২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

বাংলাদেশকে ভারতের ধবলধোলাই

- ছবি - ইন্টারনেট

পরাজয় নিশ্চিত হয়ে যায় বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস শেষ করার পরেই। বাকি ছিল কেবল আনুষ্ঠানিকতা। ৯৫ রানের লক্ষ্য দিয়ে হয়তো অপেক্ষায় বাড়ানো যায়, আর যাই হোক, জেতা যায় না। পারেনি বাংলাদেশও।

সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে বাংলাদেশকে বড় ব্যবধানে হারিয়েছে ভারত। কানপুরে টাইগারদের ৭ উইকেটে হারিয়েছে তারা। একইসাথে দুই ম্যাচের সিরিজে ২-০ শান্ত-সাকিবদের ধবলধোলাই দিয়েছে স্বাগতিকরা।

ভারত যে এই ম্যাচটা জিততে চায়, তা চতুর্থ দিনই পরিষ্কার ছিল। সেই দিনই জয়ের পরিকল্পনা সাজিয়ে ফেলেছিল তারা। যেখানে বাঁধা হয়েছিল কেবল বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস। তবে মাত্র ১৪৬ রানে গুটিয়ে দিয়ে সেই পথ সহজ করে দেন বোলাররা।

এর আগে টানা দুই দিনের খেলা বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হওয়ার পর সোমবার চতুর্থ দিনে এসে আবারো মাঠে গড়ায় কানপুর টেস্ট। প্রথম দিন ৩৫ ওভারে থমকে যাওয়া খেলা পুনরায় চালু হয়। ৩ উইকেটে ১০৭ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ।

তবে ইনিংস বেশিদূর টানতে পারেনি। ৭৪.২ ওভারে ২৩৩ রানে শেষ হয় লড়াই। জবাবে ভালো শুরু করলেও বেশিদূর যেতে পারেনি ভারত। সাকিব-মিরাজের ঘূর্ণিতে ২৮৫ রানে ৯ উইকেট হারালে ইনিংস ঘোষণা করে তারা। পায় ৫২ রানের লিড।

সেই লিড ভাঙতে গিয়ে চতুর্থ দিনেই জোড়া উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। আজ মঙ্গলবার ২৬ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামা টাইগাররা লিড ভাঙার আগেই হারায় আরো এক উইকেট। দিনের শুরুতেই ফেরেন মুমিনুল হক।

আগের ইনিংসের এই সেঞ্চুরিয়ান ২ রানের বেশি করতে পারেননি। ৩৬ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে ইনিংসের হাল ধরার চেষ্টা চালান সাদমান ইসলাম।

পঞ্চাশোর্ধ রানের জুটি গড়ে আশা দেখান তারা। তবে এরপরই ছন্দপতন। মুহুর্মুহু ভেঙে পরে ইনিংস। ৩ উইকেটে ৯১ থেকে ৯৪ রানে যেতেই স্কোর ৯৪/৭! পরপর পাঁচ ওভারে ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। বেড়িয়ে আসে লেজ।

নাজমুল হোসেন শান্তকে ফিরিয়ে শুরু করেন জাদেযা। ৩৭ বলে ১৯ রানে ফেরেন তিনি। পরের ওভারে এসে আকাশ দ্বীপ ফেরান সাদমানকে। ততক্ষণে অবশ্য ফিফটি তুলে নিয়েছেন এই ওপেনার। যদিও ইনিংস শেষ হয় সেখানেই।

পরের ওভারে লিটন দাস ফেরেন মাত্র ১ রানে, জাদেযার শিকার হয়ে। এক ওভার পর সেই জাদেযার শিকার হন সাকিব আল হাসান। নিজের সম্ভাব্য শেষ টেস্ট ইনিংসে রানের খাতা খুলতে পারেননি তিনি। ফেরেন ০ (২) রানে।

এরপর মিরাজকে নিয়ে তিন অংকের ঘরে পৌঁছান মুশফিক। মিরাজ ৯ রানে আউট হন। আর মুশফিক থামেন শেষ ব্যাটার হিসেবে ৬৩ বলে ৩৭ রানে। তিনটা করে উইকেট নিয়েছেন বুমরাজ, জাদেযা ও আশ্বিন।

জবাব দিতে নেমে মেহেদী মিরাজের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়লেও জয় পেতে খুব একটা সমস্যা হয়নি। নিজের পরপর দুই ওভারে রোহিত শর্মা (৮) ও শুভমান গিলকে (৬) ফেরান মিরাজ। ৩৪ রানে ২ উইকেট হারায় ভারত।

সেখান থেলে যশস্বী জয়সাওয়াল ও বিরাট কোহলি দলকে নিয়ে যান জয়ের বন্দরে। যদিও জয়সাওয়াল ফেরেন জয় নিশ্চিত হওয়ার আগে। তাইজুলের শিকার হন ৪৫ বলে ৫১ রান করে। তবে কোহলি ২৯ রানে অপরাজিত থেকে নিশ্চিত করেন জয়।

যদি এটাই সাকিব আল হাসানের শেষ টেস্ট হয়, তবে তিক্ত স্মৃতি নিয়েই সাদা পোষাকের মায়া ছাড়তে হলো তাকে। শেষ টেস্টটা স্মরণীয় হলো না তার।


আরো সংবাদ



premium cement