১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

রেকর্ড বন্যার ম্যাচে সিরিজ নিশ্চিত ভারতের

রেকর্ড বন্যার ম্যাচে সিরিজ নিশ্চিত ভারতের - ছবি : সংগৃহীত

জয় অনেকটা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল প্রথম ইনিংসের পরই৷ স্কোরবোর্ডে রেকর্ড রান তুলে কেবল উদযাপনের অপেক্ষায় ছিল ভারত৷ বল হাতেও সেই পথে এগিয়ে যায় শুরুতেই৷ এরপর খানিকটা ঘুরে দাঁড়ালেও রেকর্ড রানের লজ্জা আর এড়াতে পারেনি প্রোটিয়ারা।

শুক্রবার সিরিজের চতুর্থ ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হয় ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা। আগের তিন ম্যাচে ২ জয় নিয়ে সিরিজে এগিয়ে ছিল ভারত৷ এবার ১৩৫ রানের রেকর্ড জয়ে ৩-১ ব্যবধানে নিশ্চিত করলো সিরিজ।

প্রোটিয়াদের সিরিজে ফেরার পথটা কঠিণ করে দেয় ভারতের ইনিংস। রেকর্ড বই তছনছ করে দেয় তারা। জোহানসবার্গে টসে জিতে আগে ব্যাট করে উপহার দেয় একের পর এক অবিস্মরণীয় কীর্তি। মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে ভারত তুলে ২৮৩ রান!

জবাব দিতে নেমে মাত্র ৩ ওভারে ১০ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে দক্ষিণ আফ্রিকা। সেখান থেকে যদিও ঘুরে দাঁড়ায় স্বাগতিকেরা, তবে ১৮.২ ওভারে ১৪৮ রানের বেশি করতে পারেনি। যা রানের বিচারে টি-টোয়েন্টিতে দক্ষিণ আফ্রিকার সবচেয়ে বড় হার।

এদিন ব্যাট হাতে অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেন সঞ্জু স্যামসন আর তিলক ভার্মা। দু'জনে মিলে মেতে উঠেন রেকর্ড ভাঙা-গড়ার খেলায়। এক টি-টোয়েন্টি ম্যাচে দু'জনে শতক হাঁকিয়ে অবাক করে দেন বিশ্বকে। তাতে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে ভারত পায় নিজেদের সেরা পুঁজি।

এদিন ব্যাট হাতে শুরু থেকেই এদিন আগ্রাসী ছিল ভারত। অভিষেক শর্মা ১৮ বলে ৩৬ করে উদ্বোধনী জুটি ভেঙে যখন ফেরেন, ৫.৫ ওভারে ৭৩ রান তুলে ফেলেছে সফরকারীরা। এরপরই হাল ধরেন তিলক ভার্মা ও সঞ্জু স্যামসন।

আগের ম্যাচেই সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন তিলক। এদিন ফের দেখা পান শতরান। পর পর দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে শতরানের রেকর্ড ছিল সঞ্জুর। এদিন তাকে ছুঁয়ে ফেলেন তিলক। তবে থেমে থাকেননি সঞ্জুও, তিনিও ছুঁয়েছেন শতক।

তাতে এক বছরে তিনটি সেঞ্চুরি করলেন সঞ্জু স্যামসন। শুধু তাই নয়, তাদের কল্যাণে প্রথমবার টি-টোয়েন্টিতে দুজন ক্রিকেটার শতরানের রেকর্ডও গড়লো এদিন। ৫৬ বলে সঞ্জু করেন ১০৯, ৪৭ বলে তিলকের রান ১২০।

শেষ পর্যন্ত ব্যাট করেন দুজনেই। জুটিতে আসে ৮৬ বলে নিরবিচ্ছিন্ন ২১০ রান। যা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটি। তাছাড়া দু'জনে মিলে হাঁকিয়েছেন ১৯ ছক্কা, সব মিলিয়ে ইনিংসে ছক্কা সংখ্যা ২৩। যা এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড।

এদিকে শুরুতেই আর্শ্বদীপের তোপে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম ওভারেই রেজা হেনড্রিকসকে (০) ফেরান তিনি। তৃতীয় ওভারে এসে শিকার জোড়া উইকেট; প্রথমে এইডেন মার্করাম (৮) ও পরে হেনরিখ ক্লাসেনকে ফেরান গোল্ডেন ডাক উপহার দিয়ে।

মাঝে রায়ান রিকেল্টনকে (১) হার্দিক পান্ডিয়া ফেরালে মাত্র ১০ রানে ৪ উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা। দেখা দেয় খুব অল্প রানে গুটিয়ে যাবার শঙ্কা। তবে এরপর খানিকটা ঘুরে দাঁড়ালেও ভারতের স্কোরের ধারেকাছেও পৌঁছাতে পারেনি প্রোটিয়ারা।

ট্রিস্টান স্টাবস (৪৩), ডেভিড মিলার (৩৬) ও মার্কো জ্যানসেনের ঝরো ১২ বলে ২৯* ব্যবধান কমালেও লজ্জা এড়াতে পারেনি। ১৩৫ রানের জয় ভারতের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের তৃতীয় সেরা। যা আবার প্রোটিয়াদের সবচেয়ে বড় হার।

ভারতের হয়ে আর্শ্বদীপ ৩, বরুণ চক্রবর্তী ও অক্ষর প্যাটেল নেন জোড়া উইকেট। ভারত সিরিজ জিতে নেয় তাতে। সিরিজ সেরা হয়েছেন তিলক ভার্মা, ম্যাচ সেরাও তিনিই।


আরো সংবাদ



premium cement