১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩ পৌষ ১৪৩১, ১৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

এনামুলের সেঞ্চুরি, মুশফিক-হৃদয়ের ফিফটি; কেমন করলেন শান্ত?

- ছবি : নয়া দিগন্ত

অপেক্ষার প্রহর শেষে দীর্ঘ এক যুগ পর টি-টোয়েন্টিতে তিন অঙ্কের দেখা পেলেন এনামুল হক বিজয়। ২০১৩ সালের পর প্রথমবার সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে স্পর্শ করলেন শতক। এনসিএলে খুলনার হয়ে করেন ৬৭ বলে করেন ১০১ রান।

মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরির দেখা পান বিজয়। তার অপরাজিত সেঞ্চুরিতে ভর করে ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে ২১ রানের জয় পায় খুলনা।

এ দিন আগে ব্যাট করে ৩ উইকেটে ১৮০ রানের পুঁজি করে খুলনা। যদিও শুরুটা ভালো হয়নি। বিজয় ছাড়া টপ অর্ডারের কেউই স্থির হতে পারেনি। ইমরুল কায়েস (১৪) আজিজুল হাকিমও (১৮) সঙ্গ দিতে পারেননি। আর মিঠুনের রানের খাতা খোলাই হলো না।

তবে চতুর্থ উইকেটে অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানের সাথে দারুণ এক জুটি গড়েন বিজয়। এই জুটিতে যোগ হয় ৫২ বলে ৮৯ রান। শেষ ওভারের পঞ্চম বলে ছক্কা হাঁকিয়ে শতক পূরণ করেন তিনি। সোহান ২৩ বলে ৩৪ রানে অপরাজিত থাকেন।

জবাব দিতে নেমে ৬.৪ ওভারে মাত্র ৩২ রানে ৩ উইকেট হারায় ঢাকা। ১২.৩ ওভারে আরো একটা উইকেটের পতন হয় মাত্র ৭২ রানে। ততক্ষণে অনেকটা হারের কাছাকাছি ঢাকা।

শেষ দিকে তাইবুর রহমান ৪১ বলে ৬৩ ও মাইদুল ইসলাম ২৩ বলে ৪৩ রান তুলে ঝড় তুললেও তা কাজে আসেনি। যথেষ্ট হয়নি জয়ের জন্য।

তবে দিনের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ম্যাচটা হয়েছে চট্টগ্রাম ও রাজশাহীর মাঝে। যেখানে দমবন্ধ লড়াই হলেও শেষ পর্যন্ত ৪ রানের জয় পেয়েছে বন্দরনগরীর দলটি। বিফলে গেল তাওহীদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিমের ঝড়।

আগে ব্যাট করে এ দিন মুমিনুল হকের ৩৬ বলে ৫২ ও ইরফান শুক্কুরের ২৯ বলে ৫৪ রানের ইনিংসে ৭ উইকেটে ১৯৮ রান করে চট্টগ্রাম। ১৫ বলে ৩৫ রানের ক্যামিও উপহার দেন শাহাদাত দিপু। ১০ বলে ২০ করেন নাইম হাসান।

জবাব দিতে নেমে নাজমুল হোসেন শান্ত এ দিন ভালো করতে পারেননি। মাত্র ৪ রানে ফিরে যান সাজঘরে । তবে হাবিবুর রহমান সোহান ২০ বলে ৩৯ করে পথ দেখান দলকে। তাওহীদ ৫০ বলে ৬৯ ও মুশফিকুর ৩১ বলে ৪৬ করে সেই পথ অনুসরণ করেন।

সব কিছু ঠিক থাকলেও শেষ ওভারে ১৩ রানের সমীকরণ মেলাতে পারেননি। প্রথম বলে তাওহীদ ফেরার পর পরের ৫ বলে প্রিতম কুমার, নিহাদুজ্জামানরাও পেরে উঠেননি। শেষ পর্যন্ত ৪ রানে পরাজয় মানতে হলো।


আরো সংবাদ



premium cement