৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১৫ কার্তিক ১৪৩১, ২৭ রবিউস সানি ১৪৪৬
`

চট্টগ্রামে ফলোঅনে বাংলাদেশ

চট্টগ্রামে ফলোঅনে বাংলাদেশ - সংগৃহীত

মিরপুরের পর চট্টগ্রাম টেস্টও বিভীষিকাময় হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের জন্য। প্রথম ইনিংসে প্রোটিয়াদের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি স্বাগতিকেরা। একটা সময় তো দেখা দেয় ৫০ রানের আগেই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কা। যদিও সেই লজ্জা কোনোরকমে এড়িয়েছে বাংলাদেশ।

লজ্জা এড়ালেও ফলোঅন এড়াতে পারেনি টাইগাররা। দক্ষিণ আফ্রিকার ৫৭৫ রানের জবাবে কোনোরকমে দেড় শ’ পাড় করেছে বাংলাদেশ, ১৫৯ রানেই শেষ হয় ইনিংস। ৪১৬ রানের লিডসহ ফলোঅন পায় প্রোটিয়ারা।

মাত্র ৪৮ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে ঘরের মাঠে সর্বনিম্ন রানে অলআউট হওয়ার শঙ্কা তৈরি করা বাংলাদেশ এতদূর এসেছে, এটাই অনেক বেশি বলা যায়। মুমিনুল হক ও তাইজুল ইসলামের রেকর্ড জুটিতে দেড় শ’ ছুয়েছে ইনিংস। দু’জনে গড়েন ১৭২ বলে ১০৩ রানের জুটি।

তাতেই ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশ। ক্রিকেটের শুরু থেকে এই প্রথম কোনো দল ৫০ রানের কমে ৮ উইকেট পতনের পরেও ৯ম উইকেটে শতাধিক রান যোগ করেছে।

এই কীর্তির পেছনে যেমন মুমিনুল হকের ১১২ বলে ৮২ রানের ইনিংসটা স্মরণীয় হয়ে থাকবে, তেমনি তাইজুল ইসলামও পাবেন কৃতিত্ব। জুটিতে প্রায় সমান সমান বল খেলে যেভাবে মুমিনুলকে সঙ্গ দিয়েছেন তিনি, তা অভাবনীয়। তিনি আউট হন ৯৫ বলে ৩০ করে।

অথচ চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিন যেখানে শেষ করেছিল বাংলাদেশ, সেখান থেকেই যেন তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে স্বাগতিকরা। কিছু বুঝে ওঠার আগেই অনবরত হারিয়েছে উইকেট। বেড়িয়ে আসে ইনিংসের লেজ।

বাংলাদেশ খেই হারিয়েছে একদম শুরু থেকেই। দিন শুরুর প্রথম ৬ ওভারেই হারিয়েছে আরো ৪ উইকেট। সব মিলিয়ে মাত্র ১৫ ওভারেই ৮ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। অথচ রান তখনো ৫০ পেরোয়নি।

৪ উইকেটে ৩৮ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করে বাংলাদেশ। দিন শুরু করেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুমিনুল হক। তবে এদিন মাত্র ৮ রান যোগ করতে পারেন দু’জনে, আঘাত হানেন রাবাদা।

বাংলাদেশ অধিনায়ক ফেরেন ১৭ বলে ৯ রান নিয়ে। পরের ওভারেই মুশফিকুর রহিমকে ফেরান পিটারসেন। মিস্টার ডিপেন্ডেবল খ্যাত এই ব্যাটার আজ আর ভরসা হতে পারেননি, ফেরেন ডাক মেরে।

পরের ওভারে আরো ভয়ঙ্কর রূপে দেখা দেন রাবাদা। এবার জোড়া শিকার তার। প্রথমে মিরাজকে ১ ও পরে অভিষিক্ত মাহিদুল ইসলামকে দেন ডাকের স্বাদ। তাতে মাত্র ৪৮ রানে ৮ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

এরপর থেকেই দারুণ সেই জুটি গড়ে তোলেন মুমিনুল হক ও তাইজুল ইসলাম। প্রথমে তিন অঙ্কের ঘর, এরপর দেড় শ’ রানে দলকে পৌঁছে দেন দু’জনে। মুমিনুল ৮২ করে আউট হলে ভাঙে এই জুটি। শেষ ব্যাটার হিসেবে ফেরেন তাইজুল।

এদিকে ৫ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন রাবাদা। যা তার ১৬তম ফাইফার। পিটারসেন নেন ২ উইকেট, অপর ২ উইকেট নেন কেশভ মহারাজ।

এর আগে মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে দক্ষিণ আফ্রিকা গড়ে রান পাহাড়। তিন সেঞ্চুরিতে তুলে ৬ উইকেটে ৫৭৫ রান। এরপর টাইগার বোলারদের স্বস্তি দিয়ে ইনিংস ঘোষণা করে তারা।


আরো সংবাদ



premium cement
হিজবুল্লাহর বিজয় হবে : নতুন প্রধান কিশোরগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নিহত ৩ বিসিএস পরীক্ষায় ৪ বার অংশ নেয়া যাবে মৌলভীবাজারে দেড় মাস ধরে চা-শ্রমিকদের মজুরি বন্ধ এভারকেয়ার হসপিটালে ব্লাড ক্যান্সার নিয়ে বৈজ্ঞানিক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত ঈশ্বরদীতে পদ্মা নদীতে গোসলে নেমে কলেজছাত্রের মৃত্যু ছাদ খোলা বাসে ঢাকার রাস্তায় সাফজয়ী নারীরা সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের বিরুদ্ধে সিআইডির অনুসন্ধান শুরু সুবর্ণচরে ইটভাটা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন এক দিনে দু’বার অলআউট হয়ে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফিরে যাওয়াই একমাত্র সমাধান : অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

সকল