জয় দিয়ে এশিয়া কাপ মিশন শুরু বাংলাদেশের
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২২:৩৮
জয় দিয়েই এশিয়া কাপ শুরু বাংলাদেশের। উদ্বোধনী ম্যাচে বড় ব্যবধানে হারিয়েছে আফগান যুবাদের। জয়টা অবশ্য সহজে আসেনি, একটা সময় ভর করে অশুভ ভাবনাও। তবে হঠাৎ ঘুরে যায় ম্যাচের মোড়, লেখা হয় প্রত্যাবর্তনের নতুন গল্প।
লক্ষ্য ছিল ২২৯ রান। আফগানিস্তান সেই লক্ষ্যে ২ উইকেটে তুলে ফেলে ১১৬ রান। নাসির খান ও ফয়সাল খানের জুটি ততক্ষণে জমে গেছে। এমতাবস্থায় যেন জাদু দেখালো টাইগার যুবারা। পরের ৬৭ রান তুলতেই গুটিয়ে যায় আফগানরা। ৪৫ রানের জয় পায় বাংলাদেশ।
শুক্রবার অনুর্ধ্ব এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হয় আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে হেরে আগে ব্যাট করে টাইগার যুবারা। অধিনায়ক আজিজুল হাকিমের শতকে স্কোরবোর্ডে তোলে ৯ উইকেটে ২২৮ রান।
দলীয় ৩ রানেই জাওয়াদ আবরারের (০) উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তবে এরপর অধিনায়ক আজিজুল হাকিম ও কালাম সিদ্দিকী গড়ে তুলেন ১৪২ রানের জুটি। ১৩৩ বলে ১০৩ রানের ইনিংস খেলেন অধিনায়ক আজিজুল। কালাম করেন ৬৬ রান।
৩৫ ধশমিক ৩ ওভারে ১৪৫ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর অবশ্য রানের গতি ধরে রাখতে পারেনি। নিয়মিত বিরতিতে হারিয়েছে উইকেট। সর্বোচ্চ ১১ রান এসেছে রাফি উজ্জামানের কাছ থেকে।
১ উইকেটে ১৪৫ রান করা বাংলাদেশ শেষ ৯ উইকেট হারায় ৮৩ রানে। ফলে বড় পুঁজি পাওয়া হয়নি। ২২৮ রানে শেষ হয় ইনিংস। খাতির স্ট্যানিকজাই, নাসরাতুল্লাহ ও আব্দুল আজিজ নেন সমান ৩টা করে উইকেট।
শেষ পর্যন্ত অবশ্য এই রান যথেষ্ট হয়েছে। বাংলাদেশের মতো আফগানিস্তানেরও শেষ দিকে ব্যাটিং ধস নেমেছে। রান তাড়া করতে নেমে প্রথম আট ওভারে উইকেট না পড়লেও রান আসে মাত্র ২০।
উজাইরউল্লাহ নিয়াজাইকে (৮) ফিরিয়ে নবম ওভারে উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন মারুফ মৃধা। তিনে নামা ফায়সাল খান আহমাদজাইয়ের ব্যাটে একটু বাড়ে রানের গতি। তবে মেহবুব খান একদমই থমকে ছিলেন। শেষ পর্যন্ত আউট হন ৫৩ বলে মাত্র ১৬ রান করে।
বাংলাদেশের জন্য সত্যিকারের হুমকি হয়ে দাঁড়ায় পরের জুটি। আহমাদজাই ও মারুফখিল ৫০ রানের জুটি গড়েন ওভারপ্রতি চারের বেশি রান তুলে। ৫৮ বলে ৫৮ রান করা আহমাদজাইকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন আল ফাহাদ। পরে মারুফখিলকে ৩৪ রানে থামান ইমন।
ইব্রাহিমজাই ও নাজিফউল্লাহ এরপর জুটি গড়ে তোলার চেষ্টা করেন। তবে জুটি বেশি বড় হতে দেয়নি বাংলাদেশ। এই জুটি ভাঙার পর দ্রুত একের পর এক উইকেট হারিয়ে ১৩ বল আগেই গুটিয়ে যায় আফগানরা। ২৪ রানের মধ্যে তারা হারায় শেষ ৫ উইকেট।
বাংলাদেশের হয়ে ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন দুই পেসার আল ফাহাদ ও ইকবাল হোসেন। একটি করে শিকার ধরেন রাফি উজ্জামান, মারুফ মৃধা ও আল ফাহাদ।