গোয়ালন্দে প্রবাসীর স্ত্রী-সন্তানকে মারধর, বিচারের দাবিতে মানববন্ধন
- গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) সংবাদদাতা
- ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:৫৭
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে জমাজমির দ্বন্দের জেরে প্রবাসীর স্ত্রী-সন্তানকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মারধরের বিচার চেয়ে নাজমা বেগম (৩৬) নামে ওই মহিলা গোয়ালন্দ ঘাট থানা ও রাজবাড়ী পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত করেছেন।
শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে মারধরের ঘটনা ঘটার প্রায় এক মাস অতিবাহিত হলেও পুলিশ কোনো আসামিকে গ্রেফতার না করায় নাজমা বেগম রমজান মাতুব্বরপাড়া এলাকায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পাশে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন করেন।
নাজমা বেগম গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ৮ নম্বর ওয়ার্ড হাবিল মন্ডল পাড়ার সৌদি আরব প্রবাসী ইউনুছ শেখের স্ত্রী। প্রায় ২০ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়।
নাজমা বেগমের লিখত অভিযোগে জানা গেছে, তার স্বামীর বাড়ির সীমানা নিয়ে প্রতিবেশী আত্নীয়দের সাথে আগে থেকেই দ্বন্দ্ব চলে আসছে। স্থানীয় গণ্যমান্য লোকজন শনিবার (২৩ মার্চ) সকাল ১১টায় সালিশ বৈঠক করে ওই দ্বন্দ্ব মিমাংসা করে দেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও মিমাংসার দিন বিকেল ৩টায় নাজমার প্রতিপক্ষরা সীমানার খোটা তুলে নতুন খোটা গাড়ার চেষ্টা করে। এতে নাজমা বাধা দিলে হোমেশ শেখের হুকুমে তার লোকজন তার (নাজমা) বাড়িতে ঢুকে তাকে ও তার দুই মেয়েকে এবং আট বছরের ছেলে হযরত আলীকে বেদম মারধর করে। মারধরে তাদের অবস্থা বেগতিক হওয়ায় অন্য প্রতিবেশীরা এসে উদ্ধার করে তাদের গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ বিষয়ে মানববন্ধনে নাজমা বেগম বলেন, ‘আমার স্বামী সৌদি আরব প্রবাসী। আমার বাড়িতে ঢুকে হোমেশ শেখ ও তার লোকজন আমার ও আমার ছেলে-মেয়েকে বেদম মারধর করেছে। আমি থানায় অভিযোগ করেছি। কিন্তু ঘটনা ঘটার প্রায় এক মাস হতে চললেও পুলিশ কাউকে আটক করেনি। শুনেছি, হোমেশকে পুলিশ আটক করেছিল। তবে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে ছেড়েও দিছে। হোমেশ ও তার লোকজন আমাকে ও আমার আট বছরের ছেলেকে মেরে গুম করার হুমকি দিচ্ছে। রাত্রে আমার ঘরের পাশে তারা মাদকের আড্ডা বসায়। আতঙ্কে শিশু ছেলে ও যুবতি মেয়েকে নিয়ে বাবার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছি। আমি বাধ্য হয়ে আবারো রাজবাড়ী পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ দিয়েছি।’
অন্যদিকে নাজমার প্রতিপক্ষ হোমেস শেখ বলেন, ‘নাজমার অত্যাচারে আমরা অতিষ্ট হয়ে থানায় অভিযোগ দিয়েছি। নাজমা আমার মেয়েকে অকারণে পিটিয়েছে। তাছাড়া নাজমা আমাকে মাদককারবারি হিসেবে পুলিশে ধরিয়ে দেয়া ও গণপিটুনিসহ নানা ধরনের ভয় ভীতি দেখিয়ে আসছে। নাজমা বিভিন্ন সময় গোয়ালন্দের চিহ্নিত গুন্ডাবাহিনী ভাড়া করে এনে আমাদের পরিবারকে ভয় ভীতি দেখায়। আমরা নাজমার হাত থেকে মুক্তি চাই। তাছাড়া নাজমা এলাকায় কবিরাজ গিরি করেন। তিনি অনেক অসুস্থ মানুষকে ঝাড়ফুক করে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
গোয়ালন্দ ঘাট থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রাণবন্ধু চন্দ্র বিশ্বাস জানান, ‘দুই পক্ষই থানায় ও কোর্টে মামলা করেছে। হোমেশ শেখ নামে একজনকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। মামলার অধিকতর তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা