২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

ইন্টারনেট বন্ধ অবস্থায় বার্তা লেনদেনের উপায়

- ছবি : নয়া দিগন্ত

গত ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারে অভ্যুত্থানের পর দেশেটিতে ইন্টারনেট ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়েছে। গতবছর বেলারুশে বিতর্কিত নির্বাচনের পরও তা করা হয়েছে।

বিশ্বের যেসব স্থানে অগণতান্ত্রিক উপায়ে সরকারব্যবস্থায় পরিবর্তন এসেছে সেসব জায়গায় নতুন শাসকদের ইন্টারনেট নিয়ন্ত্রণ করতে দেখা গেছে। ফলে আফগানিস্তানে তালেবান আসায় সেখানেও হয়ত এমন পরিস্থিতি দেখা যেতে পারে।

এই অবস্থায়ও বার্তা আদান প্রদানের কিছু উপায় আছে। যেমন ‘ব্রায়ার’ অ্যাপ। এটি একটি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ। এর মাধ্যমে ব্লুটুথ বা ওয়াইফাই ব্যবহার করে এক স্মার্টফোন থেকে আরেক স্মার্টফোনে বার্তা আদানপ্রদান করা যায়। এই অ্যাপের সবচেয়ে বড় সুবিধা, এটি একটি সরাসরি সংযোগ মাধ্যম, যা অ্যান্ড-টু-অ্যান্ড এনক্রিপশনের কারণে ব্যবহার করা শতভাগ নিরাপদ। অর্থাৎ গোয়েন্দা সংস্থা, মোবাইল অপারেটর কিংবা হ্যাকাররা বার্তা পড়তে পারেন না।

তবে ব্রায়ার অ্যাপের সবচেয়ে বড় অসুবিধা হচ্ছে, এর মাধ্যমে ব্লুটুথ ব্যবহার করে মাত্র ১০ মিটার দূরত্বে বার্তা পাঠানো যায়। অবশ্য ওয়াইফাই ব্যবহার করলে সর্বোচ্চ ১০০ মিটার দূরে বার্তা পাঠানো সম্ভব।

ব্রায়ার শুধু অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে ব্যবহার করা যায়। ব্রায়ারের মতো একই পদ্ধতিতে কাজ করা ‘ব্রিজফাই’ অ্যাপ অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস উভয় ডিভাইসে কাজ করে। সে কারণে হংকংয়ের অনেক বিক্ষোভকারী ব্রিজফাই অ্যাপ ব্যবহার করেছেন।

অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা যদি চান তাদের পাঠানো বার্তা কেউ পড়তে না পারুক সেক্ষেত্রে ‘সাইলেন্স’ অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন। অবশ্য গোয়েন্দা বা মোবাইল অপারেটর কিংবা হ্যাকাররা বার্তা পড়তে না পারলেও বার্তাটি কখন কাকে পাঠানো হয়েছে তা পড়তে পারবে।


আরো সংবাদ



premium cement