১২ জানুয়ারি ২০২৫, ২৮ পৌষ ১৪৩১, ১১ রজব ১৪৪৬
`

লঘুচাপটি রূপ নিতে পারে ঘূর্ণিঝড়ে, উপকূলে বৃষ্টির আভাস

লঘুচাপটি রূপ নিতে পারে ঘূর্ণিঝড়ে, উপকূলে বৃষ্টির আভাস - ছবি : সংগৃহীত

‘ফণি’, ‘আমপান’, ‘ইয়াস’-এর পর এবার ধেয়ে আসতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘সিতরাং’। আন্দামান সাগরে তৈরি হতে চলা ঘূর্ণিঝড়ের পোশাকি নাম আপাতত রাখা হয়েছে এটাই। এটি এখন লঘুচাপ হিসেবে অবস্থান করছে। আগামীকাল শনিবারের মধ্যে তা নিম্নচাপে পরিণত হয়ে আগামী সোমবারের দিকে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।

এর প্রভাবে বাংলাদেশসহ ভারতীয় উপকূলে আগামী দুই দিনের মধ্যে প্রবল বৃষ্টি শুরু হতে পারে। তবে ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত করবে কি না, এখনই নিশ্চিত নন দেশের আবহাওয়াবিদেরা। তবে ভারতীয় উপকূল থেকে মানুষদের সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। দেশটির বিপর্যয় মোকাবেলা সদস্যদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।

বাংলাদেশের আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, অক্টোবরের ২৫ থেকে ২৬ তারিখের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশ ও ভারতীয় উপকূলের কাছাকাছি চলে আসতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাব্য গতিপথ দেখে তারা বাংলাদেশের জন্য সতর্কবার্তা দিয়ে থাকেন। তবে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানুক না–হানুক, এর প্রভাবে বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি শুরু হতে পারে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের আগেভাগে বাংলাদেশ থেকে মৌসুমি বায়ু বিদায় নিয়েছে। ফলে এমনিতেই আকাশে মেঘ নেই। যাও ছিটেফোঁটা মেঘ ছিল, তা লঘুচাপ এলাকার দিকে রওনা দিয়েছে। ফলে দেশের বেশিরভাগ এলাকার আকাশ মেঘমুক্ত ও পরিষ্কার। ফলে দিনের বেশির ভাগ সময় ছিল খটখটে রোদ। দিনের তাপমাত্রাও ছিল বেশি। দেশের সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা ছিল ৩৪ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, ২০০৭ সালে বাংলাদেশে এই শতাব্দীর মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক ঘূর্ণিঝড়টি আঘাত হানে। এর দুই বছর পর ২০০৯ সালে ঘূর্ণিঝড় আইলাও ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। এরপর ২০১৩ সালে ঘূর্ণিঝড় মহাসেন আঘাত করে। এক বছর বিরতি দিয়ে ২০১৫ সালে কোমেন, ২০১৬ সালে ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু, ২০১৭ সালে ঘূর্ণিঝড় মোরা, ২০১৮ সালে ঘূর্ণিঝড় তিতলি, ২০১৯ সালে ঘূর্ণিঝড় ফণী, ২০২০ সালে ঘূর্ণিঝড় আম্ফান, ২০২১ সালে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত করে।

অর্থাৎ ২০১৩ সাল থেকে বাংলাদেশ উপকূলে প্রায় প্রতি বছর একটি করে ঘূর্ণিঝড় আঘাত করছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী ছিল ২০২১ সালে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশবিষয়ক সংস্থা নাসাসহ বৈশ্বিক আবহাওয়া সংস্থাগুলো একে সুপার সাইক্লোন হিসেবে চিহ্নিত করে। তবে ঝড়টি বাংলাদেশে আঘাত হানার আগে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও সুন্দরবনে আঘাত হানায় তা দুর্বল অবস্থায় বাংলাদেশ উপকূলে পৌঁছায়। ফলে সিডর বা আইলার মতো বাংলাদেশে এটি তেমন ক্ষতি করতে পারেনি।


আরো সংবাদ



premium cement
২০২৪ সালে ২১৮৪ কোটি টাকার চোরাচালান পণ্য জব্দ করেছে বিজিবি কম্পিউটারের ওপর দক্ষতা অর্জনের কোনো বিকল্প নেই : নোবিপ্রবি ভিসি চোখে শুকনো মরিচের গুঁড়ো ছিটিয়ে ছুরিকাঘাতে অটোরিকশা চালককে হত্যা সিরিয়া নিয়ে আলোচনা করতে ইউরোপ, আমেরিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের শীর্ষ কূটনীতিকরা ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় আরো ১ জনের মৃত্যু সাতক্ষীরা পৌর-মেয়রের বরখাস্তের আদেশ অবৈধ : হাইকোর্ট জবির দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীকে দেয়ার দাবিতে গণঅনশন দাবানল পাল্টে দিয়েছে লস অ্যাঞ্জেলসের চিত্র ‘অবিভক্ত ভারত’ অনুষ্ঠানে পাকিস্তান ও বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ দিল্লির হাসিনার চোখ ছিল ঢাকা থেকে টুঙ্গীপাড়া পর্যন্ত : সারজিস আলম রংপুরে প্রি-পেইড মিটার প্রকল্প বাতিলের দাবিতে নেসকো অফিস ঘেরাও

সকল