২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৩ শাবান ১৪৪৬
`

আমাদের বিরুদ্ধে বৈষম্য-জুলুম এখনো শেষ হয়নি : মাসুদ সাঈদী

আমাদের বিরুদ্ধে বৈষম্য-জুলুম এখনো শেষ হয়নি : মাসুদ সাঈদী - ছবি - নয়া দিগন্ত

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে বাংলাদেশ শেখ হাসিনা মুক্ত হলেও জামায়াতে ইসলামের বিরুদ্ধে বৈষম্য-জুলুম এখনো শেষ হয়নি বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর মনোনীত পিরোজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী ও আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছেলে মাসুদ সাঈদী।

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উপজেলার নাজিরপুর সদর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড কুমারখালী বাজার এলাকায় জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে বিশাল গণসমাবেশে এস এম শামসুল হকের সভাপতিত্বে ও জামায়াতের উপজেলা বায়তুলমাল সম্পাদক মাওলানা আবু দাউদের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।

মাসুদ সাঈদী বলেন, ’ছাত্র-জনতার আন্দোলনে বাংলাদেশ শেখ হাসিনা মুক্ত হলো। কিন্তু আমরা বৈষম্যমুক্ত হতে পারলাম না। গত ছয় মাসে যত রাজনৈতিক নেতা, ফাঁসির আসামিসহ বন্দী ছিলেন প্রায় সবাই মুক্তি পেয়েছেন কিন্তু জামায়েত ইসলামীর কেন্দ্রীয় নেতা সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল এ টি এম আজাহারুল ইসলামকে এখনো কারাগারে বন্দী করে রাখা হয়েছে। আমাদের বিরুদ্ধে বৈষম্য-জুলুম এখনো শেষ হয়নি। আজকের এই গণসমাবেশ থেকে এ টি এম আজাহারুল ইসলামের মুক্তির দাবী করছি। একইসাথে জামায়েত ইসলামীর নিবন্ধন ও মার্কা দাড়ি পাল্লা ফিরিয়ে দেয়ার দাবী জানাচ্ছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘বৈষম্য কাকে বলে তা করায়-গণ্ডায় জামায়েত ইসলামকে দেখিয়ে দিয়ে গেছে আওয়ামী লীগ। আমাদের ১১ জন কেন্দ্রীয় নেতাকে তারা হত্যা করেছে। তার মধ্যে পাঁচজনকে তারা ফাঁসি দিয়ে হত্যা করেছে। পাঁচজনকে কারাগারে বিনা চিকিৎসায় হত্যা করেছে। কুরআনের পাখি আল্লামা সাঈদীকে পরিকল্পিতভাবে বিষ প্রয়োগে হত্যা করেছে। বাংলাদেশে আর এমন কোনো রাজনৈতিক দল নেই, যে দলের ওপরে জামায়াতের মতো অত্যাচার করা হয়েছে। সারা বাংলাদেশে জামায়াত ও শিবিরের সকল অফিস বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।’

মাসুদ সাঈদী বলেন, ‘যে জিনিস যত ভালো, প্রসার যত বেশি ওই জিনিসের বদনামও বেশি। গত ১৭ বছর আওয়ামী লীগের হাতে একটা তজবি ছিল। এই তজবিতে তারা একটাই জিকির করত। সেই জিকির হলো জামায়াত-শিবির, জামায়াত-শিবির। একই কায়দায় আমাদের বন্ধুপ্রতিম কিছু সংগঠন ওই একই ব্যবসা করছে- জামায়াত-শিবির, জামায়াত-শিবির। আমি এই বন্ধুপ্রতিম সংগঠনের কাছে বলতে চাই ভাইয়েরা ১৯৭১-এর এই বস্তাপঁচা অভিযোগ জামায়াত ও শিবিরের বিরুদ্ধে উত্থাপন করে আওয়ামী লীগ তার পুঁজি-পাট্টা সব হারিয়ে বাংলাদেশ থেকে পালিয়েছে। মেহেরবানি করে আপনারা কোথাও যাইয়েন না আপনারা এখানে থাকেন। জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে যে অভিযোগটা আপনারা করেন এটি একটি অলাভজনক ব্যবসা। এ ব্যবসা করে লাভ নাই।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমার পিতা দুই বারের এমপি ছিলেন। কেউ বলতে পারবে না একটি টাকাও দুর্নীতি করেছেন। কারো ওপরে জুলুম করেছেন। জাহান্নামের আগুনকে যে ভয় করে সে অন্যের সম্পত্তি লুণ্ঠন করতে পারে না।

তিনি আগামী সংসদ নির্বাচনে পিরোজপুর-১ আসনের প্রার্থী হিসেবে দোয়া চেয়ে বলেন, ‘আপনাদের অনেক পছন্দের প্রার্থী থাকতে পারে। আপনারা দেখে শুনে বুঝে প্রার্থী বাছাই করবেন।’

এছাড়াও সমাবেশে বক্তব্য রাখেন নাজিরপুর উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক, সেক্রেটারি কাজী মোসলেহ উদ্দিন, উপজেলা সাবেক আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, পিরোজপুর সদর থানা আমির মাওলানা সিদ্দিকুর রহমান, সাবেক ছাত্রনেতা অ্যাডভোকেট আবু সাঈদ মোল্লা, নাজিরপুর সদর ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি মাষ্টার আবুল হোসাইন, নাজিরপুর শহীদ জিয়া কলেজের প্রভাষক প্রদীপ কুমার হালদার প্রমুখ।


আরো সংবাদ



premium cement