০১ অক্টোবর ২০২৪, ১৬ আশ্বিন ১৪৩১, ২৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

কানপুরে জয়ের জন্য ভারতের প্রয়োজন ৯৫ রান

- ছবি - ইন্টারনেট

হারের শঙ্কা নিয়ে ইনিংস শেষ করলো বাংলাদেশ। অস্বাভাবিক কিছু না ঘটলে পরাজয় অনেকটা নিশ্চিত টাইগারদের। মাত্র ৯৫ রানের লিড নিয়ে তো আর জয়ের স্বপ্ন দেখা যায় না!

দুই সেশন টিকে থাকার লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নামলেও তা পারলো না শান্ত-মিরাজরা। টাইগারদের গুটিয়ে যাওয়ার মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে প্রথম সেশনের খেলা। মাত্র ১৪৬ রানে শেষ হয়েছে বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস।

কানপুর টেস্টের প্রথম তিন দিনের প্রায় পুরো সময় বৃষ্টিতে ভেসে গেলেও হাল ছাড়েনি ভারত। শেষ দুই দিনকেই জয়ের জন্য যথেষ্ট করে তুলেছে তারা। চতুর্থ দিনেই দিয়ে রেখেছিল রোমাঞ্চের আভাস।

ভারতের জয় কেবল বাঁধাগ্রস্থ হতো দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ অবিশ্বাস্য কিছু করলে। অন্তত দু’টি সেশন টিকে থাকতে পারলে। তবে আগের দিনেই জোড়া উইকেট হারানো টাইগারদের এইদিন আর সুযোগ দেয়নি স্বাগতিকেরা।

দিনের শুরুতেই ফেরেন মুমিনুল হক। আগের ইনিংসের এই সেঞ্চুরিয়ান ২ রানের বেশি করতে পারেননি। এরপর অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে ইনিংসের হাল ধরার চেষ্টা চালান সাদমান ইসলাম।

পঞ্চাশোর্ধ রানের জুটি গড়ে আশা দেখান তারা। তবে এরপরই ছন্দপতন। মুহুর্মুহু ভেঙে পরে ইনিংস। ৩ উইকেটে ৯১ থেকে ৯৪ রানে যেতেই স্কোর ৯৪/৭! পরপর পাঁচ ওভারে ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। বেড়িয়ে আসে লেজ।

নাজমুল হোসেন শান্তকে ফিরিয়ে শুরু করেন জাদেযা। ৩৭ বলে ১৯ রানে ফেরেন তিনি। পরের ওভারে এসে আকাশ দ্বীপ ফেরান সাদমানকে। ততক্ষণে অবশ্য ফিফটি তুলে নিয়েছেন এই ওপেনার৷ যদিও ইনিংস শেষ হয় সেখানেই।

পরের ওভারে লিটন দাস ফেরেন মাত্র ১ রানে, জাদেযার শিকার হয়ে। এক ওভার পর সেই জাদেযার শিকার হন সাকিব আল হাসান। নিজের সম্ভাব্য শেষ টেস্ট ইনিংসে রানের খাতা খুলতে পারেননি তিনি। ফেরেন শূন্য হাতে।

এরপর মিরাজকে নিয়ে তিন অংকের ঘরে পৌঁছান মুশফিক। মিরাজ ৯ রানে আউট হন। আর মুশফিক থামেন শেষ ব্যাটার হিসেবে ৬৩ বলে ৩৭ রানে। তিনটা করে উইকেট নিয়েছেন বুমরাজ, জাদেযা ও আশ্বিন।

উল্লেখ্য, কানপুর টেস্টের প্রথম ইনিংসে মাত্র ২৩৩ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। তবে ভারতকেও বেশিদূর যেতে দেননি সাকিব-মিরাজরা। ২৮৫ রানে আটকে যায় তারা। লিড নেয় ৫২ রানের। সেই লিড ভাঙতে গিয়ে চতুর্থ দিন শেষ হওয়ার আগে ২ উইকেট হারিয়ে ২৬ রান পর্যন্ত তুলতে পারে বাংলাদেশ।


আরো সংবাদ



premium cement