বাংলাদেশের লজ্জার দিনে ভালো নেই দক্ষিণ আফ্রিকাও
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২১ অক্টোবর ২০২৪, ১৭:৫৭
আলোকস্বল্পতায় কিছু সময় বাকি থাকতেই শেষ হয়েছে মিরপুর টেস্টের প্রথম দিনের খেলা। যেখানে দিনভর রাজত্ব চলেছে বোলারদেরই, ১৬ উইকেট নিয়েছেন রাবাদা-তাইজুলরা। তাতে বাংলাদেশও যেমন লজ্জায় ডুবেছে, ভালো নেই প্রোটিয়ারাও।
মিরপুরে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে আজ (সোমবার) মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ ও দক্ষিণ আফ্রিকা। যেখানে আগে ব্যাট করে প্রথম ইনিংসে মাত্র ১০৫ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। জবাবে ৬ উইকেটে ১৪০ রান নিয়ে দিন শেষ করেছে প্রোটিয়ারা।
ঘরের মাঠে প্রায় ৯ বছর পর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সাদা পোশাকে খেলতে নামে বাংলাদেশ। সেই সাথে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট জয়ের লক্ষ্যও টাইগারদের। তবে মিরপুরে প্রথম ইনিংসে ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশ।
আগে ব্যাট করে মাত্র ১০৬ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। যা মিরপুর টেস্টে এক ইনিংসে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড। ২০২১ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৮৭ রানে অলআউট হয় টাইগাররা। সেই সাথে এই নিয়ে ঘরের মাঠে সর্বশেষ ৭ ইনিংসে ষষ্ঠবার ২০০–এর নিচে গুটিয়ে গেল বাংলাদেশ।
এদিন শুরুতেই হোঁচট খায় টাইগাররা। বুঝে উঠার আগেই ভাঙন ধরে টপ অর্ডারে। যেই ধাক্কা আর সামলে উঠা হয়নি। উইয়ান মুল্ডার একের পর এক আঘাতে কাঁপিয়ে দেন স্বাগতিকদের। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ভাঙেন উদ্বোধনী জুটি। সাদমান ইসলামকে ফেরান রান নেয়ার আগেই।
এক ওভার পর মুল্ডার ফেরান মুমিনুল হককেও। ৬ বলে ৪ রান করেন মুমিনুল। ১৩ রানে ২ উইকেট হারিয়ে যখন ধুঁকছে বাংলাদেশ, তখন মাঠে আসেন নাজমুল হোসেন শান্। তবে হতাশ করেন তিনিও, ষষ্ঠ ওভারে কেশভ মহারাজকে ক্যাচ অনুশীলন করিয়ে ফেরেন ৭ রানে।
থিতু হতে পারেননি মুশফিকুর রহিমও। দলের প্রয়োজনে হাল ধরতে ব্যর্থ অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। বিপদ বাড়িয়ে ফিরেছেন তিনি। রাবাদার শিকার হয়ে ফেরার আগে ২০ বলে করেন ১১ রান। এরপর রাবাদা ফেরান লিটন দাসকেও। ছন্দে থাকা এই ব্যাটার ১ রানের বেশি করতে পারেননি।
এদিকে তখনো একপাশ আগলে রেখেছিলেন মাহমুদুল হাসান জয়। রানে গতি না থাকলেও মাঠেই ছিলেন তিনি। তাকে নিয়ে দলীয় সংগ্রহ ৬০ পর্যন্ত পৌঁছান মেহেদী। তবে ১৩ রান করতেই মিরাজকে থামান কেশভ মহারাজ। ৬০ রানে ৬ উইকেট নিয়ে মধ্যাহ্নভোজে যায় বাংলাদেশ।
বিরতি থেকে ফিরলেও বদলায়নি চিত্র। এবার ফেরেন শুরু থেকে একপাশ আগলে রাখা মাহমুদুল হাসান জয়। ৯৭ বলে ৩০ রানে থামেন তিনি। ৩ বল পর ফেরেন জাকের আলিও। মিরপুরে অভিষিক্ত এই ব্যাটার ২ রানের বেশি করতে পারেননি।
৭৬ রানে ৮ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর তাইজুল ও নাইমের ২৬ রানে নবম উইকেট জুটি স্কোর তিন অংকের ঘরে বেড়ায়। নাইম ৮ ও তাইজুল করে ১৬ রান। মুল্ডার, রাবাদা ও কেশব মহারাজ তিন জনেই নেন ৩টি করে উইকেট।
জবাব দিতে নেমে সুবিধা করতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকাও। তিন অঙ্কে পৌঁছার আগেই বেরিয়ে আসে ইনিংসের লেঁজ। প্রথম ওভারেই অধিনায়ক এইডেন মার্করামের উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা। হাসান মাহমুদ মাত্র ৬ রানে ফেরান তাকে।
তবে ডি জর্জে ও ত্রিস্টান স্টাবস মিলে পঞ্চাশ স্পর্শ করান দলকে। এরপরই দ্বিতীয় উইকেটের দেখা পায় বাংলাদেশ। এবার স্টাবসকে ২৭ বলে ২৩ রানে ফেরান তাইজুল। এরপর বেডিংহামকেও তিনি ১১ রানে থামালে ৭২ রানে ৩ উইকেটের পতন হয়।
পরের তিনটা উইকেটও নেন তাইজুল। থিতু হয়ে যাওয়া টনি ডি জর্জেকে ৩০ রানে ফেরান ২৭.২ ওভারে। একই ওভারের শেষ বলে ম্যাথু ব্রেটজকেও (০) ফেরান এই স্পিনার। ৯৯ রানে পতন হয় ৫ উইকেটের। তাতেই অনন্য এক রেকর্ড গড়েন তাইজুল।
৪র্থ উইকেট নিয়ে সাকিবের পর দ্বিতীয় বাংলাদেশী হিসেবে ২০০ টেস্ট উইকেট শিকারে কীর্তি গড়েন তাইজুল ইসলাম। একটা জায়গায় অবশ্য তিনি সাকিব থেকেও এগিয়ে। ২০০ উইকেট নিতে যেখানে সাকিবের লেগেছিল ৫৪ টেস্ট, তাইজুল তা নিয়েছেন ৪৮ টেস্টেই।
অবশ্য তাইজুলের ব্যক্তিগত ৫ম উইকেট পেতে দেরি হয়নি। রায়ান রিকেলটনকে (২৭) ফিরিয়ে ক্যারিয়ারের ১৩তম বার এক ইনিংসে ৫ উইকেট নেয়ার কীর্তি গড়েন তিনি। ১০৮ রানে ষষ্ঠ উইকেটের পতন হয়।
তবে ততক্ষণে লিড ভেঙে এগিয়ে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ দল মাত্র ১০৬ রানে গুটিয়ে যাওয়ায় লিড নিতে শুরু করে প্রোটিয়ারা। এরপর কোনো উইকেট না হারিয়েই ৩৪ রানের লিড নেয় তারা।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা