সিরিয়ার সরকারি প্রতিষ্ঠান সাবেক প্রধানমন্ত্রীর অধীনে থাকবে
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:১৮
![](https://www.dailynayadiganta.com/resources/img/article/202412/19673512_174.jpg)
হায়াত তাহরির আল-শামের (এইচটিএস) প্রধান আল-জুলানি জানিয়েছেন, দামেস্কের সকল বিরোধী বাহিনীকে সরকারি প্রতিষ্ঠান দখল করতে নিষেধ করা হয়েছে।
তিনি বলেছেন, ‘আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর না করা পর্যন্ত (সরকারি প্রতিষ্ঠান) সাবেক প্রধানমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে থাকবে।’
এক বিবৃতিতে আল-জুলানি একটি বিবৃতিতে যোগ করেছেন, ‘উৎসবের সময় গুলি চালানোও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।’
আল-জোলানির আসল নাম আহমেদ হুসাইন আল-শারা। ১৯৮২ সালে তিনি সৌদি আরবের রিয়াদে জন্মগ্রহণ করেন। তখন তার বাবা সেখানে পেট্রোলিয়াম প্রকৌশলী হিসেবে কাজ করতেন। ১৯৮৯ সালে তার পরিবার সিরিয়ায় ফিরে আসে। দামেস্কের অদূরে বসতি স্থাপন করে। ২০০৩ সালে সিরিয়া থেকে ইরাকে এসে তিনি আল-কায়েদায় যোগ দেন। এই বছরই যুক্তরাষ্ট্র ইরাকে হামলা চালায়। তিনি সেখানে যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী প্রতিরোধ আন্দোলনে যোগ দেন। তখন থেকে তাঁর নাম ছড়িয়ে পড়ে।
ইতোমধ্যে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্ক দখল করার কথা ঘোষণা করেছে বিদ্রোহীরা। আর এর মাধ্যমে বাশার আল-আসাদ সরকারের পতন হলো বলেও তারা ঘোষণা করেছে। প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ বিমানে করে ইতোমধ্যেই রাজধানী ছেড়ে চলে গেছেন বলে জানা গেছে। তার বিদায়ের পরপরই দামেস্ক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সরকারি বাহিনী সরে যায়। সরকারি বাহিনী জানিয়েছে, তাদের সৈন্যরা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ছেড়ে চলে গেছে। আর বিদ্রোহীরা সরকারি টেলিভিশন ও রেডিও স্টেশন দখল করার দাবি করেছে। তারা অন্যান্য স্থাপনার নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করছে।
সিরিয়ার বিদ্রোহীরা জানিয়েছে, ‘স্বৈরাচার বাশার আল-আসাদ পালিয়ে গেছেন। আমরা দামেস্ককে স্বৈরাচার বাশার আল-আসাদমুক্ত বলে ঘোষণা করছি।’
আল-আসাদের প্রধানমন্ত্রী এর আগে বলেছিলেন, তিনি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের তত্ত্বাবধানে দামেস্কে থাকবেন।
সূত্র : আল জাজিরা ও অন্যান্য