ভয়াবহ দুর্ঘটনার আশঙ্কা ভারত-বাংলাদেশ দ্বিতীয় টেস্টেই!
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:২৭
ভারত-বাংলাদেশ কানপুরে দ্বিতীয় টেস্টের বল গড়ানোর আগে মাত্র এক দিন বাকি। তার আগেই ভারতের উত্তরপ্রদেশের পাবলিক ওয়ার্ক ডিপার্টমেন্টের তরফে গ্রিন পার্ক স্টেডিয়ামের গ্যালারির একাংশকে অসুরক্ষিত ঘোষণা করে দিয়েঝে।
সরকারি কর্মকর্তারা মনে করছেন, সমর্থক ভর্তি স্টেডিয়াম সম্ভবত গ্যালারির ধারণ ক্ষমতা বহন করতে পারবে না। এমনকি তা ভেঙে পড়ার-ও আশঙ্কা রয়েছে। এর ফলে সি গ্যালারির অধিকাংশ আসনের টিকিট বিক্রি থেকে বিরত থাকা হচ্ছে উত্তরপ্রদেশ ক্রিকেট সংস্থার পক্ষ থেকে।
উত্তরপ্রদেশ ক্রিকেট সংস্থার সিইও অঙ্কিত চট্টোপাধ্যায় ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন, 'পিডব্লিউডি-র তরফে আশঙ্কার কথা জানানো হয়েছে আমাদের। আমরাও সি গ্যালারির সমস্ত দর্শক আসনের টিকিট বিক্রি না করতে সম্মত হয়েছি। ৪৮০০ আসনের ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন সি গ্যালারিতে মাত্র ১৭০০ টিকিট ছাড়া হচ্ছে। আগামী কয়েক দিন ধরে মেরামতির কাজ চালিয়ে যাওয়া হবে।'
পিডব্লিউডি কর্মকর্তাদের তরফে বলা হচ্ছে স্টেডিয়ামের নির্দিষ্ট কিছু অংশে যদি সমর্থকদের আনাগোনা বেড়ে যায়, তাহলে বড় নিরাপত্তার ঝুঁকি থাকবে। মঙ্গলবার সি স্ট্যান্ডে ছয় ঘণ্টা ধরে পুরো পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে ইঞ্জিনিয়ারদের একটি দল। উত্তরপ্রদেশ ক্রিকেট সংস্থাকে ম্যাচ চলাকালীন গ্যালারির এই অংশ বন্ধ রাখারও পরামর্শ দেওয়া হয়।
ইঞ্জিনিয়ারদের মধ্যে একজন ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন, 'কোনো কারণে ঋষভ পন্থের ছক্কা দেখে যদি ৫০ জন দর্শকও লাফিয়ে উঠে, সেই চাপ-ও নিতে পারবে না এই স্ট্যান্ড। ভালোমত মেরামতির প্রয়োজন রয়েছে এই স্ট্যান্ডের।'
মেরামতকর্মীরা বিকেল ৫টার পর যখন বেরিয়ে যাচ্ছেন মঙ্গলবার, তারপরই ইঞ্জিনিয়ার এবং উত্তরপ্রদেশ ক্রিকেট সংস্থার প্রতিনিধিরা জরুরিকালীন বৈঠকে বসেন। সেখানেই স্থির হয়, কোনোভাবেই ভরা গ্যালারির চাপ নিতে পারবে না সংশ্লিষ্ট স্ট্যান্ড।
উত্তরপ্রদেশ রাজ্য সরকারের ক্রীড়া বিভাগের অধীনে থাকা এই স্টেডিয়ামে বেশ কয়েক বছর ধরেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের আসর বসেনি। লখনৌয়ের অটল বিহারী বাজপেয়ীর নামাঙ্কিত একানা স্টেডিয়ামের ঝাঁ চকচকে রূপ সাম্প্রতিককালে পিছনে ফেলেছে কানপুরের গ্রিন পার্ক স্টেডিয়ামকে। উত্তরপ্রদেশ ক্রিকেট সংস্থার কাছে আপাতত সুয়োরানি এই একানা স্টেডিয়ামই।
উত্তরপ্রদেশ ক্রিকেট সংস্থার তরফে অঙ্কিত চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, 'এই স্টেডিয়াম সরাসরি উত্তরপ্রদেশ ক্রিকেট সংস্থার নয়। আমরা এই স্টেডিয়াম ভদ্রস্থ জায়গায় দাঁড় করানোর জন্য ৪০ দিনের সময় পেয়েছি। ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ সাইকেলের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে আমরা নিজেদের সাধ্যমত চেষ্টা করেছি।'
ফ্লাডলাইটেরও সমস্যা রয়েছে
পুরোনো গ্যালারির স্তম্ভ যদি দর্শকদের ভার বহন করার জন্য অনুপযোগী হয়ে, তাহলে আরো চিন্তার কারণ থাকছে ফ্লাডলাইটের ক্ষেত্রেও। মন্দ আলো খেলায় বিঘ্ন ঘটালে ফ্লাডলাইট সমস্যা তৈরি করতে পারে।
শেষবার যখন ভারত এই স্টেডিয়ামে টেস্ট খেলেছিল সেই সময় রচিন রবীন্দ্র এবং আজাজ প্যাটেল জুটি মন্দ আলোর সুবিধা নিয়ে হারা ম্যাচ নিউজিল্যান্ডের হয়ে ড্র করে দেয়। পঞ্চম দিন আলোর দৃশ্যমানতা কমে এসেছিল। নাটকীয়ভাবে সেই টেস্টের অন্তিম সময়ে ভারতীয় পেসাররা অসহায় হয়ে প্ৰকৃতির মুখাপেক্ষী হয়ে উঠেছিলেন, কোনো কারণে যদি দৃশ্যমানতার উন্নতি হয়। ভারতের হাত থেকে কার্যত ছিনিয়ে নিয়ে সেই টেস্ট ড্র করতে সমর্থ হয়েছিল নিউজিল্যান্ড।
ওই টেস্টের পর কেটে গিয়েছে তিন-তিনটি বছর। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদন বলছে, সেই সমস্যা এখনো সমাধান করা হয়নি। ক্রীড়া বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেছেন, 'ভিআইপি প্যাভিলিয়নের কাছে ফ্লাডলাইটের আটটা বাল্ব ঠিকমতো কাজ করছে না। কানপুরে দূষণের কারণে বরাবর দৃশ্যমানতার সমস্যা হয়। শেষবার ভারত এই ভেন্যুতেই টেস্ট জিততে পারেনি খারাপ আলোর জন্য। তা-ও যখন সবকটা ফ্লাডলাইট জ্বালানো হয়েছিল। আশা করি, সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি আমদের এবার আর বিড়ম্বনায় ফেলবে না।'
সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা