভাগ্যোন্নয়নে সবাই এগিয়ে আসতে হবে’ চুয়াডাঙ্গায় ১৪টি স্বর্ণের বারসহ ৩ চোরাকারবারি আটক ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা রক্ষা করতে হবে : জামায়াত আমির ফ্যাসিবাদমুক্ত দেশ নতুনভাবে গড়ার দায়িত্ব সবার : মির্জা ফখরুল ইসলামি বিপ্লব মানে ক্ষমতা দখল নয় : নুরুল ইসলাম বুলবুল বন্দী চুক্তিতে ‘নতুন বাধা’ তৈরি করছে হামাস, অভিযোগ ইসরাইলের সমাজের অগ্রগতিতে আলেমদের ভূমিকা রাখতে হবে : কুবি ভিসি টেপ মোড়ানো বস্তুতে লাথি মারতেই বিস্ফোরণ, অল্পের জন্য বাঁচল প্রাণ এস আলম আন্তর্জাতিক সালিশে গেলে কী হতে পারে

সকল