১১ অক্টোবর ২০২৪, ২৬ আশ্বিন ১৪৩১, ৭ রবিউস সানি ১৪৪৬
`

বিপিএলে মাশরাফীর খেলা নিয়ে প্রশ্ন ইমরুল কায়েসের

ইমরুল কায়েস ও মাশরাফী বিন মর্তুজা - সংগৃহীত

বিতর্ক পিছু ছাড়াতে পারছে না বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল)। বিতর্ক ও বিপিএল- দু’টি যেন মিশে আছে ওতপ্রোতভাবে। বোর্ডের কর্তৃত্ব বদলালেও বদলায়নি এ চিত্র। এবারের আসর নিয়েও নানান সমস্যার বেড়াজালে আবদ্ধ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এবার বিপিএল নিয়ে প্রশ্ন তুললেন ইমরুল কায়েস।

সাকিব আল হাসান, মাশরাফী বিন মর্তুজারা অনেক আগে থেকেই বিপিএল নিয়ে সমালোচনায় মুখর ছিলেন। নানা সময়ে নানান কথা বলেছেন, অভিযোগের তীর ছুড়েছেন। এবার সেই তালিকায় নাম লেখালেন সাবেক ক্রিকেটার ইমরুল।

বিপিএলের প্লেয়ার ড্রাফটের গ্রেডিং সিস্টেম নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ইমরুল কায়েস। আজ শুক্রবার সামাজিক যোগাযোমমাধ্যম ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। যেখানে মূলত সাবেক অধিনায়ক মাশরাফীকে ইঙ্গিত করে প্রশ্ন তোলেন তিনি।

এবারের বিপিএলের প্লেয়ার্স ড্রাফটের জন্য যে গ্রেডিং সাজিয়েছে বিসিবি, সেখানে গ্রুপ ‘বি’-তে আছেন সাবেক এই অধিনায়ক। যার মূল্যমান ৪০ লাখ টাকা। অথচ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তো দূর, ঘরোয়া লিগেও তেমন একটা দেখা যায়নি মাশরাফীকে।

গত ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ৬ ম্যাচ খেলে ৯ উইকেট নেন মাশরাফী। তবে পুরো আসর খেলতে পারেননি তিনি। এর আগে, গত বিপিএলেও আসরের মাঝপথ থেকে সরে দাঁড়াতে হয় তাকে। ব্যক্তিগত বাজে ফর্ম ও দলের ওপর চাপ বাড়ায় দল থেকে ছুটিতে যান তিনি।

অথচ ৪১ বছর বয়সী সেই মাশরাফীকে যখন রাখা হয় গ্রুপ ‘বি’-তে, নিয়মিত জাতীয় দলে খেলতে থাকা ক্রিকেটারদের সাথে; তখন প্রশ্ন ওঠা অস্বাভাবিক নয়। বিষয়টা নিয়ে সমর্থকদের মাঝে চাপা ক্ষোভ থাকলেও চুপ থাকলেন না ইমরুল কায়েস।

ফেসবুকে তিনি লিখেন-
আসসালামু আলাইকুম,
বিপিএলের প্লেয়ার্স ড্রাফটের আগে ক্রিকেটারদের গ্রেডিং দেখে চিন্তা করছি গ্রেডিংটা আসলে কিসের ভিত্তিতে করা হয়। জাতীয় দল, সারা বছরের ঘরোয়া পারফরম্যান্স, বিপিএলের পারফরম্যান্স নাকি শুধু নাম দেখে করা হয়। বছরজুড়ে ক্রিকেটের আশেপাশে না থাকা ক্রিকেটারের জায়গা হলো ‘বি’ গ্রেডে। অথচ গত বিপিএলে দুর্দান্ত পারফর্ম করা ক্রিকেটাররা ‘সি’ গ্রেডে। তবে কি শুধু নাম কিংবা চেহারা দেখেই বিপিএলের ড্রাফটের গ্রেড নির্ধারণ করা হয়?

বিপিএলের ২০১৮-১৯ মৌসুমে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে আমি ভালো করতে পারিনি। যে কারণে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সিরিজের পর আমাকে জাতীয় দল থেকে বাদ দেয়া হয়। পরবর্তীতে বিসিবির একজন কর্মকর্তার সঙ্গে যখন কথা হলো তখন বাদ দেয়ার কারণ হিসেবে তিনি জানালেন, বিপিএলে আমার পারফরম্যান্স তুলনামূলক ভালো ছিল না। যেহেতু প্রত্যাশা অনুযায়ী পারফর্ম করতে পারিনি তাই আমি কোন সংকোচ ছাড়াই এমন সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছিলাম।

তবে জাতীয় দলে ফিরতে আমি কঠোর পরিশ্রম করতে থাকি। ২০১৯-২০ মৌসুমে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে ১৩ ম্যাচে ৪৪২ রানও করেছিলাম। কিন্তু এমন পারফরম্যান্সের পরও আমাকে জাতীয় দলে ডাকা হয়নি। এমনকি জাতীয় দলের কোন ক্যাম্পেও রাখা হয়নি। তবে কি বিপিএলে পারফর্ম না করলেই বাদ? কিন্তু পারফর্ম করলে, সেটাও তো বিবেচনায় নেয়া হচ্ছে না। আমাদের ক্রিকেটের দুর্দিন কি তবে শেষ হবে না?


আরো সংবাদ



premium cement
সোনার খনিতে ভ্রমণের সময় একজনের মৃত্যু, ২৩ জনকে উদ্ধার সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার সীমান্তে অর্ধকোটি টাকার আপেল জব্দ দীপ্ত টিভির কর্মী তামিম হত্যা মামলায় ৫ আসামি রিমান্ডে শাহজাদপুরে মাদক ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল আশাশুনিতে নারীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার, স্বামীসহ আটক ৭ ঢাকা টেস্টে নেই বাভুমা, প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে টেস্ট খেলবে দলে থাকা সবাই চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার বানিয়াচংয়ে বজ্রপাতে যুবকের মৃত্যু নওগাঁয় ২ মাদককারবারি গ্রেফতার টাঙ্গাইলে আ’লীগের সহ-সভাপতি শাহজাহান আনসারী গ্রেফতার দুর্নীতি-লুটপাটের কারণেই আ’লীগ গোষ্ঠীসহ দেশ থেকে পালিয়েছে : রফিকুল ইসলাম খান

সকল