২০ ডিসেম্বর ২০২৪, ৫ পৌষ ১৪৩১, ১৭ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

বিশাল জয়ে ও. ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশের

বিশাল জয়ে ও. ইন্ডিজকে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশের - ছবি : সংগৃহীত

ইতিহাস গড়লো বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টিতে দুই-দুইবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ধবলধোলাই করেছে টাইগাররা। সেন্ট ভিনসেন্টে আজ সিরিজের শেষ ম্যাচে ক্যারিবীয়দের হারিয়েছে ৮০ রানে।

শুক্রবার সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। যেখানে টসে জিতে আগে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ১৮৯ রান তুলে টাইগাররা। জবাবে ১৬.৪ ওভারে ১০৯ রানে গুটিয়ে যায় স্বাগতিকরা।

সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ জিতে আগেই সিরিজ নিশ্চিত করেছিল বাংলাদেশ। এই ম্যাচটা ছিলো ইতিহাস গড়ার। ক্যারিবীয়দের প্রথমবার টি-টোয়েন্টিতে ধবলধোলাইয়ের স্বাদ পাবার। যা বেশ ভালো করেই নিয়েছে টাইগাররা। ব্যাটে-বলে পাত্তাই দেয়নি স্বাগতিকদের।

টেস্ট সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ হওয়ার পর ওয়ানডেতে বাংলাদেশকে ৩-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টি-টোয়েন্টি সিরিজে যেন তারই বদলা নিলো লিটন বাহিনী। ঘরের বাহিরে টি-টোয়েন্টিতে এক যুগ পর কোনো দলকে ৩-০ তে ধবলধোলাই দিলো বাংলাদেশ।

আগের দুই ম্যাচ জিতিয়েছিলেন বলা যায় বোলাররাই। তবে এইদিন ব্যাটাররাও জ্বলে উঠলেন। আরো সহজ করে বললে জ্বলে উঠলেন জাকের আলি। তার ক্যারিয়ার সেরা ৪১ বলে ৭২* রানের ইনিংস এনে দেয় সমৃদ্ধ পুঁজি।

তবে এইদিনও যথারীতি ব্যর্থ লিটন দাস। প্রথম দুই ম্যাচে ০ ও ৩ রানের ফেরার পর আজ আউট হোন ১৩ বলে ১৪ করে। কিন্তু জ্বলে উঠেন হঠাৎ সুযোগ পাওয়া পারভেজ ইমন। সৌম্য সরকারের চোটে সুযোগ পেয়ে করেন ২১ বলে ৩৯ রান।

পাওয়ার প্লের শেষ বলে ইমন আউট হলেও ৫৪ রান আসে স্কোরবোর্ডে। তবে তানজিদ তামিম (৯) ফেরেন দ্রুত। তখনই মাঠে আসেন জাকের আলি। প্রথমে মেহেদী মিরাজের সাথে গড়েন ৩৭ রানের জুটি। মিরাজ ২৩ বলে ২৯ রানে আউট হোন।

এরপরই ঘটে জোড়া রান আউট। প্রথমে ফেরেন শামীম (২)। এক বল পর শেখ মেহেদীও (০)। তাতে মুহূর্তে বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়ায় ১৫ ওভার শেষে ৬ উইকেটে ১১৪ রান। এমতাবস্থায় একাই দায়িত্ব কাধে তুলে নেন জাকের।

তানজিম সাকিবের সাথে সপ্তম উইকেটে যোগ করেন মাত্র ২৭ বলে ৫০ রান। তানজিম আউট হোন ১২ বলে ১৭ করে। ততক্ষণে টি-টোয়েন্টিতে নিজের দ্বিতীয় ফিফটি তুলে নেন জাকের। তবে তৃপ্ত হননি। শেষ ওভারে তিন ছক্কায় তুলেন ২৫ রান।

তাতেই বাংলাদেশ পৌঁছায় ১৮৯ রানে। জাকের জাকের ৬টি ছক্কা ও ৩টি চারে ৪১ বলে ৭২ রানের ইনিংস খেলে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন। জোড়া উইকেট নেন রোমারিও শেফার্ড।

জবাব দিতে নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজকে পাওয়ার প্লেতেই চেপে ধরে বাংলাদেশ। প্রথম আঘাত আনেন তাসকিন আহমেদ। ইনিংসের মাত্র দ্বিতীয় বলেই এনে দেন প্রথম উপলক্ষ। ব্রেন্ডন কিং ফেরেন রানের খাতা খোলার আগেই।

দ্বিতীয় উইকেট দ্রুত এনে দেন শেখ মেহেদী। জাস্টিন গ্রিভসকে ৬ রানেই থামান তিনি। এরপর অবশ্য নিকোলাস পুরান ও জনসন চার্লস মিলে হাল ধরার চেষ্টা করলে বাধা দেন মেহেদী।পুরান আউট হোন ১০ বলে ১৫ রানে।

মাত্র ১ রান যোগ হতেই আরো জোড়া উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সপ্তম ওভারে প্রথমে রোস্টন চেজকে (০) ফেরান হাসান মাহমুদ। পরের বলেই রান আউট হয়ে ফেরেন চার্লস। ১৮ বলে মাত্র ২৩ রানে শেষ হয় তার ইনিংস। ৪৬ রানে ৫ উইকেট হারায় ক্যারিবীয়রা।

এরপর দৃশ্যপটে আসেন রিশাদ হোসেন। পরের ৩ উইকেট যায় তার ঝুলিতে। প্রথমে রভম্যান পাওয়েল (২) ও এরপর ফেরান গোদাকেশ মোতি ও আলজারি জোসেফকে। মাঝে শেরফানে রাদারফোর্ড চেষ্টা করলেও সফল হতে পারেননি।

রাদারফোর্ডকে ৩৩ রানে থামান তানজিম সাকিব। আর ওবেদ ম্যাকয়কে ফিরিয়ে ইনিংসের ইতি টানেন তাসকিন। ১০৯ রানে গুটিয়ে যায় তারা। ৩ উইকেট নেন রিশাদ। জোড়া নিয়েছেন শেখ মেহেদী ও তাসকিন। একটা করে উইকেট নেন হাসান মাহমুদ ও তানজিম সাকিব।


আরো সংবাদ



premium cement